❝আমরা এ যুগের ডিজিটাল দাইয়ুস নই তো?❞
মূল লিখায় প্রবেশের পূর্বে সংক্ষিপ্তাকারে জেনে নিই দাইয়ুস এর পরিচয়…
দাইয়ুস হচ্ছে, যে নিজ পরিবারে যিনা-ব্যভিচার, বেপর্দা বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার কাজকে প্রশ্রয় দেয়।
রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) বলেছেন, তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন- যে মদ তৈরী করে, যে পিতা মাতার নাফরমানী করে, দাইয়ুস ব্যক্তি (যে নিজ স্ত্রীকে অশ্লীলতা ও ব্যভিচার করতে সুযোগ দেয় – (আহমাদঃ৫৮৩৯)
দাইয়ুস ব্যক্তির পরিণতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) বলেছেন, দাইয়ুস কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (নাসাঈঃ২৫৬২, আহমাদ, মিশকাতঃ৩৬৫৫, সহীহুল জামেঃ৩০৫২)
মূল লিখা শুরুঃ— [বইঃ গল্প কল্প চিন্তা, লিখেছেনঃ মুহতারাম আহমাদ ইউসুফ শরীফ]
❝বর্তমান সময়ে দাইয়ুস দুই প্রকারঃ অফলাইন দাইয়ুস, আর অনলাইন দাইয়ুস।
সেক্যুলার ও মডারেট ঘরানায় উভয় প্রকার দাইয়ুসের দেখা মিললেও দ্বীনি ঘরানায় অনলাইন দাইয়ুসের বিষয়টি আশঙ্কাজনক রূপ নিয়েছে। আমার ঘরের বউ, মেয়ে বা বোনটি হয়তো হিজাব-নিকাবে বাহ্যিকভাবে গাইরে মাহরাম হতে দূরত্ব বজায় রাখছে।
কিন্তু কেউ কেউ অনলাইনে এসে গাইরে মাহরামের বিষয়টি ভুলে যাচ্ছে। এখানে পোস্ট, কমেন্ট আর ইনবক্সসহ নানা ইস্যুতে আমরা নিজেরা যেমন গাইরে মাহরামের সাথে নানাভাবে জুড়ে যাচ্ছি, তেমনিভাবে আমাদের অনেকের ঘরের মেয়েরাও তা-ই করছে।
আমাদের বিশিষ্ট অনলাইন দাঈ ও একটিভিস্টদের অনেকেই বিষয়টাকে ডালভাত পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন। বিষয়টি নিয়ে এখন থেকেই নিজে সতর্ক হই, অন্যকে সতর্ক করি। বিশেষ করে ঘরের নারীদের সতর্ক করি, এবং সজাগ দৃষ্টি রাখি।
তা না হলে ভবিষ্যতে এমনসব চুনকালিমাখা ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। দাওয়াত ও ইসলাহ যেন আমার জন্য ধোঁকার জাল না হয়ে যায়।
আমার ঘরের নারী যেন গাইরে মাহরামের আইডিতে দেখা না যায়। ফিতনার জমানায় নিজেকে আগে বাঁচাতে হবে। নিজের ঘর বাঁচাতে হবে। আগামী প্রজন্মকে স্বচ্ছ এবং সুস্থ ধারণা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
একজন গাইরে মাহরামের লেখা ভালো লাগলেই তাতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার বা কাউকে মেনসন করার কোনো প্রয়োজন নেই। ছেলেরা কোনো বন্ধুকে আর মেয়েরা কোনো বান্ধবী বা সুহৃদকে লেখাটি পড়তে দিতে চাইলে তার ইনবক্সে লিংক দিয়ে দিলেই হয়। তিনি এসে পড়ে যাবেন। ব্যস❞
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
©