বিদেশী ছেলে বিয়ে করতে চান? জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

বিদেশী ছেলে বিয়ে করতে চান

বিদেশী ছেলে বিয়ে করতে চান? আসসালামু আলাইকুম। আমি ইউরোপিয়ান একটা দেশে ব্যাচলর করছি। প্রায় ৩ বছর হতে যাচ্ছে এখানে থাকছি। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই যারা অমুসলিম দেশে সেটেল হতে চাচ্ছেন তারা আরো একবার ভালো করে ভেবে দেখবেন। আর যারা অলরেডি ওয়েস্টার্নে আছেন তারা বাচ্চাদের প্রতি সচেতন হোন।
ব্যচেলর লেভেলে অনেক ক্লাসমেট থাকে, অনেকের সাথে মেশার সুযোগ হয়, আর আমি ইরেসমাসের বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতে গিয়ে ইউরোপিয়ান বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্টদের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে, তাই আমার অভিজ্ঞতা আর Phd/Masters(Research base) এর অভিজ্ঞতা এক হবে না। কারন Phd লেভেলে কারো অনেক ক্লাসমেট থাকে না।

১. যারা ওয়েস্টার্ন দেশগুলোতে সেটেল হবেন, সম্ভবনা আছে তাদের বাচ্চারা ৯০% ই সমকামি সাপোর্টার হয়ে যাবে। ডিরেক্টলি/ইনডিরেক্টলি সাপোর্ট করবে।
আমার ক্লাসের সবাই সমকামি সাপোর্টার, আসলে ইউরোপীয়ানরা সবাই সমকামি সাপোর্টার। ধরুন একজন ব্যক্তি নিজে গে/লেসবিহেন না হোক কিন্তু তারা সমকামিতাকে সাপোর্ট করে। সাপোর্ট করার জন্য প্রচুর ইনফ্লুয়েন্স করে। ক্যমপেইন পর্যন্ত করে। আর এসব ওরা স্কুল লেভেল থেকেই করে, ওদের সাথে কথা বলে জানলাম।
আমার কয়েকজন এশিয়ান ক্লাসমেটকে দেখেছি তারা শুরুতে সাপোর্ট করত না কিন্তু অন্যদের ইনফ্লুয়েন্সে এখন কয়েকটার সমকামি পার্টনার পর্যন্ত আছে। যাদের নেই তারা সার্পোট করে।
আসলে ওয়েস্টার্নরা ৯৯% ই বাইসেক্সোয়াল। আমার ইউরোপিয়ান ক্লাসমেটরা বলে, ইউরোপিয়ান সবাই বাইসেক্সোয়াল।

এরা সবসময় ব্যপারটাকে যেভাবে উথ্থাপন করে মানে এক ছেলে আরেক ছেলের উপর ক্রাশ খাচ্ছে, এক মেয়ে আরেক মেয়ের উপর ক্রাশ খাচ্ছে, এ ব্যপার গুলোকে আমার ক্লাসের সবাই বেশ নরমালে আলোচনা করে, তো এখন আমি বুঝতে পারলাম সমকামি ব্যপারটা আমার কাছেও নরমাল হয়ে গেছে, যদিও আমি এটাকে সাপোর্ট করি না। কিন্তু শুরুতে এদের এসব কার্যকলাপ দেখে গা গুলিয়ে উঠত কিন্তু এখন আমার সামনে ব্যপারটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে!
মানে ধরুন আপনি এমন পরিবেশে আছেন, যেখানে সবাই সমকামী/ বাই, সারাক্ষণ আপনার সামনে এসব নিয়ে আলোচনা হয়, একটা সময় এগুলো আপনার সামনে অটোমেটিক নরমাল হতে বাধ্য।

তাই যেসব মুসলিমরা ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে আছেন তারা স্কুল লাইফ থেকেই বাচ্চাদের এসব ব্যপারে সতর্ক করুন। স্কুলেও টিনেজরা এসব সমকামিতা নিয়ে ইজিলি আলোচনা করে।

২. ওয়েস্টার্ন সমাজ পুরা নষ্ট এক সমাজ। একজন সঠিক পার্টনার পাওয়ার জন্য হাজারটা ছেলের সাথে বিছানায় যায়। আমার এক ইউরোপিয়ান ফ্রেন্ড আমাকে বলতেসিল, তুমি যদি রিলেশন না কর, বিছানায় না যাও তাহলে কীভাবে বুঝবা সে তোমার জন্য পারফেক্ট!! ওদের কাছে এগুলো একদম নরমাল। ইভেন এরা বয়ফ্রেন্ড থাকা সত্তেও নরমাল ফ্রেন্ডদের সাথেও রাত কাটায়। আমার রুমমেট ছিল গ্রিসের, সে একেক রাতে একেক ছেলের সাথে রাত কাটাত। আর আনাকে এসে বলত, সে ভয়ে আছে কবে না জানি প্রেগনেন্ট হয়ে যায়।
আর প্রায় উলঙ্গ জাতি, কে কত শরীল দেখাতে পারবে তা নিয়েই ব্যস্ত!

একটা ঘটনা শেয়ার করি, আমি ইরেসমাসের একটা প্রোগ্রামে ইউরোপের আরেকটা দেশে গিয়েছিলাম। ইউরোপে ইউরোপিয় ইউনিয়নের আন্ডারে, ইরেসমাস প্লাস, ইউরোপিয়ান সলিডারিটি ক্রপস নামে বিভিন্ন প্রোগ্রাম/ ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম অথবা সামার প্রোগ্রাম ইত্যাদি হয় ইউরোপিয়ান বিভিন্ন দেশে। কোনটা এক সপ্তাহ ব্যপি, কোনটা কয়েক মাসের। এগুলো ফুল ফ্রী, যাতায়াত ভারা পর্যন্ত দেয়, মান্থলি স্টাইপেন্ড পর্যন্ত দেয়। মুসলিম বোনদের বিশেষভাবে অনুরোধ যারা বিদেশে আছেন, প্লিজ আপনারা আপনাদের সন্তানদের এসব প্রোগ্রামে পাঠাবেন না। এগুলো হল ফ্রি মিক্সিংএর আড্ডা খানা। এসব প্রোগ্রামগুলো এমনভাবে সাজানো হয় যাতে, ছেলে মেয়ে উভয়ের হাত ধরতে, কাধে হাত রাখতে, কোমরে হাত রাখতে বাধ্য। এমনকি ছেলে মেয়ে একসাথে নাচা পর্যন্ত লাগে। এসব প্রোগ্রামে গিয়ে ছেলে মেয়ে মাখামাখি হয়নি এটা অবিশ্বাস্য। আমার তো মনে হইসে, ভালোমত ফ্রিমিক্সিং শেখানোর জন্যই এরা এগুলো করে।
আমি পরে আগেই ফিরে আসছিলাম, আর ওদের সাথে আমার প্রচুর আর্গুমেন্ট হয়েছিল এসব নিয়ে।

ঐখানের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, আমাদের গ্রুপে এক ছেলে আসছিল, মুসলিম, তুর্কি। এমনিতে ধার্মিক, মুখে লম্বা দারি, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে, একদম মদ খায় নি, হজ্জ ও নাকি করে আসছে, হালাল হারাম মেইনটেইন করে কিন্তু সমস্যা হল ফ্রি মিক্সিং করে। মেয়েদের সাথে হ্যন্ড শেক তো নরমাল কিন্তু মেয়েদের জরিয়ে পর্যন্ত ধরে, অবশ্য ইউরোপিয়ানদের কাছে হাগ করা নরমাল, মেয়েগুলো হঠাৎ করে ুসেই হাগ শুরু করে। কাইন্ড অফ কুলে নিয়ে বসে থাকে মেয়েদের।
অথচ শুরুর দিকে এই ছেলে মেয়েদের থেকে দূরে থাকার ট্রাই করত। কিন্তু ইউরোপুয়ান অধিকাংশ মেয়েরা কী পরিমান যে নোংরা এটা বলে বুঝানো যাবে। এরা গিয়ে ছেলের গা ঘেষে বসে পরত, ছেলে সরার ট্রাই করত কিন্তু আরো গিয়ে বসত। হঠাৎ করেই দেখা যেত আরেক মেয়ে এসে জরিয়ে ধরত, একটা মেয়ে তো ছেলের সামনে কাপর পর্যন্ত খুলে ফেলতেসিল, আরো অনেক কাহিনী। তারপর কয়েকদিনের মধ্যই ছেলে এদের মধ্য একপ্রকার হারিয়ে গিয়েছিল।
অথচ, কোন ছেলে যখন আমার সাথে হ্যন্ডশেক করতে আসত আমি তাদের স্পষ্ট বলতাম, আমরা মুসলিমরা বিপরিত লিঙ্গের সাথে হেন্ডশেক করি না। এটা সিন। ঐ ছেলে চাইলে হয়ত নিজেকে কিছুটা প্রটেক্ট করতে পারত।
আর এই ইউরোপীয় মেয়েগুলো এত নোংরা যে নিজ নিজ দেশে পার্টনার রেখে কয়েকদিনের জন্য প্রোগৃরামে গিয়ে এখানেও একটা জুটিয়ে নেয়। তাই এসব কারিকুলাম এক্টিভিটিসের নামে এসব প্রগ্রাম থেকে আপনাদের বাচ্চাদের দূরে রাখুন।

