আপনি কিভাবে মানুষকে যাচাই করেন?

মানুষ আর ফলের মধ্যে পার্থক্য আছে কি?আমরা হয়তো বলব আছে।কিন্তু আমরা নিজেরাই আবার মানুষ আর ফলকে এক করে ফেলি।অবাক লাগছে?পুরো লেখাটি পড়লে বিষয়টি পরিস্কার হবে।

আমরা যখন ফল কিনি তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফলটা বাইরে থেকে দেখেই বিবেচনা করতে পারি সেটা কাঁচা নাকি পাকা।অনেকসময় স্বাদের ব্যাপারটাও বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায়।দাম সম্পর্কেও মোটামোটি একটা ধারণা এসে যায়।ফলের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি মানা যায়।কিন্তু সমস্যা হলো মানুষের ক্ষেত্রেও আমরা এই একই নীতি অনুসরণ করি-বাইরে থেকে দেখেই যাচাই করে ফেলা।
কেউ একজন কোনোসময় অল্প কথা বলে চলে গেলে আমরা ধরে নেই তার অহংকার বেশি।এটা বুঝিনা যে মানুষটার তাড়া থাকতে পারে।বন্ধু চুপচাপ থাকলে মনে করি গার্লফ্রেন্ডের সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে।এটা একবারও মাথায় আসেনা তার পারিবারিক কোনো সমস্যা থাকতে পারে।এরকম অনেক সিদ্ধান্তই আমরা হুট করে নিয়ে ফেলি।অনেক বিষয়ই বিবেচনায় আনিনা।নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সকলের পরিস্থিতি বিবেচনা করা যে অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস এটা আমরা অনেকেই জানিনা।সবকিছু নিজের মত করে কল্পনা করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা খুব বড় একটি অপরাধ।

প্রত্যেকের নিজ নিজ দুনিয়া আছে।নিজস্ব গল্প আছে।সমস্যা আছে।কারো কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ না পেলে আমাদের উচিত নিজেকে একবার সেই মানুষটার জায়গা বসানো।তার প্রেক্ষাপট থেকে বিষয়গুলো দেখার আর বোঝার চেষ্টা করলে অন্যের প্রতি আমাদের ভুল ধারণাগুলো কেটে যায়।

তাই এখন থেকে মানুষকে ফল মনে করে বাইরে থেকে দেখেই সব বিবেচনা করবেন না।একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের সমস্যাটা বুঝতে চেষ্টা করুন।তাকে সাহায্য করুন।মানুষ হয়ে যখন জন্মেছি তখন এতটুকু বিবেচনাবোধ তো আমাদের মাঝে আছেই- তাইনা?

©দীপা সিকদার জ্যোতি

Leave a Comment