দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে মুক্তি পেতে চান? দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সৎভাবে বাচতে হবে। যদি অতিতে অনেক খারাপ কিছু করে থাকেন সেটি থেকে নিজেকে ফিরিয়ে আনুন।
দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে মুক্তি
দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে মুক্তি পেতে হলে আল্লাহর ক্ষমার ব্যাপারে হতাশ হতে নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহর ক্ষমার ব্যাপারে হতাশ হতে নেই। দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে মুক্তি চান? আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন। সত্যিই দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে মুক্তি পাবেন। যারা নিজেকে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে মুক্তি দিতে চান কেবল তারাই মহান রবের দিকে ফিরে আসুন।
দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী কেন আসে মাথায়?
হে আল্লাহর নাফরমানী করা পাপে নিমগ্ন, যখন আল্লাহ নিজেই আপনার ভাল চান তখন দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী আপনার পাপ ও অবাধ্যতার কারণে যা আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন ছোট শাস্তি হিসাবে। তাহলে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী আপনার ভালর জন্যই আপনাকে আল্লাহর দিকে ফেরানোর জন্যই। আখিারাতের জাহান্নাম আপেক্ষা দোনিআতে সমান্য দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী অবশ্যই ভাল যাতে আপনি আপনার রবের দিকে ফিরে আসতে পারেন।
ইসলামে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীর কারণ কি?
ইসলামে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীর কারণ কি অনেকেই খুজতেছেন? আল্লাহ কেন আমাকে এতো দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীর দেন। আল্লাহ তাআলা আখিরাতের বড় শাস্তির পর দোনিআতে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী নামক ছোট শাস্তি কেন দেন? যাতে বান্দা তার রবের দিকে মহা মনিবের দিকে মহান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। যখন বান্দা আল্লাহ তাআলার সাথে নাফরমানী করেন, আল্লাহর পথ থেকে অনেক দুরে সরে যান তখন আল্লাহ তাআলাই আপনার উপর দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী চাপিয়ে দেন যা আল্লাহ তাআলা কুরআনে বর্ণনা করেন আল আযাবুল আদনা যা ছোট শাস্তি। কেন বলেছেন? শুনবেন না।
আর অবশ্যই আল্লাহ তাদেরকে আখিরাতের বড় আযাবের পুর্বে দুনিয়াতে ছোট আযাব প্রদান করবেন। যেন তারা তার রবের দিকে ফিরে আসে। সুরা: ৩২, আয়াত:২১
মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে ও স্থলে বিপরযয় দেখা দিয়েছে যাতে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি প্রদান করান, যেন তারা তার রবের দিকে ফিরে আসে। সুরা: ৩০, আয়াত:৪১
ইসলামে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীর সমাধান
ইসলামে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীর সমাধান হল আপনি তাওবা করে আপনার রবের দিকে ফিরে আসুন। দেখবেন মানষিক শান্তি পেতে শুরু করেছেন। তাই ইসলামে দুশ্চিন্তা ও পেরেশানীর সমাধান হিসাবে নিচের কাজগুলো ফলো করতে পারেন।
আর যখনি বান্দা আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা করবে তখনি বান্দা আল্লাহ তাআলার প্রথম প্রাপ্তি অনুভব করবে এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রথম উপহার , হে তাওবার ইচ্ছা পোষনকারী জান্নাত? এটাই তোমর জন্য যথেষ্ট নয়? শুধুই কি জান্নাত? না? যেমনটি আলোচনার শুরুতে বলেছি স্বাচ্ছন্দময় জীবন। আখিরাতের পুর্বে দোনিআতেই স্বাচ্ছন্দময় জীবন উপহোর দেন।
মুমিন পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎ কাজ করবে, তাকে অবশ্যই স্বাচ্ছন্দময় জীবন দান করব। সুরা: ১৬, আয়াত:৯৭
আর তোমরা তোমার রবের কাছে ক্ষমা চাও আর তার কাছে ফিরে আসো। অতঃপর তার কাছে ফিরে আসো। তাহলে তিনিই তোমাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্জন্ত উত্তম ভোগ উপকরণ দিবেন। সুরা: ১১, আয়াত:০৩
আচ্ছা তাহলে ভাল কথা যে জান্নাত ও স্বাচ্ছন্দময় জীবন পাবো। আমি তাওবা করবো পরিবর্তন হবো। তবে আমার একটি সমস্যা তো আছেই সেটি হল আমার অতিতের পাপগুলো কি হবে? আমি আল্লাহর অবাধ্যতা করেছি তার কি হবে?
যে মন্দ কাজ করে কিংবা নিজেই নিজের উপর জুলুম করে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রর্থনা করে সে তার আল্লাহকে তারা গুণাহার বিষয়ে পরকালে ক্ষমাশীল ও করুণাময় হিসাবেই পাবে। সুরা: ০৪, আয়াত:১১০
আর তিনিই তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন এবং পাপসমুহ ক্ষমা করে দেন।
আমি তো এশার নামাজ না পড়েই আপনার আর্টিকেলটি পড়লাম তাহলে এখন আমার কি হেব?
তিনি পাপসমুহ ক্ষমা করে দেন। সুরা: ৪২, আয়াত:২৫
ধরুন আমি গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় আপনার এই আর্টিকেল পরতেছি তখন কি হবে?
তিনি পাপসমুহ ক্ষমা করে দেন। সুরা: ৪২, আয়াত:২৫
ধরুন আমার পকেটে মাদক আছে এই অবস্থায় আপনার এই আর্টিকেল পরতেছি তখন কি হবে?
তিনি পাপসমুহ ক্ষমা করে দেন। সুরা: ৪২, আয়াত:২৫
আর যদি যেনা ব্যভিচার করে থাকি তখন কি হবে?
তিনি পাপসমুহ ক্ষমা করে দেন। আর তোমরা যা কর, তা তিনি জানেন। সুরা: ৪২, আয়াত:২৫
আর যদি সমকামিতা করে থাকি তাহলে কি হবে?
তবে যে তাওবা করবে, ঈমান আনবে এবং সৎকর্ম করবে পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দিবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সুরা: ২৫, আয়াত:৭০