সাইনুসাইটিস এর কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার…

মাথার খুলিতে মুখমন্ডলীয় অংশে নাসাগহ্বরের দুপাশে অবস্থিত বায়ুপূর্ণ চারজোড়া বিশেষ গহ্বরকে বলা হয় সাইনাস বা প্যারান্যাসাল সাইনাস।সাইনাস সাধারণত বায়ুপূর্ণ মিউকাস পর্দায় আবৃত এবং ক্ষুদ্র নালির মাধ্যমে নাসাগহ্বর শ্বাসনালির সাথে যুক্ত থাকে।এসব সাইনাস তরল পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে এবং এই তরল যদি ভাইরাস,ব্যাক্টেরিয়া,ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হয় তখন সাইনাসের মিউকাস পর্দায় প্রদাহের সৃষ্টি হয়;এই প্রদাহকে বলে সাইনুসাইটিস। সাইনুসাইটিসের কারণে মাথা ব্যাথা,মুখমণ্ডলে ব্যাথা, নাক দিয়ে ঘন হলুদে বা সবুজাভ তরল ঝরে পড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।

স্থায়িত্বের উপর ভিত্তি করে সাইনুসাইটিস কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।যথা:১.অ্যাকিউট সাইনুসাইটিস এবং ২.ক্রনিক সাইনুসাইটিস।এদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হলো ক্রনিক সাইনুসাইটিস যার স্থায়িত্ব চলে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে।

সাইনুসাইটিস এর কারণ:বিভিন্ন ভাইরাস,ব্যাক্টেরিয়া,ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হলে সাইনুসাইটিস হতে পারে,ঠান্ডাজনিত কারণে,অ্যালার্জিজনিত কারণে বা দাতের ইনফেকশন থেকে,দাত তুলতে গিয়েও সাইনাস এ সংক্রমণ ঘটতে পারে ইউস্টেশিয়ান নালির সামান্য অস্বাভাবিকতায় সাইনাস গহ্বর অবরুদ্ধ হয়ে এবং সংক্রমণ এর ফলে সাইনুসাইটিস হতে পারে।অপুষ্টি,পরিবেশ দূষণ,ঠান্ডা স্যাতসেতে পরিবেশেও এ রোগ হতে পারে।

সাইনুসাইটিস এর লক্ষণ:১.নাক থেকে হলদে বা সবুজ বর্ণের ঘন তরল বের হয়২.দীর্ঘ ও বিরক্তিকর মাথা ব্যাথা লেগে থাকে৩.জ্বর জ্বর ভাব থাকে৪.নাক বন্ধ থাকে;নিঃশ্বাসের সময় নাক দিয়ে বাজে গন্ধ বের হয়৫.মুখমন্ডল অনুভূতিহীন মনে হয়৬.মাথাব্যাথার সাথে দাত ব্যাথাও হয়।

প্রতিকার:১.গরম পানিতে একখন্ড কাপড় ভিজিয়ে প্রতিদিন বারবার মুখমন্ডল এ চেপে ধরা২.মিউকাস তরল করতে প্রচুর পানি পান করা৩.দিনে ২-৪ বার নাক দিয়ে বাষ্প টেনে নেওয়া৪.যন্ত্রের সাহায্যে নাকের ভিতর সবেগে পানি প্রবাহিত করে সাইনাস পরিষ্কার রাখা৫.নিচু শরীরে শরীর না বাঁকানো।

অ্যাকিউট সাইনুসাইটিস এ চিকিৎসার তেমন প্রয়োজন পরে না।তবে ক্রনিক সাইনুসাইটিস এর জন্য ৩-৪ সপ্তাহ চিকিৎসকের পরামর্শ চলতে হয়।‌

Leave a Comment