১ লাখের বেশি মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছেঃ যুক্তরাষ্ট্র

হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এক লাখ মানুষের মধ্যে গতকাল ১২ ঘণ্টায় কাবুল থেকে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজে করে ৫ হাজার ১০০ জন এবং সহযোগী দেশগুলোর উড়োজাহাজে করে ২ হাজার ৪০০ জনকে আফগানিস্তানের বাইরে নেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। এর আগেই ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এএফপির।

এ মাসেই আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র বাহিনীর সেনাসদস্যদের প্রত্যাহার করা হবে, এমন ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সময়সীমার মধ্যে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও হুমকির মুখে থাকা আফগানদেরও। এই লোকজনকে দেশের বাইরে নিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সেনাদের পাহারায় তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন দেশে।

এদিকে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে চাওয়া বিদেশি নাগরিক ও আফগানদের চাপে কাবুল বিমানবন্দর যখন চরম ব্যস্ত, তখন গতকালই সেখানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে ১২ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪০ জনের বেশি। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেসামরিক আফগান নারী ও শিশু রয়েছে। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

এমন পরিস্থিতিতে ৩১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার আদৌ সম্ভব কি না, এ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এর জবাব দিয়ে গতকালই জো বাইডেন বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সরে যাবেন মার্কিন সেনারা।

Leave a Comment