একটাবার ছেলের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও পাননি শাহরুখ-গৌরী

এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের জেলে আছেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পরিবারের কোনো সদস্যের দেখা পাননি তিনি। শাহরুখের খুবই কাছের একজন বন্ধু ভারতীয় গণমাধ্যম ‘বলিউড হাঙ্গামা’কে জানিয়েছেন, শাহরুখ ও গৌরীকে ছেলের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ছেলের সঙ্গে দেখা করার অধিকার পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তাঁরা। “আচ্ছা ঠিক আছে। যদি দেখা করার অধিকার না পাওয়া যায়, অন্তত তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে একবার দেখা করার সুযোগ দাও।” কিন্তু এটাও তারা অস্বীকার করেছেন।’ ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শাহরুখ খানের কাছের একজন বন্ধু।

স্পষ্টভাবে মা–বাবা, বিশেষ করে আরিয়ানের মা গৌরী ক্রমেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। ওই বন্ধু বলেন, ‘ভালো নেই গৌরী। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, কেন তাঁর ছেলে দাগি সব অপরাধীর সঙ্গে জেলে থাকবে। কেন তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গে দেখার করার মৌলিক অধিকারটুকু পাবেন না। সে একটা বাচ্চা। এমন ব্যবহার সে পেতে পারে না। তার কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। সে সবার সঙ্গে ভালো ও ভদ্র ব্যবহার করে। কীসের জন্য তাকে আটকে রাখা হয়েছে।’ বিস্ময় প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে বলেছেন শাহরুখের ওই বন্ধু।

এদিকে গত সোমবার সকালে সেশন কোর্টে আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে তাঁর জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘রিপ্লাই ফাইল’ জমা দিতে তাদের কিছুদিন সময় লাগবে। তাই আদালত আজ দুপুরে আরিয়ান খানের জামিনের ওপর রায় জানাবেন। আরিয়ানসহ দুই অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট আর মুনমুন ধামেচার জামিনের শুনানির দিনও পিছিয়ে গেল। তাই আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে আরিয়ানকে।

২ অক্টোবর রাতে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী এক বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে আয়োজিত মাদক পার্টিতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। এ পার্টি থেকে আরিয়ানসহ অনেককে আটক করে তারা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আরিয়ান খান, অভিনেতা আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাসহ আরও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। গত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত ১৪ দিনের জন্য জেলে পাঠিয়েছেন বলিউডের এই তারকাসন্তানকে। শুক্রবার জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেন আদালত।

এনসিবির হেফাজতে থাকার সময় ন্যাশনাল হিন্দু রেস্তোরাঁ থেকে সাধারণ খাবার আসত আরিয়ানের জন্য। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবার জন্য একই খাবার দেওয়া হয়েছিল। আরিয়ান খান মাদক-কাণ্ডে গ্রেপ্তারের পর থেকে শাহরুখের ক্যারিয়ারেও প্রভাব পড়তে চলেছে। তিনটা ছবির শুটিং চলছিল। সব কটির শুটিং এখন বন্ধ রেখেছেন। এ ছাড়া একাধিক নামীদামি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন তাঁর হাতে। একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহরুখ। আর এ কারণে বছরে তিনি চার কোটি রুপি পান।

Leave a Comment