সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় ছাগল খুঁজে আনতে গিয়ে এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা (৪২) বাদী হয়ে মো. শাকিল মিয়া (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার বিকেলে থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। মামলার পরপরই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ গ্রামের সামনে থাকা অনাবাদি জমি থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধরমপাশা থানা-পুলিশ, এলাকাবাসী ও ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই তরুণী বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে তাঁদের পালিত একটি ছাগল খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হন। ছাগল খুঁজতে খুঁজতে বেলা দুইটার দিকে তিনি গ্রামের অদূরে একটি পুকুর পাড়ে যান। এ সময় ওই তরুণীকে একা পেয়ে স্থানীয় মো. শাকিল মিয়া জোরপূর্বক ওই তরুণীকে টেনেহিঁচড়ে ও প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে কাছের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এদিকে বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে ওই তরুণীর ছোট ভাই (১৬) ও মা তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁদের দেখতে পেয়ে ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
বাড়ি ফিরে ঘটনাটি গ্রাম্য মাতব্বরদের জানায় ওই তরুণীর পরিবার। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে কোনো সুবিচার না পেয়ে আজ বিকেল চারটার দিকে ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শাকিলকে আসামি করে ধরমপাশা থানায় মামলা করেন। মামলার পরপরই বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই তরুণীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের যে সর্বনাশ করেছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। মামলার পরপরই পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে আমরা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
থানাহাজতে থাকা আসামি শাকিল মিয়া এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ধরমপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মামলায় গ্রেপ্তার আসামিকে কাল শনিবার সকালে ধরমপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে।