একটা ডিএনএ নমুনা থেকে খুব কম সময়ে মিলিয়ন বিলিয়ন ডিএনএ তৈরী করার একটি কৃত্রিম পদ্ধতি হলো পলিমারেজ চেইন রিএকশন বা পিসিআর। পিসিআর এর জন্য প্রয়োজন হয়-১.টার্গেট ডিএনএ২.ডিএনএ পলিমারেজ এনজাইম৩.দুটো প্রাইমার৪.ডিঅক্সি নিউক্লিয়োসাইড ট্রাইফসফেট (dATP,dGTP,dCTP,dTTP) পিসিআর এর ধাপগুলো নিম্নরূপ-১.যে ডিএনএ থেকে অনেকগুলো ডিএনএ তৈরী করা হবে সেটি আলাদা করে নিতে হবে।২.দুটো প্রাইমার তৈরী করতে হবে।৩.টার্গেট ডিএনএ এর সাথে প্রাইমার,ডিএনএ পলিমারেজ ও অন্যান্য উপাদান মিক্সড করতে হবে।৪.তাপ প্রদানের মাধ্যমে দুই স্ট্র্যান্ড বিশিষ্ট ডিএনএ টিকে দুইটি এক স্ট্র্যান্ডের ডিএনএ তে পরিণত করতে হবে।৫.তাপমাত্রা কমিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।৬.প্রাইমারের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে।৭. ৪,৫,৬ নাম্বার ধাপের পুনারাবৃত্তি ঘটাতে হবে। পিসিআর এর সুবিধা:*কম সময়ে অনেক ডিএনএ তৈরী করা…
Author: Dipa Sikder Jyoti
প্রতিদিন নাক দিয়ে কতরকম গন্ধই না নেই!শ্বাস প্রশ্বাসেও নাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রতিনিয়ত।দেহের এই কর্মঠ অংশটি সম্পর্কে আজ বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। নাকের যে বাইরের দিকের অংশটি আমরা দেখতে পাই তার ছয়টি ভাগ আছে-1.Tip2.Root3.Dorsum4.Nostrils5.Nasal septum6.Alae of the noseতরুণাস্থি থাকার কারণে tip নরম এবং হাড় থাকার কারণে root শক্ত হয়ে থাকে।নাকের দুই ছিদ্রের মধ্যে আমরা একটা বিভেদক দেখতে পাই যা দুটি নাসিকাছিদ্রকে পৃথক করে রেখেছে।একে বলা হয় nasal septum. এর আবার তিনটি অংশ আছে-i.Bony partii.Cartilaginous partiii.Cuticular part নাকের রক্ত সংবহন বৈচিত্র্যময়। কারণ এর এক এক অংশ এক এক রক্তনালী দিয়ে রক্তের সংবহন পেয়ে থাকে।যেমন:*Anterosuperior part is supplied by anterior & posterior…
ব্যাকটেরিয়া-নামটা শুনলেই মনে হয় আস্ত এক ভিলেন।শুধু নানারকম রোগ সৃষ্টি করছে,ক্ষতি করছে।কিন্তু ব্যাকটেরিয়া যে শুধু ক্ষতিই করে,তা কিন্তু না।আমাদের নানারকম উপকারও করে থাকে এই অণুজীব।আজ তাহলে ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতাগুলো জেনে নেয়া যাক। ব্যাকটেরিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে চিকিৎসা ক্ষেত্রে।সাবটিলিন,পলিমিক্সিন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ এন্টিবায়োটিকগুলো ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরী হয়।আবার কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা সহ নানা রোগের টিকা তৈরীতে ব্যবহৃত হয় ব্যাকটেরিয়া। কৃষি ক্ষেত্রেও ব্যাকটেরিয়া সহায়ক। মাটির উর্বরতা বাড়াতে এটি সাহায্য করে।আবার নানারকম আবর্জনা পঁচিয়ে তা থেকে সার তৈরীতেও ব্যাকটেরিয়া কাজ করে।বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া বায়ু থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে নাইট্রোজেন যৌগ হিসেবে মাটিতে স্থাপন করে।ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।বিভিন্ন প্রকার পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়।আর…
