সৈয়দপুরে দোকান কর্মচারী কর্তৃক ৭ কোটি টাকা আত্মাসাৎ

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের আলম তারকাটা, এলাহী কুঠির শিল্প ও আলম ষ্টোর হার্ডওয়ার ফ্যাক্টরীর ৭ কোটি টাকা ২৭লাখ ৯৮হাজার ৩৩৭ টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে দোকানের কর্মচারির বিরুদ্ধে।

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের আলম তারকাটা, এলাহী কুঠির শিল্প ও আলম ষ্টোর হার্ডওয়ার ফ্যাক্টরীর ৭ কোটি টাকা ২৭লাখ ৯৮হাজার ৩৩৭ টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে দোকানের কর্মচারির বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় দোকানের ৫জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে ২ টি মামলা দায়ের করেছেন দোকানের মালিক ফাতেমা খাতুন (৩৭)। মামলা নং সি.আর ২৪৫/২০২১ ও সি.আর ২৪৬/২০২১। এই টাকা আত্মসাৎের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন সৈয়দপুর উপজেলার হাওলাপাড়ার মৃত শামিম মিস্ত্রির ছেলে ফখরে আলম (৫৩), রসুলপুর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ জামিল আহমেদ (৫২), কাজিরহাট এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে হায়দার আলী (৪৭), পুরাতন বাবু পাড়ার মৃত মুসার ছেলে মোঃ আরশাদ (৪৫) ও হাতিখানা ক্যাম্প এলাকার আমিন মোল্লার ছেলে মোঃ আমজাদ (৫৫)। মামলা দায়েরের পর উক্ত ৫জন আসামীদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন জারি করে। সমন পাওয়ার পরও আসামীরা আদালতে উপস্থিত না হলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা খাতুনের পিতা জামশেদ আলম যৌথভাবে দীর্ঘদিন থেকে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে অবস্থিত এলাহী কুটির শিল্প কারখানা, সৈয়দপুরের বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত আলম তারকাটা ফ্যাক্টরী ও আলম স্টোর নামে হার্ডওয়ারের দোকান চালিয়ে আসছে। উক্ত ফ্যাক্টরী ও দোকানের আসামী ফকর আলম বেতনভুক্ত ব্যবস্থাপক ও জামিল হিসাবরক্ষক হিসেবে ও অন্যান্য হায়দার আলী, মোঃ আরশাদ ও মোঃ আমজাদ (৫৫) কর্মরত ছিল। সেখানে দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে মালামাল ক্রয়-বিক্রয় ও হিসাব নিকাশ সহ কারখানার অন্যান্য কার্যাবলী পরিচালনা করে আসে তারা।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বতাধীকারী ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন বলেন, তারা আমাদের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মচারী ছিলেন। আমার বাবা অসুস্থ্য হওয়ার পর তাদের উপর আস্থা রেখে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। এই সুযোগে তারা দায়িত্ব নিয়ে টাকা আত্মাসাৎ করে।

Leave a Comment