স্বামী আপনার প্রতি রাগান্বিত? কী করবেন বুঝতে পারছেন না? জেনে নিন কিছু কার্যকরী টিপস।

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার পরে স্বামী-স্ত্রী যেন দু’টি দেহে একই প্রাণ। সারাজীবন একসাথে অতিবাহিত করার আশায়ই আপনারা প্রণয়বন্দী হয়েছেন। লম্বা সময় ধরে একই ছাদের নিচে বাস করলে একটু আধটু খুনসুটি হয়েই থাকে।

আপনি হয়তো এমন কাজ করে ফেলেছেন, যা আপনার স্বামীর পছন্দ হয় নি। মন থেকে মেনে না নিতে পারলে আপনার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মাতে পারে। নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে সে আপনার উপর রেগে যেতে পারে। অথবা, হয়তো আপনার দোষই নেই তবুও কোনো কারণে আপনাকে ভুল বুঝে রেগে যেতে পারে।

এজন্য আপনি নিম্নোক্ত টিপস কাজে লাগিয়ে আপনার স্বামীর রাগ প্রশমিত করতে পারেন।

১.আপনার স্বামীর রাগান্বিত অবস্থায় আপনি চুপ থাকবেন। যদিও সেই সময়ে এটা অনেকটাই কঠিন হবে আপনার জন্য। তবুও যে করেই হোক ধৈর্য ধরে চুপ থাকুন। আপনি জানেন, আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের ভালবাসেন। সূরা আল-ইমরান এর ১৪৬ নং আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন, “যারা ধৈর্য ধরে আল্লাহ্ তো তাদেরকে ভালোবাসেন।”

২. হিউম্যান সাইকোলজি অনুযায়ী, রাগের সময় মানুষের হিতাহিত জ্ঞান শূন্যের কোঠায় নেমে যায়। এই সময় মানুষ ভালো-মন্দ কিছুই বুঝতে চায় না। তাই এই সময় তাকে বোঝানো থেকে বিরত থাকুন।

৩.এই সময়ে মনে মনে জিকির করুন, আপু। আল্লাহ্কে স্মরণ করুন। আপনার স্বামীর দিকে তাকিয়ে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন। আল্লাহ্ চাইলে কিছু সময় পর ওনার রাগ কমে যাবে ইন শা আল্লাহ্।

৪.জিদ ধরে থাকবেন না, আপু। রাগ কমে গেছে বুঝতে পারলে, তার কাছে যান। তার কাঁধে মাথা রাখুন। আপনার ত্রুটি না থাকলেও তার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান। আর ভুল করে থাকলে তা ও স্বীকার করুন।

৫.এই সময় যতটা সম্ভব নরম স্বরে হেসে কথা বলুন।

৬.দূরত্ব বাড়াবেন না, আপু। যদি তার রাগ কমে যাওয়ার পরও তার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে না করে, তাহলে আপনি তাকে একটু খানি বিরতি দিন। আপনি অন্য কোনো রুম বা ছাদে গিয়ে হাটাহাটি করতে পারেন।

৭.খুব বেশি সময় ধরে কথা বন্ধ রাখবেন না। দূরত্ব শুধু দু’জনকে দূরেই ঠেলে দেয়। কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে আন্তরিকতা।

৮.তার এই আচরণকে আল্লাহর দেয়া পরীক্ষা হিসেবে নিন এবং তাকে আল্লাহর জন্য মন থেকে ক্ষমা করে দিন। এসম্পর্কে আল্লাহ্ কী বলেছেন জানেন? আল্লাহ্ বলেছেন, “…আমি তো তোমাদের মধ্যে এককে অপরের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। দেখি, তোমরা ধৈর্য ধর কি-না!”( সূরা ফুরকান: ২০)

পরিশেষে বলছি, আদম সন্তান ভুল করবেই। দোষে-গুণেই তো মানুষ। আপনার একটু বিনয়ী আচরণ হতে পারে আপনার স্বামীর ভালো লাগার কারণ। আপনিও একসময় তার কাছে হয়ে উঠতে পারেন খুবই প্রিয়। তাহলে, একটু চেষ্টা করেই দেখুন না! শুভ কামনা আপনাদের জন্য।

Writer: Mahazabin Sharmin Priya

Leave a Comment