লিটন দাসের পর এবার হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন দলের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহীম। ক্যারিয়ারের ২৪ তম হাফ সেঞ্চুরি তিনি তুলে নিলেন ১০৮ বল খেলে। হাসান আলিকে বাউন্ডারি মেরেই অর্ধ শতকের ঘরে পা রাখেন তিনি। দিনের প্রথম সেশনটা ছিল বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্নের। চারটি উইকেট হারাতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ২৮ ওভারে রান উঠেছিল ৬৯। তবে দ্বিতীয় সেশনে এসে ইনিংস মেরামতের কাজটা ভালোভাবেই করে যাচ্ছেন দুই ব্যাটার লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের ১০ম হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন লিটন দাস। নৌমান আলিকে অফসাইডে কাট করেই বলকে বাউন্ডারি পার করে অর্ধশতকের ঘরে পৌঁছে যান তিনি। ৯৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন। তার পর হাফ সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিমও।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৫৩.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪। মুশফিক ব্যাট করছেন ৫১ রান নিয়ে। লিটন ব্যাট করছেন ৫৯ রান নিয়ে। এই জুটির ব্যাটে স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছে ১১৫ রান। অথচ, লাঞ্চ বিরতির আগে স্কোরবোর্ডে রানের সংখ্যাটা ঠিকই ছিল। কিন্তু উইকেটের সংখ্যাটা বড়ই বেমানান। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের রান ৬৯। উইকেট হারিয়েছে ৪টি। আউট হয়েছেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত এবং টু ডাউনে নামা মুমিনুল হক। প্রথম দিনই চট্টগ্রামের উইকেটে বলকে লাটিমের মত ঘোরাচ্ছেন পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ খান। ডান হাতি এই অফব্রেক বোলার তার মায়াবী স্পিন দিয়ে সাফল্যও তুলে নিয়েছেন। বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে তার বলে উইকেট হারালেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
৩৩ রানের মাথায় দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক মিলে চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশের ইনিংস মেরামত করতে। কিন্তু মাত্র ১৫ রানের জুটি গড়তে পারলেন তারা দু’জন। ১৯ বলে ৬ রান করে ফিরে যান মুমিনুল।সাজিদ খানের করা ইনিংসের ১৬ তম ওভারের প্রথম বলেই ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় পাকিস্তান। তাতে দেখা যায়, ব্যাটের কানায় লাগিয়েছেন বল মুমিনুল হক। পরের ওভারেই উইকেট দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার ফাহিম আশরাফের বলকে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন সাজিদ খানের হাতে। টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউট দেন।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। কিন্তু পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হাসান আলির সামনে উইকেট কোনোই ব্যাপার নয়। যে কোনো উইকেটেই ঝড় তুলতে সক্ষম তারা। ইনসুইং, আউটসুইং, কাটার-স্লোয়ারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানোর কাজটা ভালোই করতে পারেন তারা। বাংলাদেশের দুই ওপেনারও এই দুই পেসারের আগুনে বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারলেন না। উইকেট বিলিয়ে দিতে বাধ্য হলেন। দলীয় ১৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারান সাইফ হাসান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে দেন আবিদ আলির হাতে। এরপর দলীয় ৩৩ রানের মাথায় হাসান আলির এলবিডব্লিউর শিকার হন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। দুই ওপেনারের ব্যাট থেকেই এসেছে সমান ১৪টি করে রান।