সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কেন হয় তা অনেকেই জানতে চান এই জ্বালাপোড়া বা ব্যথা লাগার পিছনে স্বাভাবিক শারীরিক কারণ রয়েছে তা আমাদের জানা উচিত। চলুন আজকে জেনে নেই সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কেন হয় এবং এর থেকে আমাদের প্রতিকার কি?
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বিবাহ পরবর্তী জীবনে বেশ কয়েকবার সহবাসের পর সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা লাগে। অনেকে বুঝতেই পারেন না যে সহবাসের পর সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয় নয় এবং সহবাসের পর সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথার প্রতিকার করা জরুরি।
সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কেন হয়
সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কেন হয় | নারী যৌনাঙ্গ একজন নারীর দেহের সবচাইতে স্পর্শকাতর অঙ্গ, সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে ব্যথা পাওয়া বা কষ্ট অনুভুত হলে অবশ্যই বিষয়টির প্রতিকার করতে হবে। সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কেন হয় অন্যথায় স্থায়ী কোন ক্ষতি হয়ে যাওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়। চলুন কি কি কারণে সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব হতে পারে তা জেনে নেই।
অপরিষ্কার থাকা
আমাদের মনে রাখতে হবে যে একজন চারটি ক্রিটিকাল অঙ্গ একসাথে লাগালাগি অবস্থায় থাকে তা হল পায়ু পথ যা পায়খানা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, দ্বিতীয়টি হল মাসিকের রাস্তা যা দিয়ে মাসিকের বজ্র পদার্থ নির্গত হয়। আর একটি হল পেশাবের রাস্তা যা দিয়ে পেশাব করা হয় আর একটি হল যৌনাঙ্গ যা দিয়ে যৌন কাজ সম্পুর্ন হয়। যৌনাঙ্গ বাদে বাকি সব গুলো দিয়েই কিন্ত শরীরের বজ্র পদার্থ নির্গত হয়। তাই একজন মহিলা হিসাবে খুবই পরিষ্কার থাকা বাঞ্ছনীয়। তা না হলে একটি অঙ্গের বজ্র আর একটির অঙ্গের জন্য চরম ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়। অনেকদিন বজ্র থাকতে থাকতে আপনার যৌনাঙ্গ এর কোন ক্ষতি হতে পারে এজন্য সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব হতে পারে। তাছাড়া এই কারণে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে যা সৃষ্টি করতে পারে অনেক বড় কোন জটিল রোগ আপনার
সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কেন হয় প্রতিকার
মেয়ে হিসাবে আপনাকে সর্বদা পরিষ্কার পরিছন্যতা তাকতে হবে।প্রত্যেক পেমাব করা থেকে শুরু করে পায়খানা করা পর্জন্ত কিংবা মাসিকের সময় খুবই সাবধান থাকতে হবে।
যৌন উত্তেজিত হবার আগেই সহবাস
সহবাসের সময়ে ভেতরে আঘাত পাওয়া খুবই স্বাভাবিক যদি যৌনাঙ্গ যথেষ্ট পিচ্ছিল না হয় । এক্ষেত্রে ছিলে যাওয়া, সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। একজন স্বামী হিসাবে আপনাকে জানতে হবে যে নারীদের শারীরিকভাবে উত্তেজিত হতে স্বাভাবিকভাবে পুরুষের তুলনার অধিক সময়ের প্রয়োজন। ফলে যদি ফোর প্লে যদি দীর্ঘায়িত না হয় বেশীরভাগ সময় অনেক নারীই যথেষ্ট পরিমাণ উত্তেজিত বোধ করেন না যার ফলে সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব হতে পারে। অন্যদিকে শারীরিক কোন সমস্যার কারণেও যৌনাঙ্গ যথেষ্ট পিচ্ছিল হতে নাও পারে।
প্রতিকার: ফোর প্লে যদি দীর্ঘায়িত করুন। যতক্ষন না আপনার সঙ্গি জোর করে পেনিস তার অঙ্গে না ঢুকায়। এক্ষেত্রে সেক্স হবে দুজনার জন্য খুব বেশী আনন্দময়।
আপনার সঙ্গীর লিঙ্গের আকার
আপনার সঙ্গীর লিঙ্গের আকার যদি নারীর যৌনাঙ্গের তুলনায় অধিক বড় হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ব্যথা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক তবে এক্ষেত্রে এই ব্যথা বেশ তীব্র। অনেকটা পিরিয়ডের মত এই ব্যথা অনুভুত হতে পারে। এছাড়াও ভেতরে ছিলে যাওয়া, কেটে যাওয়া, জ্বলুনি হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।
প্রতিকার: প্রথমত সঙ্গীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলুন, ব্যাপারটি নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা খুবই জরুরি। ফোর প্লে আরও দীর্ঘায়িত করুন। নারীদেহের উত্তেজনা যত বেশী বাড়বে, ততই যৌনাঙ্গের মুখ প্রসারিত ও পিচ্ছিল হবে। ফলে সহবাস যথেষ্ট সহজ ও আনন্দময় হয়ে আসবে।
যৌনতায় উন্মাদনা
খুব দ্রুত বা কামনায় অধীর হয়ে আপনার সঙ্গিনীকে সহবাস করলে অনেক সময়েই ভ্যাজাইনায় আঘাত লাগতে পারে। বেশিরভাগ সময় যৌনতার ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ভঙ্গাঙ্কুর বেশি আঘাত পেয়ে থাকে । পর্ন দেখে সেভাবে সহবাস করতে গেলেও এমনটা হয়ে থাকে।
প্রতিকার: প্রচুর পরিমাণে আপনাকে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হবে, এতে আঘাত পাবার সম্ভাবনা খুবই কম। আঘাত পেয়ে গেলে একটি পাতলা কাপড়ে বরফ নিয়ে আপনার ভগাঙ্কুরে চেপে ধরে রাখুন কিছুক্ষণ পর পর। চাইলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভগাঙ্কুর ধুয়েও নিতে পারেন। মনে রাখবেন যৌনাঙ্গের ভেতরে বরফ প্রবেশ করা যাবে না।
কনডমের ঘর্ষণ
কনডমের ঘর্ষণে মেয়েদের যৌনাঙ্গের ভেতরে আঘাত পাওয়া, ছিলে যাওয়া, কেটে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। নারীরাকনডমের ঘর্ষণ ক্ষেত্রে যৌনতা বেশীরভাগ সময় উপভোগও করতে পারেন না।
প্রতিকার: কনডমের ব্যান্ড পরিবর্তন করুন কিংবা অন্য কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বেছে নিন। প্রচুর পরিমানে লুব্রিকেন্টে ব্যবহারেও ফল পাবেন।
যৌনাঙ্গে ইনফেকশন
যৌনাঙ্গে যে কোন ধরণের ইনফেকশন থাকলে সহবাসের সময়ে ব্যথা পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। সাধারণ ইষ্ট ইনফেকশন কিংবা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত যে কোন ইনফেকশনের কারণে এমনটা হয়ে থাকে।
প্রতিকার: চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সঠিক চিকিৎসায় নিযে সুস্থ রাখুন। যৌনাঙ্গ সর্বদা পরিষ্কার করে রাখুন। নিজের যত্ন নিজেই নিন।
সহবাসে জ্বালাপোড়ার আরো কিছু কারণ
১) যে কোন নারীর তার জীবনে সর্বপ্রথম যে সহবাস বা যৌন মিলন করে থাকে সেটা স্বভাবিকভাবেই একটু ব্যাথা দায়ক হবেই।
এই ব্যাথাটা খুবই সাময়িক পরবর্তীতে যৌন মিলনকালে এমন আর না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ প্রথম যৌন মিলনে নারীর যৌনাঙ্গ হাইমেন ছিঁড়ে যাওয়ার জন্য এমনটি হয়।
২) নারীর যৌন সহবাসের সময় যোনীতে কামরস বের হয়, যেটা পুরুষাঙ্গের চলন সহজ করে। কোন কারণে যদি নারীর যনীতে পিচ্ছিলকারক পানি না আসে, এমন অবস্থায় যৌন মিলনে নারী ব্যাথা পায়।
৩) মাসিক বা পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যৌন মিলনে নারী ব্যাথ পেতে পারে।
৪) নারীর যোনীর আকার থেকে যদি পুরুষাঙ্গ বড় হয়, তবে যৌন মিলনে নারী ব্যাথা অনুভব করে।
৫) মাসিক বা পিরিয়ড চলাকালে নারী এমনিই অনেকটা অসুস্থ্য থাকে। তলপেটে অনেকের প্রচুর ব্যাথা হয়। এই সময় যদি যৌন মিলন হয় তবে বেশীরভাগ নারী আছে যারা ব্যাথা পায়।