লকডাউন দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না,সামনে রয়েছে মহাবিপদ।

আজ ৩০ জুলাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুরোধে সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনের অষ্টমদিন পূর্ণ হলো।। এক সপ্তাহের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও সংক্রমণ কমছেই না। মানুষের মৃত্যুর হার ও কিন্তু কম নয়।গত কিছুদিন ধরেই দিনে দুইশর বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।করোনা সংক্রমণ হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও আগামী ১ আগস্ট থেকে দেশের গার্মেন্টস সহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আগামী আগামীকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় ফিরে আসতে হবে সকল কর্মচারীদের।এতে করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাবে। করোনার সংক্রমণরোধে গঠিত কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্যগণ বলেন,গত আটদিন করোনা রোধে লকডাউন দেওয়া হলেও জনগন লকডাউন মানে নি,বরং অসতর্কভাবে অবাধে চলাচল করেছে।সরকার লকডাউন এর নির্দেশ দিলেও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় নি, যার ফলে কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়।এমনবস্থায় শিল্পকারখানা খুলে দিলে সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা যায়।জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,গত প্রায় দেড় বছরেও তারা সারাদেশের হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারিনি। একদিকে লকডাউন দিয়ে আরেকদিকে মানুষজনকে অবাধে চলাচল করতে দিয়ে করোনার সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।ফলে সামনে মহাবিপদের আশঙ্কা করে তিনি বলেন, ‘মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে শতভাগ মানুষকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে,না হলে ভবিষ্যতে ভয়ংকর কিছু র সম্মুখীন হতে হবে আমাদের সকলকে।এর জন্য আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।সরকারের উচিত দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে।জনসাধারণের সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা,বিনা কারণে বাহিরে না বের হওয়া।’এছাড়া আরো একজন বলেন,”যেসকল হতদরিদ্র মানুষের কাছে খাবার নেই তাদের কাছে সরকারের খাবার পৌঁছে দিতে হবে,তাহলে আর তাদেরকে ঝুঁকি নিয়ে বাহিরে বের হতে হবে না।সকল হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে যেনো অক্সিজেন এর অভাবে কোনো মানুষ না মারা যায়।দেশের প্রতিটি মানুষকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।”এসব দিক না মানলে ভবিষ্যতের খারাপ কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেন তিনি।

Leave a Comment

betvisa