আমাদের বৃহদন্ত্রের রয়েছে তিনটি অংশ-সিকাম,কোলন ও মলাশয়।সিকামের সাথে আঙ্গুলের মত একটি প্রবর্ধক যুক্ত থাকে।এটিই হলো এপেনডিক্স।এটি সিকামের মধ্য-পশ্চাৎ থেকে ওঠে।অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের এপেনডিক্স থাকে।যেমন-
*Retro-colic
*Pelvic variety
*Sub-caecal ইত্যাদি
এপেনডিক্সে রক্ত সংবহন হয় appendicular artery দিয়ে।এটি ileo-colic artery এর নিচের ভাগের একটি শাখা।এই artery বা ধমনীটি ইলিয়ামের প্রান্তের পিছন দিয়ে গিয়ে বেসের কাছে একটা recurrent শাখা দেয় এবং posterior caecal artery এর সাথে যুক্ত হয়।তবে ধমনীটি এপেনডিক্সের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা।তার আগেই শেষ হয়ে যায়।
এপেনডিক্সের নার্ভ সাপ্লাই অটোনমিক ধরনের।অর্থাৎ, এখানে সিমপ্যাথেটিক এবং প্যারাসিমপ্যাথেটিক-উভয় ধরনেরই স্নায়ু সংবহন হয়ে থাকে।
-সিমপ্যাথেটিক সংবহন: স্পাইনাল কর্ডের দশ নম্বর থোরাসিক সেগমেন্ট দ্বারা।
-প্যারাসিমপ্যাথেটিক সংবহন: ভ্যাগাস স্নায়ু দ্বারা।
স্পাইনাল কর্ডের দশ নম্বর থোরাসিক সেগমেন্ট দিয়ে এপেনডিক্সের আম্বিলিকাল অংশেও স্নায়ু সংবহন হয়।
এপেনডিক্সের ব্যথা সবচেয়ে বেশি অনুভব হয় McBurney’s point এ।
এপেনডিক্স চার ধরনের আবরণে আবৃত থাকে-
1.Serous coat: এটি পেরিটোনিয়াম থেকে আসে।
2.Muscular coat
3.Dubmucous coat: এখানে প্রচুর lymphatic follicule থাকে
4.Mucous coat
Muscular coat এ দুই ধরনের লেয়ার থাকে-
i.Outer longitudinal
ii.Inner circular
এই মাসলগুলোর ফাঁকে ফাঁকে থাকে hiatus muscularis.
এপেনডিক্সে যখন প্রদাহ হয় তখন তাকে বলা হয় appendicitis.এপেনডিক্সে hiatus muscularis, lymphatic follicule এর উপস্থিতির কারণে appendicitis খুবই সাধারণ একটি বিষয়।মনে করা হয়, এপেনডিক্স কেটে ফেললে মানবদেহে তেমন কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়না।
©দীপা সিকদার জ্যোতি