Author: Dipa Sikder Jyoti

আমি দীপা সিকদার জ্যোতি।লেখাপড়ার পাশাপাশি রংপুর ডেইলীতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিভাগে কাজ করছি।সকলের আশীর্বাদ একান্ত কাম্য।

আমাদের শ্বসনতন্ত্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস।তবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে অনেকসময় আমাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।ফুসফুসের অনেকগুলো রোগের মধ্যে অন্যতম একটি হলো হাঁপানি।ইংরেজিতে এটিকে বলা হয় Asthma.বাহ্যিক কোনো পদার্থ ফুসফুসে প্রবেশ করলে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে দেহের যতটুকু প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখানোর কথা,তার চেয়ে অধিক পরিমাণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখালে হাঁপানি হতে পারে।আবার অনেক সময় বংশগত কারণেও এটি হয়ে থাকে।তবে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যে,হাঁপানি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়,আবার জীবাণুবাহিতও নয়। ★হাঁপানির কারণ:এলার্জি হয়-এমন খাবার খেলে হাঁপানি হতে পারে।যেমন-চিংড়ি,গরুর মাংস,ইলিশ মাছ ইত্যাদি।এছাড়াও বায়ুর সাথে ধূলাবালি,ফুলের রেণু ফুসফুসে প্রবেশ করলেও হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ★হাঁপানির লক্ষণ:*হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।*কাশির সাথে কখনো কখনো…

Read More

সুস্থ থাকার জন্য আমাদের নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট তথা শর্করা গ্রহণ করা প্রয়োজন।তাই আমরা প্রতিদিন কমবেশি শর্করা আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখি।আমরা শর্করা খাবারের মাধ্যমে নেয়ার পর তার কি হয় তা নিয়েই থাকছে আজকের বিস্তারিত। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্করাগুলো হলো স্টার্চ,ল্যাকটোজ এবং সুক্রোজ।ল্যাকটোজ আর সুক্রোজের পরিপাক হয় ক্ষুদ্রান্ত্রে।কিন্তু স্টার্চের পরিপাক আমাদের মুখেই শুরু হয়।স্যালাইভারি এমাইলেজ নামক এনজাইমের দ্বারা প্রক্রিয়াটি শুরু হয়।এই স্যালাইভারী এমাইলেজ ২০-৪০% স্টার্চ পরিপাক করে থাকে।এমাইলেজগুলো মূলত স্টার্চের মধ্যে যে গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন থাকে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে এবং ম্যালটোজ, ম্যাল্টোট্রায়োজ এগুলো তৈরী করে।দেহে শর্করার পরিপাক সম্পন্ন হয় যখন বিভিন্ন এনজাইমের ক্রিয়ায় ক্ষুদান্ত্রে শর্করা থেকে নানারকম মনোস্যাকারাইড উৎপন্ন হয়। শর্করা পরিপাকে প্রয়োজন হয় ডাইস্যাকারাইডেজ…

Read More

শ্যাম্পুর অ্যাডগুলোতে আমরা প্রায়ই একটি শব্দ শুনে থাকি,সেটি হলো scalp.কিন্তু এই scalp আসলে কি?সোজা বাংলায় বলতে গেলে scalp হলো আমাদের মাথার খুলির চামড়া।আমাদের খুলিটি নরম টিস্যুর যে আবরণে আবৃত থাকে সেটিই হলো scalp.এটি সামনে supraorbital margin থেকে পিছনে external occipital protuberance পর্যন্ত বিস্তৃত।এর দুইপাশে থাকে zygomatic arch.আমাদের scalp এ পাঁচটি লেয়ার থাকে।সেগুলো হলো-1.Skin2.Connective tissue3.Aponeurosis4.Loose areolar tissue5.Pericranium ★SkinSkin দুইধরনের হতে পারে- মোটা স্কিন এবং পাতলা স্কিন।আর লেয়ারের হিসেবে স্কিনের লেয়ার দুইটি- এপিডার্মিস এবং ডার্মিস। ★Connective tissueScalp এর connective টিস্যুর চারপাশে থাকে অনেক রক্তনালী।এগুলো আবার আশেপাশের রক্তনালীর সাথে যুক্ত থাকে।তাই কোথাও সামান্য কেটে গেলেই এখানে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ★Aponeurosisএখানে থাকে occipitofrontalis muscle…

Read More

আমরা যে টক ফলগুলো খাই সেগুলোতে যে ভিটামিন সি থাকে তা আমরা কমবেশি সবাই জানি।কিন্তু আর কিসে কিসে ভিটামিন সি খাকে,এর কাজ ও কাজের প্রক্রিয়া কি,এর অভাবে কি রোগ হয় তা কি আমরা জানি? অনেকেই জানি না।তাই আজ থাকছে ভিটামিন সি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। ভিটামিন সি মূলত হেক্সোজ বা ছয় কার্বনবিশিষ্ট কার্বোহাইড্রেট এর ডেরিভেটিভ।অর্থাৎ,ভিটামিন সি উৎপন্ন হয় হেক্সোজ থেকে।এটি একটি রিডিউসিং এজেন্ট।তাপে ভেঙ্গে যায় এবং অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়। *ভিটামিন সি এর উৎস:আগেই জেনেছি যে আমরা নানারকম টক ফল থেকে ভিটামিন সি পেয়ে থাকি।যেমন: লেবু, কমলা, টমেটো, আমলকি, পেয়ারা ইত্যাদি।এছাড়াও কাঁচামরিচ ও সবুজ শাকসবজি থেকেও ভিটামিন সি পাওয়া যায়।আগেই বলেছি,তাপে…

