হতাশা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। পর্ব-১

হতাশা কী?

হতাশাকে ইংরেজিতে বলে Frustration. সহজ কথায়, খুব করে চাওয়া কোনো কিছু না পেলে মানুষের মধ্যে যে অবসাদের ভাব সৃষ্টি হয়, তাকেই হতাশা বলে।

মানুষ যা চায় সব চাওয়াই যে পূর্ণতা পাবে এমনটা ভাবা চরম বোকামী। আমাদের চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে অনেক বাধা এসে থাকে। এই চাওয়া বা প্রেষণা চরিতার্থ না হলে মনের মধ্যে যে উদ্যমহীনতা দেখা দেয়; আবেগ, অনুভূতি ও কর্মস্পৃহার মধ্যে যে শৈথিল্য ভাব চলে আসে, তাকেই বলে হতাশা। মূলত, এটিই হলো হতাশার সুসংজ্ঞায়িত সংজ্ঞা।

ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন পর্যন্ত আমাদের আকাঙ্ক্ষা আর প্রাপ্তির পারদ সমান তালে উঠতে থাকলে, আমরা পুলকিত হই। আনন্দের শিহরণ বয়ে যায় শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কিন্তু, আকাঙ্ক্ষার পারদের সাথে যদি প্রাপ্তির পারদ তাল মিলাতে না পেরে পিছিয়ে যায়, তখন আমরা ভেঙ্গে পড়ি। এখান থেকেই শুরু হয় হতাশার নবসূচনা।

হতাশার কুফল:

হতাশাগ্রস্থ একজন ব্যক্তির জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠে। তার মাঝে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

১.হতাশার ফলে মানুষ মনের মধ্যে এক বেদনাদায়ক চাপ অনুভব করে।
২.কোনো কাজে মনোযোগী হতে পারে না।
৩.কাজের উদ্যম ও স্পৃহা হারিয়ে ফেলে।
৪.সবাইকে অসহ্য লাগতে শুরু করে।
৫.সমাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
৬.একাকিত্ব অনুভব করতে থাকে।
৪.অপরাধবোধে ভুগতে থাকে।
৫.খাবারে অরুচি দেখা দেয়।
৬.ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
৭.কারো কোনো কথায় বা কাজে আনন্দ খুঁজে পায় না।
৮.স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৯.আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

পাঠক বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই।

পরবর্তী পর্বে আমরা জানবো, হতাশাগ্রস্থ হওয়ার কারণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে।

Writer: Mahazabin Sharmin Priya

Leave a Comment