বীর্যপাত মানে পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। যদিও নিঃশব্দেই থাকতে পারে, কিন্তু যদি এই সমস্যাটি দ্রুত হয়ে যায়, তাহলে এটি পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যকে বিপর্যস্ত করতে পারে।
দ্রুত বীর্যপাত হলে পুরুষকে বীর্যধারণ করার ক্ষমতা থেকে মাত্রা কমে যায় এবং সম্ভবতঃ স্ত্রীর গর্ভধারণার সম্ভাবনা বাড়ে।
তাই প্রতিষ্ঠিত কর্মকান্ডে নবায়ন করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হলে তা সমস্যার সন্মুখে বিবেচনা করতে দ্রুতই ভাল হবে।
দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যার কারণ
দ্রুত বীর্যপাতের কারণগুলো বেশ সহজেই জানা যায়। যেমনঃ অপ্রচলিত জীবনযাপন, অপরিস্কারক খাবার, শারীরিক অক্ষমতা, মানসিক তন্দ্রাবস্থা, ক্ষতিপূরণকারী শক্তির ব্যয় এবং বিভিন্ন যৌনসঙ্গম সমস্যা ইত্যাদি।
এছাড়াও কয়েকটি অন্যান্য কারণও থাকে যেমনঃ নিয়মিত যৌনসঙ্গমের অভাব, জন্যবিহীনতা, যৌনতা পরিবর্তনের দক্ষতা, যৌন ব্যথা বা শারীরিক পরিবর্তন ইত্যাদি।
দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যার প্রভাব
দ্রুত বীর্যপাত কিন্তু কোনো মোটামুটি সমস্যা নয়, যা কোনো সময়েই বিপদের সন্মুখে পুরুষকে রাখতে পারে। এটি সামগ্রিকভাবে পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা গুলোর উত্পাদন করতে পারে।
কিছু প্রভাব যা বীর্যপাতের সময়ে মানসিক এবং শারীরিক ভূমিকা পালন করে তা হলঃ যৌন অপনেতা, যৌন অসুখ, শীতলতা বা কাঠিন্য, যৌন অসন্তুষ্টি এবং বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি।
এছাড়াও বীর্যপাতের সময় যৌন উদ্বিগ্নতা, ক্ষীণ শারীরিক শক্তদ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সমাধানের উপায়
দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
সঠিক পরিমাপে যাত্রা করা এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত আহার গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিয়মিত নিদ্রা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা ও তামাক নিষেধ করা উচিত।
স্বাস্থ্যকর আহার
শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত, যেমনঃ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার (মাংস, মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি) এবং উত্তপ্ত ফল ও সবজি।
মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্কার রাখা
মানসিক তন্দ্রাবস্থা ও চিন্তা থেকে দূরে থাকা জরুরি। মেডিটেশন, যোগাসন, প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো ইত্যাদি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য উপযুক্ত।
যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চিকিৎসা
দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থাকলে নিকটস্থ চিকিৎসার সাথে যোগাযোগ করা উচিত। যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত স্পেশালিস্ট ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত এবং প্রেসক্রিপশন মত চিকিৎসা মেনে চলা উচিত।
নিয়মিত যৌনসঙ্গম
নিয়মিত যৌনসঙ্গমের উপর দক্ষতা বজায় রাখা প্রয়োজন। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও সমস্যার কারণ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। যদিও কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসার নির্দেশিকা মেনে চলা জরুরি।
সমস্যাটি নতুন ও বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য অতি দ্রুত যোগাযোগ করা উচিত।