Read More

আমরা টিভিতে,খবরের কাগজে বাফার রাষ্ট্রের কথা জেনেছি।তোমরা জেনে অবাক হবে যে আমাদের দেহেও কিন্তু বাফার রয়েছে।এই বাফার সিস্টেমের কাজ হলো অতিরিক্ত এসিড বা ক্ষার যোগ হওয়ার ফলে পিএইচ এর মানের পরিবর্তন হওয়াকে রোধ করা।নির্দিষ্ট পিএইচ ধরে রাখতে বাফার ভূমিকা পালন করে।বাফারে থাকে একটি দূর্বল এসিড এবং এর অনুবন্ধী বা কনজুগেট বেস।আমাদের দেহে মূলত পাঁচ ধরনের বাফার সিস্টেম রয়েছে-১.বাইকার্বোনেট বাফার২.ফসফেট বাফার৩.প্রোটিন বাফার৪.হিমোগ্লোবিন বাফার৫.এমোনিয়া বাফার ★বাইকার্বোনেট বাফার:এখানে দূর্বল এসিড হিসেবে কার্বোনিক এসিড এবং কনজুগেট বেস হিসেবে বাইকার্বোনেট আয়ন থাকে।এরা মূলত Extracellular fluid এ থাকে। ★ফসফেট বাফার:এখানে দূর্বল এসিড হিসেবে এসিড ফসফেট এবং অনুবন্ধী ক্ষার হিসেবে ক্ষারীয় ফসফেট থাকে।এদের কাজের ক্ষেত্র হলো Intracellular…

Read More

আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত মূত্রত্যাগ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।প্রতিদিন আমরা সাধারণত ০.৫ লিটার থেকে ২.৫ লিটার মূত্রত্যাগ করে থাকি।এই পরিমাণটি স্বাভাবিক।তবে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের প্রাত্যাহিক মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।এটি কিন্তু একটি রোগ।এই রোগটিকে বলা হয় ডাইইউরেসিস।অর্থাৎ, আমাদের কিডনীতে মূত্র উৎপাদনের পরিমাণ যখন দিনে ৩ লিটারের চেয়েও বেশি হয় তখন তাকে বলা হয় ডাইইউরেসিস বা মূত্রবর্ধন রোগ। তিন ধরনের ডাইইউরেসিস রয়েছে-১.পানি ডাইইউরেসিস২.অসমোটিক ডাইইউরেসিস৩.চাপ ডাইইউরেসিস ★পানি ডাইইউরেসিসআমরা যখন অতিরিক্ত পানি পান করি তখন আমাদের কিডনীতে অধিক পরিমাণে মূত্র উৎপন্ন হয়।একে বলা হয় পানি বা ওয়াটার ডাইইউরেসিস।সাধারণত অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করার ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি শুরু হয় এবং সর্বোচ্চ ৪০…

Read More

একটি কোষ থেকে আরেকটি কোষ,সেই কোষ থেকে আরেকটি কোষ-এভাবে কোষবিভাজনের মাধ্যমে আমাদের কোষগুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।তবে কোষ বিভাজনের আগে কোষে থাকা ডিএনএ গুলো সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়।একটি ডিএনএ থেকে আরেকটি ডিএনএ তৈরী হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিএনএ রেপ্লিকেশন।বাংলায় একে বলে ডিএনএ অনুলিপন।ডিএনএ অনুলিপনের জন্য বেশ কিছু উপাদানের প্রয়োজন পড়ে।যেমন-১.সক্রিয় ডিঅক্সি নিউক্লিওসাইড ট্রাইফসফেট২.ডিএনএ টেমপ্লেট৩.ডিএনএ পলিমারেজ এনজাইম৪.প্রাইমার৫.ম্যাগনেসিয়াম আয়ন৬.ডিএনএ পলিমারেজ সংশ্লিষ্ট প্রোটিন এবং এনজাইমডিএনএ পলিমারেজ সংশ্লিষ্ট এনজাইমগুলো হলো-*প্রাইমেজ*হেলিকেজ*সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ড বাইন্ডিং প্রোটিন*টপোআইসোমারেজ*ডিএনএ লাইগেজ ডিএনএ অনুলিপনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।সেগুলো হলো-★এটি একটি অর্ধসংরক্ষণশীল প্রক্রিয়া★এটি একটি সুষম প্রক্রিয়া★জিনোমের বিশেষ কিছু জায়গার অনুলিপন না হয়ে পুরো জিনোমেরই অনুলিপন ঘটে★প্রাইমারের প্রয়োজন হয়★ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে★ডিএনএ পলিমারেজ…

