কাঠবাদামের যত উপকারিতা…

১.হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই প্রতিদিন বাদাম খাওয়া শুরু করলে হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকবে।

২.কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়: বাদামের ফাইবার শরীরের জন্য উপাদেয়। আর্জিনিন এবং হেলদি ফ্যাটের সঙ্গে এই ফাইবারের উপস্থিতি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।

৩.ওজন কমায়:কাঠবাদামএ রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন যা খেলে সুগার লেভেলও ঠিক রাখা যায়।এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও থাকে না।আর তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।

৪.মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: আমেরিকার

অ্যান্ড্রস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ম করে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

৫.হজমশক্তি বাড়ায়: কাঠবাদামে যে ফাইবার থাকে, তা মানবদেহের হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৬.কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: বাদামে থাকা প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই শরীরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে থাকা কোষের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে যাতে কোনও ক্ষতের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।ফলে বয়স বাড়লেও শরীরের উপর এর কোনও প্রভাব পরে না।

৭.ভিটামিনের আঁধার:কাঠবাদামে ভিটামিন ই, এ, বি১, বি৬ থাকার ফলে চুলও ভালো রাখে। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য চুল গোড়া থেকে সুস্থ থাকে ও তাড়াতাড়ি বাড়ে।

৮.ত্বক সুন্দর রাখে:কাঠবাদামে বিদ্যমান ভিটামিন ই ত্বক সুন্দর রাখে আর মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না।

৯.এনার্জি লেভেল ঠিক রাখে:এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে রোজ কাঠবাদাম খাওয়া উচিত।আর তাই সকালবেলা উঠেই দুটো কাঠবাদাম খেয়ে নিলেই তরতাজা থাকা যায়।

১০.রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে: পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন, বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই মৌল। তাই ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ সঠিক থাকলে ইনসুলিনের সঠিক কার্যকলাপ বজায় থাকে।

Leave a Comment