শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ক্ষতিকর প্রভাব শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতায়

স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু ও তরুণদের মানসিক সুস্থতায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।

ইউনিসেফ এবং ইউনেস্কোর সঙ্গে ডব্লিউএইচও’র ইউরোপের পরিচালক হান্স ক্লুগ এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। খবর: বাসস।

তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ হ্রাসে এবং স্কুল বন্ধ রাখার পরিস্থিতি এড়াতে গ্রীষ্মের মাসগুলো ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারগুলোর জন্য একটা সুযোগ।’

ক্লুগ বলেন, ‘স্কুল বন্ধ রাখায় স্কুলশিশু ও তরুণদের শিক্ষা, সামাজিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব আমরা দেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এই মহামারীকে মেনে নিয়ে শিশুদের শিক্ষা ও উন্নয়ন ছিনিয়ে নিতে পারি না।’

ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে ড্রপআউটের হার হ্রাসের সমাধান এবং অনলাইন শিক্ষার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলারও আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।

অনলাইনে স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে এমনকি কোনো সংক্রমণ শনাক্ত না হলেও স্কুল শিক্ষার্থীদের কভিড-১৯ টেস্ট করার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

এর আগে বৈশ্বিক সংস্থাটি বলেছিল, যদি করোনাভাইরাসের ক্লাস্টার সংক্রমণ শনাক্ত হয় তাহলে অনলাইন শিক্ষার্থীদের টেস্ট করতে হবে। এখন সংস্থাটি মনে করে, শিক্ষার্থী ও স্টাফদের মধ্যে করোনার উপসর্গের অনুপস্থিতিতেও পিসিআর বা র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা উচিত।

Leave a Comment