ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়ন এবং ফিন্যান্সিয়াল প্রযুক্তির উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে সহায়তা করতে বাংলাদেশে চালু হয়েছে ফিনল্যাব বিডি। এটুআই, ইউএনসিডিএফ ও এমএসসির উদ্যোগে ফিন্যান্সিয়াল ইনোভেশন ল্যাব বাংলাদেশ-ফিনল্যাবের উদ্বোধন করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করার মাধ্যমে নিম্ন ও মাঝারি আয়ের জনগোষ্ঠীকে সেবা দেবে ফিনল্যাব বিডি। আজ রোববার অনলাইন আয়োজনের মাধ্যমে এই ফিনল্যাব বিডির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মূল স্তম্ভগুলোর একটি হলো ‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন’। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করছে এবং এতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন তাদের প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা। এ ক্ষেত্রে ফিনল্যাব বাংলাদেশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রযুক্তি ও ডিজিটাল-ফার্স্ট পদ্ধতিকে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, বাংলাদেশের বাজারে ফিনটেকের উদ্ভাবন ও সক্ষমতা বাড়াতে ফিনল্যাব বাংলাদেশ কাজে আসবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যপূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও নিরাপদ, সুরক্ষিত ও দক্ষ পেমেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে যাবতীয় পেমেন্ট সিস্টেম পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ফিনল্যাবকে পূর্ণ সহায়তা দেবে।
এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য সেবার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনকে আরও সহজ করতে কাজ করছে এটুআই। তিনি জানান, শুধু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে এ ল্যাব কাজ করবে।
জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (ইউএনসিডিএফ) এশীয় অঞ্চলের সমন্বয়কারী মারিয়া পারডোমো বলেন, ডিজিটাল আর্থিক সেবার মান বৃদ্ধি করে সমাজের মধ্যে বিরাজমান ব্যবধান কমিয়ে আনতে আর্থিক সেবা ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।