Read More

Spleen~ বাংলায় যাকে আমরা প্লীহা বলে চিনি তা লসিকাতন্ত্র এবং রক্তসংবহনতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।আমাদের উদরের বামদিকে প্লীহার অবস্থান।একে আবার হিমোলিম্ফয়েড অঙ্গও বলা হয়ে থাকে।কারণ লিম্ফ বা লসিকা নোড যেমন লসিকাকে পরিস্রুত করে,প্লীহাও তেমনি রক্তকে পরিস্রুত করে।এর আরেকটি কাজ হলো এটি শিশুর জন্মের আগে তার দেহে ইরাইথ্রোসাইট এবং জন্মের পরে লিম্ফোসাইট তৈরী করে। প্লীহাতে একটি মজার প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়।সেটি হলো প্লীহা ১-১১ বিজোড সংখ্যা মেনে চলে।প্লীহার-পুরুত্ব: ১ ইঞ্চিপ্রস্থ: ৩ ইঞ্চিদৈর্ঘ্য: ৫ ইঞ্চিভর: ৭ আউন্সসীমা: ৯-১১ নম্বর পর্শুকাপ্লীহায় বিজোড় সংখ্যার এই বিন্যাসকে বলা হয় Harris dictum. প্লীহাকে দুইটি সার্ফেস থাকে-১.ভিসেরাল সার্ফেস২.ডায়াফ্রামেটিক সার্ফেসপ্লীহায় থাকে তিনটি বর্ডার-১.সুপিরিয়র বর্ডার২.ইনফিরিয়র বর্ডার৩.ইন্টারমিডিয়েট বর্ডারদুইটি প্রান্ত থাকে-১.সামনের প্রান্ত২.পিছনের…

Read More

আমাদের বৃহদন্ত্রের রয়েছে তিনটি অংশ-সিকাম,কোলন ও মলাশয়।সিকামের সাথে আঙ্গুলের মত একটি প্রবর্ধক যুক্ত থাকে।এটিই হলো এপেনডিক্স।এটি সিকামের মধ্য-পশ্চাৎ থেকে ওঠে।অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের এপেনডিক্স থাকে।যেমন-*Retro-colic*Pelvic variety*Sub-caecal ইত্যাদি এপেনডিক্সে রক্ত সংবহন হয় appendicular artery দিয়ে।এটি ileo-colic artery এর নিচের ভাগের একটি শাখা।এই artery বা ধমনীটি ইলিয়ামের প্রান্তের পিছন দিয়ে গিয়ে বেসের কাছে একটা recurrent শাখা দেয় এবং posterior caecal artery এর সাথে যুক্ত হয়।তবে ধমনীটি এপেনডিক্সের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা।তার আগেই শেষ হয়ে যায়। এপেনডিক্সের নার্ভ সাপ্লাই অটোনমিক ধরনের।অর্থাৎ, এখানে সিমপ্যাথেটিক এবং প্যারাসিমপ্যাথেটিক-উভয় ধরনেরই স্নায়ু সংবহন হয়ে থাকে।-সিমপ্যাথেটিক সংবহন: স্পাইনাল কর্ডের দশ নম্বর থোরাসিক সেগমেন্ট দ্বারা।-প্যারাসিমপ্যাথেটিক সংবহন: ভ্যাগাস স্নায়ু দ্বারা।স্পাইনাল…

Read More

আমাদের পরিপাকতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি হলো অগ্ন্যাশয়।এতে অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা-উভয় গ্রন্থি থাকায় এটিকে বলা হয় মিশ্রগ্রন্থি।এর বহিঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসরণ করে অগ্ন্যাশয় রস।এই অংশে অনেকগুলো লোবিউল থাকে।আর অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি নিঃসরণ করে আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহ্যানস যাতে থাকে আলফা সেল,বিটা সেল,ডেলটা সেল ইত্যাদি।অগ্ন্যাশয় লম্বায় ১২-১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।এতে চারটি অংশ থাকে।সেগুলো হলো- মস্তক,গলা,দেহ এবং লেজ। মস্তকের থাকে দুইটি সার্ফেস-i.anteriorii.posterior.চারটি বর্ডার-i.superiorii.inferioriii.rightiv.leftএকটি প্রসেস বা বর্ধিত অংশ- uncinate process.অগ্ন্যাশয়ের দেহটি ত্রিকোণাকার এবং রয়েছে তিনটি সার্ফেস-1.anterior2.inferior3.posteriorএবং থাকে তিনটি বর্ডার-1.superior2.anterior3.inferiorSuperior border এর ডানদিকে থাকে tuber omentali.Posterior surface এর রিলেশনে থাকে-1.Abdominal aorta2.Left crus of diaphragm3.Left psoas major4.Sympathetic trunk5.Left suprarenal gland6.Left kidney with hilus7.Left renal vessel8.Left suprarenal & left gonadal…

Read More