বিদেশি চ্যানেল ক্লিন ফিড না হওয়ায় দেশের ১২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়: অ্যাটকো

ক্লিন ফিড বা বিজ্ঞাপনছাড়া সম্প্রচার না করায় বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)।

শনিবার সন্ধ্যায় এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি। অ্যাটকোর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু সংগঠনের পক্ষে এ অবস্থান তুলে ধরেন।

মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। এর জন্য প্রাযুক্তিক নানা ব্যবস্থা রয়েছে। সরকার আইন মেনেই বর্তমান অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু কোনো চ্যানেলের সম্প্রচারে বাধা পড়ুক, তা কোনোভাবেই চাই না। আজকের কোনো বিশ্বনাগরিক তথ্য ও বিনোদন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হোক, তা চাই না। সবার স্বার্থ রক্ষা করে সমাধান চাই আমরা।’

তিনি বলেন, সরকার কেব্‌ল টিভির নীতিমালা ও বিধি অনুসারে বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞপনশূন্য সম্প্রচার করার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। এতে অপরাগ হলে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা আগেই দিয়ে রেখেছিল। অ্যাটকো সরকারি এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়। ইতিমধ্যে কেব্‌ল অপারেটরদের পক্ষ থেকে সময় প্রার্থনা করা হয়েছে। সরকার নিজস্ব বিবেচনায় তা করবে।

মোজাম্মেল বাবু বলেন, বিশ্বের সব দেশে এ আইন বলবৎ আছে। বাংলাদেশে ২০০৬ সালে এ–সংক্রান্ত আইন হয়েছে। বিধিমালা হয়েছে ২০১০ সালে। বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশি চ্যানেল চালু করতে হলে অবশ্যই চ্যানেলকে ক্লিন ফিড বা বিজ্ঞাপনশূন্য হতে হয়। সব দেশ এই আইন কঠোরভাবে মেনে চলে।

বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনশূন্য না হওয়ায় বাংলাদেশের অন্তত ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় বলে জানান মোজাম্মেল বাবু। তিনি বলেন, এর মধ্যে ভ্যাট বা অন্যান্য কর হিসেবে সরকারের প্রাপ্য থাকে এক–চতুর্থাংশ বা ৩০০ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ বিজ্ঞাপন হিসেবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পোর্টালের প্রাপ্য। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে এখন প্রায় কোনো বিদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন পাওয়া সম্ভব হয় না।

এক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল বাবু বলেন, প্রযুক্তির প্রয়োগ করেই চ্যানেল ক্লিন ফিড করে সম্প্রচার সম্ভব। এটা আছে। এখন প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে। আর ক্লিন ফিড করলে সম্প্রচারে কোনো বাধা নেই। থাকবেও না।

মোজাম্মেল বাবু বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেব্‌ল অপারেটরদের সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সরকার তার আইন প্রয়োগ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হতেই হয়। সব আইন নিয়ে সবাই ঐক্যমত্য হয় না। তারপরও আইন মানতে হয়।

Leave a Comment