সাড়ে ৩ হাজার বনজ বৃক্ষ কেটে নিয়ে গেছে গাছ খেকো

লালমনিরহাটের ফকিরপাড়ায় সরকারি রাস্তার দুই ধারে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বনজ বৃক্ষ কেটে নিয়ে গেছে গাছ খেকো সংঘবদ্ধ চক্র।


জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৪০-৫০ কিলোমিটার সরকারি রাস্তার দুই ধারে থাকা ২/৩ যুগ বয়সের পুরনো প্রায় ৩ হাজার বনজ বৃক্ষ সংঘব্ধ চক্র কেটে নিয়ে গেছে। বেশকিছু গাছ এখনো রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। এই সব গাছের মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা । এই বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ড ময়দান হইতে বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের সীমানা পর্যন্ত আ লিক সড়কের দুই ধারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বনজ বৃক্ষের গাছ কেটে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চক্র। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪কোটি টাকা।

এই ঘটনায় তোলপাড় চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া সম্পর্কে কিছুই জানেনা। কারা কেন কাটলো তাদেও কাছে কোন তথ্য নেই।

এদিকে সমাজ সচেতন জনৈক ব্যক্তি বুড়া সারডুবি গ্রামের মৃত ছকমল খাঁয়ের ছেলে আব্দুর রহমান সরকারি গাছ রাষ্ট্রের সম্পদ।

এছাড়াও রাস্তার জীবিত গাছ পরিবেশ রক্ষক। কোনো অবস্থায় রাষ্ট্রের বিধানমতে জীবিত গাছ কাটাতে পারেনা। তাই সরকারি রাস্তার গাছ কাটা নিয়ে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করেছে।

এই অভিযোগের কারণে বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল (সোহেল) তাঁকে হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে আব্দুর রহমান চেয়ারম্যানের হুমকির বিষয়েও থানায় জিডি করেছে।

আব্দুর রহমান জানান, রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের। গাছ গুলো পরিববেশের জন্ম আর্শীবাদ ছিল। কেটে ফেলায় বিরান ভূমির মত মনে হচ্ছে। ব্যক্তি স্বার্থে নয়। জনগণের কল্যাণে অভিযোগ করেছি।

ফকির পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল সোহেলের সাথে যোগাযোগা করে তাকে পাওয়া জায়নি।

হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাঁকে কোন কিছু বলা হয়নি। শুনেছি তারা কাগজপত্র তৈরি করে কেটেছে। থানায় অভিযোগ হয়েছে । পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

Leave a Comment