সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার পাঁচজন, ঠাকুরগাঁওয়ের চারজন, গাইবান্ধার দুইজনসহ রংপুর, লালমনিরহাট ও পঞ্চগড়ের একজন করে রয়েছেন। একই সময়ে নতুন করে ৫৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (০৩ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনাক্ত হওয়া ৫৩২ জনের মধ্যে দিনাজপুরে ২৫৮, ঠাকুরগাঁওয়ে ৯৪, রংপুরে ৫৫, পঞ্চগড়ে ৪২, কুড়িগ্রামে ৩২, গাইবান্ধায় ২৯, লালমনিরহাটে ১২ এবং নীলফামারীতে ১০ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪৬ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২ জুলাই) বিভাগের আট জেলার ২ হাজার ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৫৩২ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে বিভাগের হিলি ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও চারজন দেশে ফিরেছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে শুক্রবার (২ জুলাই) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৭ হাজার ৬৯২ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫৫১ জন।
এর মধ্যে দিনাজপুুর জেলায় করোনাভাইরাসে ৮ হাজার ৯৮০ জন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৮ জনে রয়েছে। রংপুরে ৬ হাজার ৩৫৭ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ হাজার ৬০৩ জন আক্রান্ত ও ৯৩ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধায় ২ হাজার ২৩৫ জন আক্রান্ত ও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া নীলফামারীতে ১ হাজার ৯২৮ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু ৩৮ জনের, কুড়িগ্রামে ১ হাজার ৮৮০ জন আক্রান্ত ও ২৭ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৫৬৫ জন আক্রান্ত ও ২৯ জনের মৃত্যু এবং পঞ্চগড় জেলায় ১ হাজার ১৪৪ জন আক্রান্ত ও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই। অন্যথায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।