সিজিয়াই ইফেক্ট (CGI Effects) টেকনোলোজির এক অভাবনীয় দিক!!!
আমরা সবাই এখন কম বেশি ফরেইন ( বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্য সকল ভাষার সিনেমা) সিনেমার সাথে পরিচিত। ছুটির দিনে অথবা যেকোনো অবসর সময়ে আমরা সিনেমা দেখতে বসি! আবার সময় বেশি থাকলে সিনেপ্লেক্সে গিয়েও দেখি। হলিউড অথবা চাইনিজ, জাপানিজ, কোরিয়ান এসব মুভির প্রতি আমাদের আকর্ষণ খুব বেশি হওয়ার মূল কারণ টি হলো এসব মুভির চোখ ধাধানো ভিজুয়ালস্।
বিশেষ করে থ্রিডি একশান মুভি, অ্যানিমেটেড মুভি, সাইন্স ফিকশন ইত্যাদি দেখলে আমাদের মনে হয় আমরা ওই জায়গাতে নিজেরাই অবস্থান করছি। এই যে এই ইলিউশনস গুলো আমাদের পুরো মনোযোগ কেড়ে নেয়, এত বেশি এন্টারটেইন্ড করে রাখে সব কিছুর পিছনে কারসাজি হলো টেকনোলজির! এখনকার এই বর্তমান সময়ের সিনেমাতে স্পেশাল ইফেক্টের ব্যবহার খুব জনপ্রিয়, যেখানে রিয়েল এক্টরস্ সাথে কোনো এলিয়ান অথবা মনস্টার, ফ্যান্টাসি ক্যারেক্টার এসব মিক্সিং করে দেয়া হয়। এসব ইমেজ, অ্যানিমেশন যা বাস্তবে বানানো সম্ভব নয় সেগুলো তৈরি করা হয় বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো একটি অ্যানিমেটেড গ্রাফিক্স সফটওয়্যার CGI ( Computer Generated Imaginary) . CGI মূলত ভিজুয়াল ইফেক্টস্ এ ব্যবহৃত হয় কারণ এই সফটওয়্যার এর কোয়ালিটি অনেক উন্নত। এখানে যে ইফেক্ট ব্যবহার করা হয় তা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় যা ফিজিকালি অথবা ম্যানুয়ালি প্রসেসিং এ করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল।
ভিডিও গেমিং, অ্যানিমেশন, বিগ বাজেট ব্লকবাস্টার মুভি এই ক্ষেত্রগুলোতে ডিজিটাল ইমেজিং CGI প্রচুর পরিমানে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এসবের নির্মাতা / ডিজাইনার রা প্রথমে সিনেমার গ্রাফিকস তৈরি করে তারপর তারা গ্রাফিকস কে টেক্সচার এবং লাইটিংয়ে মিক্স করে CGI ইফেক্ট দেয় যা পুরো জিনিসটিকে একটি রিয়েল লুক এনে দেয়। মুভিতে হয়তো বিভিন্ন দেশের কিছু সিন প্রয়োজন যেটার শুটিং করতে ঐ দেশগুলোতে যেতে হবে। আবার শুধু ৫/১০ মিনিটের একটি সিন শুটিং করতে এক দেশ থেকে আরেক দেশ ভ্রমণ সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল ব্যাপার।
সেই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই স্পেশাল ইফেক্ট / CGI ইফেক্ট দিয়ে এক্টরস এর ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করেই অন্য দেশের সিনারিও এড করে দেয়া সম্ভব যা দেখতে একদমই বাস্তব। আমাদের চোখে হয়তো ধরাও পড়বে না কম্পিউটারের এই কারসাজি যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা ঐ সিনেমার ব্লুপার্স অথবা শুটিং এর ক্লিপ দেখি। বিশ্বজুড়ে এই CGI অ্যাপ্লিক্যাশন দিন দিন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রিন্টেড আর্ট, ভিডিও গেমস্, সিমালেটরস্, কম্পিউটার অ্যানিমেশন, টেলিভিশন প্রোগ্রাম, কমার্শিয়ালস্, মুভি এগুলোতে CGI এর ব্যবহার এখন অহরহ।
Reporter: Eun Ae