মাহমুদউল্লাহর ব্যাট দিয়ে খেলে আতহারের অর্ধশতক

‘ব্যাট ধার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ’—কথাটা বলতে বলতেই আতহার আলী খান হাত মেলালেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। আজ বিজয় দিবসে উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজিত প্রীতি ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট ধার নিয়ে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার আতহার।টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ব্যাট দিয়ে খেলে আতহার করেছেন অর্ধশতক, তাঁর অর্ধশতকে শহীদ মুশতাক একাদশ ও শহীদ জুয়েল একাদশের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচে জিতেছে আতহারদের শহীদ মুশতাক একাদশ। খেলা শেষে মাহমুদউল্লাহকে সামনে পেয়ে ধন্যবাদ দিতে ভুললেন না আতহার। বেশ উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই তিনি বলছিলেন, ‘তোমার ব্যাট দিয়েই আমি আজ ফিফটি করেছি। ধন্যবাদ তোমাকে।’

আজ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে যেন সাবেক তারকাদের মেলা বসেছিল। এমন দিনে মাঠের ক্রিকেটটা শুধু উপলক্ষমাত্র। হার–জিত এ খেলায় অতটা মুখ্য নয়। এর চেয়ে অনেক বড় হয়ে ওঠে ম্যাচকে ঘিরে তৈরি হওয়া আবহ। পুনর্মিলন, স্মৃতিচারণা—বরাবরের মতো এসবই ছিল মুখ্য। সাবেক ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই যেমন মাঠে এসেছিলেন পরিবার নিয়ে।পরিবার, সাংবাদিক ও বোর্ডের কর্মকর্তাদের সামনেই হয়ে গেল কুড়ি ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ। যেখানে টস হেরে ব্যাট করতে নামে শহীদ মুশতাক একাদশ। দুই ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন ও আতহার আলী উদ্বোধনী জুটিতে এনে দেন ৫২ রান। ২৪ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন শাহরিয়ার। আতহার ক্রিজে টিকে থেকে অর্ধশত করেন। আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৬০ রান করেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কায়।

শেষ দিকে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ খেলেন এ যুগের টি-টোয়েন্টি ‘ফিনিশার’–এর মতো । ১৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। মাঠে উপস্থিত সবার আগ্রহ ছিল অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীনের দিকে। নিজের সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান অবশ্য আজ সুবিধা করতে পারেননি, আউট হয়েছেন ৩ রান করে। মোহাম্মদ রফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তোলে মুশতাক একাদশ। শহীদ জুয়েল একাদশের পক্ষে দুটি উইকেট নেন মাহমুদুল হাসান (বিকাশ)।


১৫১ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১০৮ রানে থেমেছে শহীদ জুয়েল একাদশের ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। ২৭ রান আসে মুশফিক বাবুর ব্যাট থেকে। মুশতাক একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন পেসার তারেক আজিজ। ম্যাচসেরা হয়েছেন আতহার।খেলা শেষে মিরপুর স্টেডিয়ামে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানসহ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকেরা। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এবং দুই দলে ভাগ হয়ে খেলা সাবেক ক্রিকেটাররাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নারী ক্রিকেট দল, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররাও শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

Leave a Comment