তালেবান শাসকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের দেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা আল-কায়েদা জঙ্গিদের কোনো অস্তিত্ব নেই। এর আগে গত শনি ও রোববার দেশটিতে সিরিজ বোমা হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।
কাবুলে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের পতনের পর আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে তালেবান। একই সময়ে তাদের আইএসের বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আল-কায়েদার উপস্থিতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ছাড়া আফগানিস্তানের মাটি থেকে অন্য কোনো দেশের ওপর হামলা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার আফগানিস্তানে আল–কায়েদা, আইএস ও তালেবানের উত্থান ‘প্রকৃতই এক উদ্বেগের’ বিষয় বলে মন্তব্য করেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটিতে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখানে নারীদের অধিকার হুমকির মুখে এবং তাঁদের বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নারীদের কাজ করার বাধা দূর করতে কাজ চলছে। এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
মুজাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা মন্ত্রিসভা আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। নারীদের প্রয়োজনীয় বিভাগে নির্দিষ্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং একদিন এখানে আমরা তাঁদের নাম ঘোষণা করব।’
আফগানিস্তানে মেয়েরা শিগগিরই স্কুলে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন তালেবান। গত সপ্তাহে স্কুল খোলার ঘোষণা দেয় তালেবান। তবে শুধু ছেলেদের স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত দেয় তারা এবং স্কুলে শুধু পুরুষ শিক্ষকেরাই পাঠদান করবেন বলে ঘোষণায় বলা হয়েছিল। ওই সময় তালেবান বলেছিল, তারা মেয়েদের স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করছি। এটি যত দ্রুত সম্ভব ঘটবে।’