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট তথা শর্করা গ্রহণ করা প্রয়োজন।তাই আমরা প্রতিদিন কমবেশি শর্করা আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখি।আমরা শর্করা খাবারের মাধ্যমে নেয়ার পর তার কি হয় তা নিয়েই থাকছে আজকের বিস্তারিত। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্করাগুলো হলো স্টার্চ,ল্যাকটোজ এবং সুক্রোজ।ল্যাকটোজ আর সুক্রোজের পরিপাক হয় ক্ষুদ্রান্ত্রে।কিন্তু স্টার্চের পরিপাক আমাদের মুখেই শুরু হয়।স্যালাইভারি এমাইলেজ নামক এনজাইমের দ্বারা প্রক্রিয়াটি শুরু হয়।এই স্যালাইভারী এমাইলেজ ২০-৪০% স্টার্চ পরিপাক করে থাকে।এমাইলেজগুলো মূলত স্টার্চের মধ্যে যে গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন থাকে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে এবং ম্যালটোজ, ম্যাল্টোট্রায়োজ এগুলো তৈরী করে।দেহে শর্করার পরিপাক সম্পন্ন হয় যখন বিভিন্ন এনজাইমের ক্রিয়ায় ক্ষুদান্ত্রে শর্করা থেকে নানারকম মনোস্যাকারাইড উৎপন্ন হয়। শর্করা পরিপাকে প্রয়োজন হয় ডাইস্যাকারাইডেজ…
শ্যাম্পুর অ্যাডগুলোতে আমরা প্রায়ই একটি শব্দ শুনে থাকি,সেটি হলো scalp.কিন্তু এই scalp আসলে কি?সোজা বাংলায় বলতে গেলে scalp হলো আমাদের মাথার খুলির চামড়া।আমাদের খুলিটি নরম টিস্যুর যে আবরণে আবৃত থাকে সেটিই হলো scalp.এটি সামনে supraorbital margin থেকে পিছনে external occipital protuberance পর্যন্ত বিস্তৃত।এর দুইপাশে থাকে zygomatic arch.আমাদের scalp এ পাঁচটি লেয়ার থাকে।সেগুলো হলো-1.Skin2.Connective tissue3.Aponeurosis4.Loose areolar tissue5.Pericranium ★SkinSkin দুইধরনের হতে পারে- মোটা স্কিন এবং পাতলা স্কিন।আর লেয়ারের হিসেবে স্কিনের লেয়ার দুইটি- এপিডার্মিস এবং ডার্মিস। ★Connective tissueScalp এর connective টিস্যুর চারপাশে থাকে অনেক রক্তনালী।এগুলো আবার আশেপাশের রক্তনালীর সাথে যুক্ত থাকে।তাই কোথাও সামান্য কেটে গেলেই এখানে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ★Aponeurosisএখানে থাকে occipitofrontalis muscle…
আমরা টিভিতে,খবরের কাগজে বাফার রাষ্ট্রের কথা জেনেছি।তোমরা জেনে অবাক হবে যে আমাদের দেহেও কিন্তু বাফার রয়েছে।এই বাফার সিস্টেমের কাজ হলো অতিরিক্ত এসিড বা ক্ষার যোগ হওয়ার ফলে পিএইচ এর মানের পরিবর্তন হওয়াকে রোধ করা।নির্দিষ্ট পিএইচ ধরে রাখতে বাফার ভূমিকা পালন করে।বাফারে থাকে একটি দূর্বল এসিড এবং এর অনুবন্ধী বা কনজুগেট বেস।আমাদের দেহে মূলত পাঁচ ধরনের বাফার সিস্টেম রয়েছে-১.বাইকার্বোনেট বাফার২.ফসফেট বাফার৩.প্রোটিন বাফার৪.হিমোগ্লোবিন বাফার৫.এমোনিয়া বাফার ★বাইকার্বোনেট বাফার:এখানে দূর্বল এসিড হিসেবে কার্বোনিক এসিড এবং কনজুগেট বেস হিসেবে বাইকার্বোনেট আয়ন থাকে।এরা মূলত Extracellular fluid এ থাকে। ★ফসফেট বাফার:এখানে দূর্বল এসিড হিসেবে এসিড ফসফেট এবং অনুবন্ধী ক্ষার হিসেবে ক্ষারীয় ফসফেট থাকে।এদের কাজের ক্ষেত্র হলো Intracellular…
আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত মূত্রত্যাগ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।প্রতিদিন আমরা সাধারণত ০.৫ লিটার থেকে ২.৫ লিটার মূত্রত্যাগ করে থাকি।এই পরিমাণটি স্বাভাবিক।তবে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের প্রাত্যাহিক মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।এটি কিন্তু একটি রোগ।এই রোগটিকে বলা হয় ডাইইউরেসিস।অর্থাৎ, আমাদের কিডনীতে মূত্র উৎপাদনের পরিমাণ যখন দিনে ৩ লিটারের চেয়েও বেশি হয় তখন তাকে বলা হয় ডাইইউরেসিস বা মূত্রবর্ধন রোগ। তিন ধরনের ডাইইউরেসিস রয়েছে-১.পানি ডাইইউরেসিস২.অসমোটিক ডাইইউরেসিস৩.চাপ ডাইইউরেসিস ★পানি ডাইইউরেসিসআমরা যখন অতিরিক্ত পানি পান করি তখন আমাদের কিডনীতে অধিক পরিমাণে মূত্র উৎপন্ন হয়।একে বলা হয় পানি বা ওয়াটার ডাইইউরেসিস।সাধারণত অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করার ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ ৪০…
একটি কোষ থেকে আরেকটি কোষ,সেই কোষ থেকে আরেকটি কোষ-এভাবে কোষবিভাজনের মাধ্যমে আমাদের কোষগুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।তবে কোষ বিভাজনের আগে কোষে থাকা ডিএনএ গুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।একটি ডিএনএ থেকে আরেকটি ডিএনএ তৈরী হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিএনএ রেপ্লিকেশন।বাংলায় একে বলে ডিএনএ অনুলিপন।ডিএনএ অনুলিপনের জন্য বেশ কিছু উপাদানের প্রয়োজন পড়ে।যেমন-১.সক্রিয় ডিঅক্সি নিউক্লিওসাইড ট্রাইফসফেট২.ডিএনএ টেমপ্লেট৩.ডিএনএ পলিমারেজ এনজাইম৪.প্রাইমার৫.ম্যাগনেসিয়াম আয়ন৬.ডিএনএ পলিমারেজ সংশ্লিষ্ট প্রোটিন এবং এনজাইমডিএনএ পলিমারেজ সংশ্লিষ্ট এনজাইমগুলো হলো-*প্রাইমেজ*হেলিকেজ*সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ড বাইন্ডিং প্রোটিন*টপোআইসোমারেজ*ডিএনএ লাইগেজ ডিএনএ অনুলিপনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।সেগুলো হলো-★এটি একটি অর্ধসংরক্ষণশীল প্রক্রিয়া★এটি একটি সুষম প্রক্রিয়া★জিনোমের বিশেষ কিছু জায়গার অনুলিপন না হয়ে পুরো জিনোমেরই অনুলিপন ঘটে★প্রাইমারের প্রয়োজন হয়★ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে★ডিএনএ পলিমারেজ…
আমাদের বৃহদন্ত্রের রয়েছে তিনটি অংশ-সিকাম,কোলন ও মলাশয়।সিকামের সাথে আঙ্গুলের মত একটি প্রবর্ধক যুক্ত থাকে।এটিই হলো এপেনডিক্স।এটি সিকামের মধ্য-পশ্চাৎ থেকে ওঠে।অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের এপেনডিক্স থাকে।যেমন-*Retro-colic*Pelvic variety*Sub-caecal ইত্যাদি এপেনডিক্সে রক্ত সংবহন হয় appendicular artery দিয়ে।এটি ileo-colic artery এর নিচের ভাগের একটি শাখা।এই artery বা ধমনীটি ইলিয়ামের প্রান্তের পিছন দিয়ে গিয়ে বেসের কাছে একটা recurrent শাখা দেয় এবং posterior caecal artery এর সাথে যুক্ত হয়।তবে ধমনীটি এপেনডিক্সের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা।তার আগেই শেষ হয়ে যায়। এপেনডিক্সের নার্ভ সাপ্লাই অটোনমিক ধরনের।অর্থাৎ, এখানে সিমপ্যাথেটিক এবং প্যারাসিমপ্যাথেটিক-উভয় ধরনেরই স্নায়ু সংবহন হয়ে থাকে।-সিমপ্যাথেটিক সংবহন: স্পাইনাল কর্ডের দশ নম্বর থোরাসিক সেগমেন্ট দ্বারা।-প্যারাসিমপ্যাথেটিক সংবহন: ভ্যাগাস স্নায়ু দ্বারা।স্পাইনাল…
আমাদের পরিপাকতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি হলো অগ্ন্যাশয়।এতে অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা-উভয় গ্রন্থি থাকায় এটিকে বলা হয় মিশ্রগ্রন্থি।এর বহিঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসরণ করে অগ্ন্যাশয় রস।এই অংশে অনেকগুলো লোবিউল থাকে।আর অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসরণ করে আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যানস যাতে থাকে আলফা সেল,বিটা সেল,ডেলটা সেল ইত্যাদি।অগ্ন্যাশয় লম্বায় ১২-১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।এতে চারটি অংশ থাকে।সেগুলো হলো- মস্তক,গলা,দেহ এবং লেজ। মস্তকের থাকে দুইটি সার্ফেস-i.anteriorii.posterior.চারটি বর্ডার-i.superiorii.inferioriii.rightiv.leftএকটি প্রসেস বা বর্ধিত অংশ- uncinate process.অগ্ন্যাশয়ের দেহটি ত্রিকোণাকার এবং রয়েছে তিনটি সার্ফেস-1.anterior2.inferior3.posteriorএবং থাকে তিনটি বর্ডার-1.superior2.anterior3.inferiorSuperior border এর ডানদিকে থাকে tuber omentali.Posterior surface এর রিলেশনে থাকে-1.Abdominal aorta2.Left crus of diaphragm3.Left psoas major4.Sympathetic trunk5.Left suprarenal gland6.Left kidney with hilus7.Left renal vessel8.Left suprarenal & left gonadal…