লং কোভিড বা কোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতা

লং কোভিড হলো কোন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠার পরও তার শরীরে  দীর্ঘ সময় যাবত কোভিড ১৯ এর উপসর্গগুলো দেখা যায় এরকম অবস্থা।    কোভিড পরবর্তী সময়েও নানা ধরনের শারীরিক জটিলতাই মূলত লং কোভিডের লক্ষণ।  কোভিড এর সাথে  নতুন করে আরেক উদ্বেগের বিষয় হলো লং কোভিড। সম্প্রতি বাংলাদেশে করা এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, যারা কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশের মধ্যে লং কোভিডের উপসর্গ রয়েছে। 

শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব জুড়েই কোভিডের পর এখন এই লং কোভিড মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে লং কোভিড মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরহয়ে উঠতে পারে। 

করোনার রোগীদের মধ্যে যাদের লং কোভিডের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাদের অনেকেরই হয়তো কোভিড পরবর্তী সময়েও দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে হয়েছে, অক্সিজেন সাপ্লাই নিতে হয়েছে।  কেউ আবার   কোভিডের পরও প্রচণ্ড শরীর ব্যথায় ভুগেছেন , হাতে-পায়ে প্রতিটা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা হয়েছে। কারো শরীর ফুলে ডাবল হয়ে গেছে।  এমনকি  অনেকের চুলও গোছায় গোছায় পরে যাচ্ছে। 

এসব ছাড়াও লং কোভিডের বিভিন্ন উপসর্গগুলো হলো মাথাব্যথা, ভুলে যাওয়া, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা, হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা । বিশেষজ্ঞরা বলেন এসব সমস্যা  তিন মাস থেকে শুরু করে দেড় বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

এছাড়াও লং কোভিডের কারণে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে চিকিৎসকরা বলেছেন৷  কখনো রাগ খুব বেড়ে যাওয়া , কানে ঝি ঝি শব্দ করা, মাথা ঘোরা , বমি ভাব হওয়া , বুক ধড়ফড় করা -এগুলো স্নায়ুতন্ত্রীয়।  এছাড়া বংশগত রোগ থাকলে সেটিও প্রকাশিত হয় লং কোভিডের কারণে।  

যাদের বয়স বেশি কিংবা আগে থেকেই কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।মধ্যবয়সীদের মধ্যেই লং কোভিডের উপসর্গ বেশি পাওয়া যায়। ৩০ থেকে শুরু করে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষের মধ্যে লং কোভিডে ভোগার প্রবণতা বেশি।

Leave a Comment

betvisa