লালমনিরহাটে ক্রিসেন্ট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে ভূয়া এক্সেরের প্রতিবাদ করায় রোগীর বাবা মাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। জেলার শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড় সীমান্ত কমপ্লেক্সের ভাড়া ভবনে ক্রিসেন্ট ডায়াগনোষ্টিক ও ইমেজিং সেন্টারে এক ৮ বছরের শিশুর মুখ- নাক এক্স-রে না করে ১৪ শত টাকা নিয়ে ভূয়া এক্স-রে রির্পোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে
এই ঘটনায় শিশুটি বাবা- মা প্রতিবাদ করায় তাঁকে লাঞ্চিত ও চেয়ারতুলে মারার চেষ্টা করা হয়। এই সময় উপস্থিত রোগী ও রোগীর স্বজনরা এগিয়ে এলে প্রাণে রক্ষা পায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ৮ টায়। এই ঘটনার পর গভীর রাতে সেখানে লাঞ্চিত হওয়া রোগীর স্বজনা এসে প্রতিবাদ জানাতে গণ জমায়েত হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ক্রিসেন্ট ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের মালিক ও কর্মচারিগণ দ্রত সেন্টারটি বন্ধ করে সর্টকে পড়েন।
আজ শনিবার দিনব্যাপী ক্রিসেন্ট ডায়াগনোষ্টিক বন্ধ ছিল কাউকে দেখা যায়নি। সেখানে বেশ কয়েকজন বিশেজ্ঞ চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার রয়েছে। রোগীরা লক ডাউনের ভিতর দূরদুরান্ত হতে চিকিৎসক দেখাতে এসে পড়েছে চরম দূর্ভোগে। ভুক্তভুগী শিশুটির বাবা আশরাফুল জানান, গতকাল শুক্রবার ৩০ জুলাই বিকালে জেলার আদিতমারী উপজেলার হাজিগঞ্জের গ্রাম হতে শহরের মিশন মোড়ে ক্রিসেন্ট ডায়াগনোষ্টিক ও ইমেজিং সেন্টারে নাক,কান,গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ হুমায়ুন কবির আহম্মেদের স্যারের কাছে ছেলে রাফি(৮) নিয়ে দেখাতে যাই। ৮ বছরের শিশুটির নাকের ভিতর হতে অনবরত রক্ত ঝর ছিল। এই মারাত্মক সমস্যার চিকিৎসা নিতে গিয়ে ছিলাম।
রাতে চিকিৎসক ডাঃ হুমায়ুন কবি মুখ- নাককের এক্সে-রে সহ বেশকিছু টেষ্ট দেয়। তার কথামত কাউন্টারে এক্সরে ও ষ্টেট করাতে রক্তের নমূনা দিতে হয়। এ সময় রির্পোটের সকল অর্থ পরিশোধ করি। শুধুমাত্র এক্সে করার চার্জ নিধারণ হয় ১৪ শত টাকা। শিশু সন্তানটির এক্সেরে না করিয়ে কিছুক্ষন পর হাকডাকিয়ে ( আশরাফুল বলে) রির্পোট ধরিয়ে দেয়। সেই রির্পোট নিয়ে পূনরায় চিকিৎসককে দেখানো হয়। চিকিৎসক বলেন, শিশুটির নাকে কোন সমস্যা নেই। এতে সন্দেহ হয়। তাই শিশুটিকে জিজ্ঞাস করা হয়। কিভাবে ও কখন তোমাকে এক্সেরে করেছে।
শিশুটি তার কোন এক্সেরে করানো হয়নি বলে জানান। চিকিৎসক পুনরায় এক্সেরে করাতে বলেন। পূনরায় এক্সেওে করিয়ে শিশুটির নাকের ভিতরে মারাত্মত ভাবে হাঁড় বাঁকা পাওয়া যায়। যার কারণে রক্ত ঝরছে ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে ক্রিসেন্ট ডায়াগানোষ্টিক ও ইমেজিং সেন্টারের পরিচালক মাজেদকে জানায়।
এসময় মালিক মাজেদ শিশুটির বাবা- মা ও স্বজনদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, অশ্লিলভাষা গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে চেয়ারতুলে মারচে ধরে। সেখানে থাকা রোগীর স্বজনরা এগিয়ে এসে বাঁচায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রিসেন্ট ডায়াগানোষ্টিক ও ইমেজিং সেন্টারটি বন্ধ রেখেছে। এই সেন্টার টিতে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রেখে রোগী দেখানো হয়। রোগীদের অহেতুক পরীক্ষা- নিররীক্ষার নামে অতিরিক্ত অর্থ ঝাড়ে। অত্যন্ত নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ও কোন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান ছাড়া গভীররাত পর্যন্ত চলে রোগী দেখা ও পরীক্ষা। এভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা।