“পাঠশালা” নামটি শুনলেই মনে পড়ে ছোট বেলার স্মৃতি

“পাঠশালা” নামটি শুনলেই মনে পড়ে ছোট বেলার স্মৃতি আমাদের।কাঁধে ব্যাগ নিয়ে দুরন্ত রঙিন সেই দিন। কিন্তু সমাজের কিছু কঠিন বাস্তবতায় এসব স্মৃতি গুলোরই দেখা পায়না সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরেরা। ইট পাথারে গড়া নগরীতে আমাদের মতোই জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠা শিশুরা আলাদা হয়ে পড়ে।একটু ভাবুন, সেই না পাওয়ার গল্প নিয়ে আক্ষেপ করা শিশুটি আপনি নন তবে আপনি কতটা ভাগ্য নিয়ে এসেছেন।


স্মৃতির আমেজ থেমে গেলে আপনিও সেই শিশুদের কিছু রঙিন মুহূর্ত দিতে পারেন। আর তার জন্য ই আমাদের “পাঠশালা”। যেসকল শিশু কিশোরেরা তাদের শৈশবের আনন্দ টুকু পায় নি,যারা শুধু দুবেলা খাবার এর জন্য চেয়ে থাকে,তাদের মাঝে অল্প কিছু আনন্দময় মুহূর্ত আর ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতেই আমাদের ” “পাঠশালা” এর পথচলা। হাবিপ্রবির হাত ধরে এই পাঠশালা আরো সমৃদ্ধ হোক এটাই প্রত্যাশা আমাদের। নিজেদের শৈশব এর আনন্দ ভাগ করে দেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে।আসুন, ভালোবাসা বাঁচুক সবার মাঝে।

আজকের তরুণ প্রজন্মেই আগামী দিনের নাগরিক। তারা আদর্শ নাগরিক তখনই হবে,যখন তাদের মধ্যে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা তৈরি হবে।
এরিস্টটল ঠিকই বলেছেন-
“সংগঠন মানুষের নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসতে সহযোগিতা করে, হতাশা ও দুঃখবোধ থেকে বেরিয়ে আসতেও মানুষকে সাহায্য করে। যা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার পপরিস্থিতি তৈরি করে দেয়। “
‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’- এই বোধটুকু ছাত্রজীবনে তৈরি করার জন্য সেচ্ছাসেবী সংগঠনই সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যমে।

“পাঠশালা” পরিবারে অংশগ্রহণের পর হৃদয়ে বার বার বিশ্বকবির ‘সেজুঁতি’ কাব্যগ্রন্থের ‘পরিচয়’ কবিতার কিছু পংক্তিমালার অনুরণন শুনতে পাচ্ছি-
“মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,আমি তোমাদের ই লোক
আর কিছু নয়,এই হোক শেষ পরিচয় “

আমাদের পরিচিতিতে যদি “পাঠশালা” এর ট্যাগ লাগানো থাকে তবে এর স্থায়ীত্ব অন্তহীন হতে আর বাঁধা কোথায়?
পাঠশালাকে ঘিরে আগামীতে অনেক স্বপ্ন আমাদের,সুন্দর আগামীর সাহসী যোদ্ধারা এ স্বপ্নের বাস্তবায়নে একাত্ম হবে -এটিই প্রত্যাশা।

সাংবাদিক: খাইরুন্নেছা তাকিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *