বাণিজ্য মেলার শেষ দিনে ক্রেতাদের ভিড়

লাখো ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়ে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। আজ রাত নয়টায় পর্দা নামবে বাণিজ্য মেলার এবারের আসরের। শেষ সময়ে তাই ঘোরাঘুরির চেয়ে কেনাকাটায় বেশি মনোযোগী ক্রেতারা। মেলার শেষ সময়ে বিভিন্ন পণ্যে মূল্যছাড় পেয়ে খুশি তাঁরা। প্রত্যাশা পূরণ না হলেও বিক্রেতারা খুশি ক্রেতার সংখ্যা বাড়ায়। আর করোনা পরিস্থিতিতে সময়মতো মেলা শেষ করতে পারায় সন্তুষ্ট মেলার আয়োজকেরা।এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও মেলার শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর মেলার সময় বাড়ানো হয়নি। এখন সমাপনী অনুষ্ঠান চলছে। রাত নয়টায় মেলার কার্যক্রম শেষ হবে।


মেলায় শুরুর দিকে বিক্রি কম থাকলেও শেষের দিকে তা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। মেলায় অংশ নেওয়া অ্যালয় অ্যালুমিনিয়ামের উপমহাব্যবস্থাপক তফাজ্জল হোসেন বলেন, যে রকম আশা করেছিলাম, সে রকম বিক্রি হয়নি। তবে শেষ সপ্তাহে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ায় বিক্রিও বেড়েছে। এ জন্য লোকসান হয়নি, মোটামুটি ব্যবসা হয়েছে।মূল্যছাড়ে কেনাকাটা করতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। রাজধানীর মিরপুর থেকে শেষ দিনে মেলায় এসেছেন মহসিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগে একবার এসেছিলাম, কিছু কিনি নাই। আজ এসে বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দেখছি। দেখি, পছন্দের কিছু জিনিস আজ কিনব।’


তবে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন মেলার ফটকের ইজারা নেওয়া প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান। সোমবার বিকেলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আট লাখের মতো ক্রেতা-দর্শনার্থী মেলায় এসেছেন। মেলার ফটকের ইজারা পেতে আমাদের কর-ভ্যাটসহ ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। তবে খরচের টাকা এখনো ওঠেনি। গতকাল রোববার পর্যন্ত ৪৪ লাখ টাকার মতো ঘাটতি আছে আমাদের।রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্রে গত ১ জানুয়ারি এই মেলা শুরু হয়। মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও খাবারের ১৫টি দোকান রয়েছে। আগের বছরগুলোতে ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেলার সময় বাড়ানো হতো। তবে এ বছর করোনা সংক্রমণের কারণে সে রকম আর হচ্ছে না।

Leave a Comment