কিছু মানুষের জন্য আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে: সিইসি

কিছু মানুষের জন্য আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা যদি দক্ষতার সঙ্গে এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে পুরো নির্বাচন কমিশনকে সেই বদনামের দায়ভার নিতে হবে। এ বিষয়টি নজরে রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন অপরিসীম উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভুল বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কারেকশনের ক্ষেত্রে কিন্তু চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে, তা নয়। আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়।’

এনআইডির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে সিইসি বলেন, ‘এটার (এনআইডি) আদিমত্য আছে, আমরা সিনেমাতে দেখেছি যে আদিকালে রাজা বা সম্রাট তার দূত পাঠাতেন অন্য সম্রাটের কাছে, উনি সেখানে গিয়ে তার পরিচয়পত্র পেশ করতেন। পরিচয়ের কিন্তু প্রয়োজন আছে, সেটার আবশ্যকতার অস্বীকার করার উপায় নেই। আইডেন্টিটি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কিন্তু ব্যাপক। আমার জীবনে আইডি কার্ডের শুরু হয়েছিল ক্লাস সিক্স থেকে। তখন স্কুল থেকে ছবিযুক্ত দুই পাতার আইডেন্টিটি ছিল। তখন আইডেন্টিটি কার্ডের প্রয়োজন ছিল দুটি ক্ষেত্রে— একটি বাসে অর্ধেক ভাড়া নিতো আর সিনেমা হলে দেখতে গেলে স্টুডেন্ট পরিচয় দিলে অর্ধেক পয়সায় আমরা সিনেমা দেখতে পারতাম। এরপর যখন যুদ্ধ শুরু হলো তখন আমি ক্লাস টেন-এ পড়ি। তখন এটাকে ডন্ডি বা ডান্ডি কার্ড বলা হতো।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আইডেন্টিটি কার্ড উচ্চারণ করতে পারতেন না। আমরা সবাই ওইটাকে ডন্ডি কার্ড বা ডান্ডি কার্ড বলতাম। তখন একটি ডান্ডি কার্ড রাখতে হতো যে আমি যে মুসলমান বা হিন্দু নই— এটা প্রমাণের জন্য। অ্যাডভোকেট হিসেবে আইডেন্টিটি কার্ড পেয়েছিলাম, তারপর যখন সহকারী সচিব হলাম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হিসেবে পেয়েছি। জয়েন সেক্রেটারি হিসেবে পেয়েছি। এখনও আমার একটি ভ্যালিড আইডেন্টিটি কার্ড আছে সিনিয়র সচিব হিসেবে। ২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত এটার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর।

Leave a Comment