এরকম সমাজে থেকে মুসলিম বাচ্চারা কতটা ইসলামের পথে টিকে থাকতে পারবে এটাই বড় প্রশ্ন।

৩. বাংলাদেশ থেকে আসা বেশিরভাগ মেয়েরাই এখানে এসে পোশাক পরিবর্তন করে ফেলে। ধীরে ধীরে পোশাক ছোট হতে হতে ইউরোপিয়ান দের মত হয়ে যায়।
যে মেয়েটা বাংলাদেশে হিজাব পরত সে বিদেশে এসে জিন্সের প্যন্টের সাথে হিজাব পড়তে শুরু করে, তারপর ধীরে ধীরে হিজাবটাও একদিন নাই হয়ে যায়।

বিদেশী ছেলে বিয়ে করতে চান

ছেলেরা তো সাদা চামরার খোলামেলা মেয়ে দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারে না। এখানকার মেয়েরা তো সহজলভ্য, না ডাকলেও গায়ের উপর এসে পরে।
তারপর এত সস্তা মদ। অধধীকাংশ বাংলাদেশিদের আমি এখানে পাল্টে যেতে দেখেছি।

কত বাংলাদেশিদের তো লিভ টু গেদার ও করতে দেখি। এক ছেলে তো দেশে বউ বাচ্চা রেখে এখানে বিদেশি মেয়ের সাথে লিভটুগেদার করে।
তাই বিদেশে ছেলে/মেয়েদের একা পড়তে পাঠানোর ক্ষেত্রে হাজারবার ভেবে দেখুন।

(আমি ভালোমত গুছিয়ে লিখতে পারি নি, যা বুঝাতে চেয়েছি তা হয়ত কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন)
যারা বিদেশি ছেলের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েই খুশিতে রাজি হয়ে যান, তারা খুব ভালোমত যাচাই বাছাই করে বিয়ে কইরেন। বাঙালি ছেলেদের ম্যক্সিমামি ভালো না বিদেশে। ওদের অবস্থা দেখে আমার বিয়ের রুচি চলে গেছে। এমনকি অধিকাংশ মেয়েূের অবস্থাও ভালো না। অনেককেই দেখি আশার সাথে সাথেই ছেলে জুটিয়ে লিভটুগেদার শুরু করে। ছেলেরাও তেমনি। তাই ভালোমত খোজ করে বিয়েতে আগান।
বাঙালি অধিকাংশ ছেলেগুলো ইচ্ছামত নোংরামো করে, পরে বিয়ে করার সময় দেশে কচি, সুন্দরি, ধার্মিক মেয়ে খুজে। এখানে কয়েকজন আমাকে মেয়ে খুজতে বলসিল, আমি তাদের মুখের উপর ডিরেক্ট না করে দিসি, এবং এটাও বলেছি আমি একজন মেয়ে হয়ে আরো একজন মেয়ের জীবন জেনেশুনে নষ্ট করব না। তারা এটা শুনে বলেছিল, বিয়ের পর তারা ভালো হয়ে যাবে।
বিদেশে একদম ভালো নেই এটা ভূল, কিছু ভালো আছে তবে খুব খুব খুব কম। এখানে ছেলেদের জন্য ভালো থাকা অনেক অনেক কঠিন।

আমার এক মিশরিয় ক্লাসমেট কয়েকমাস আগে ইসলাম ত্যগ করে ফেলসে, অথচ সে শুরুর দিকে ভালো মুসলিম ছিল। পুরোটাই ওয়েস্টার্ন দের সাথে মেশার ফল। বিদেশী ছেলে বিয়ে করতে চান|

সুতরাং সাবধান! সাবধান! সাবধান!

বিদেশী ছেলে বিয়ে করতে চান

(একজন মুসলিম আপুর থেকে নেয়া)
তথ্য সংগ্রহেঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *