শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম, সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, একটি বক্তব্যের মাধ্যমে কিভাবে একজন বক্তার সঙ্গে উপস্থিত জনগনের সরাসরি যে যোগাযোগ হয় তা-ই জনযোগাযোগ ইংরেজীতে এটাকে Public Communication বলে। সাধারণত কোন একটি নির্দিষ্ট টপিকের উপর ভিত্তি করে জনযোগাযোগ কিংবা Public Communication হয়ে থাকে সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল।

 

ভাষণ কিভাবে শুরু করবো

ভাষণ কিভাবে শুরু করবো এটা সব থেকে কঠিন কথা। কিন্ত সবাই যেটা বলে সেটা হল সালাম দিয়ে শুরু করুন। ভাষণ কিভাবে শুরু করবো তার থেকে বড় কথা ভাষণ কিভাবে আকর্ষণ করাবো। ভাষণ কিভাবে শুরু করবো তাহলে নিচের সবগুলো ভাল করে পড়ুন। ভাষণ কিভাবে শুরু করবো রপ্ত করতে পারলেই আশা করা যায় আপনি ভাষণ কিভাবে শুরু করবো পারবেন।

“Human Communication” নামক বইতে বিশিষ্ট স্পিকার Joeph A Devito বলেন,

“Public speaking will be defined as a form of communication in which the speaker addresses a relatively large audience with relatively continuous, speech and usually face-to-face situations.”

উদাহরণ স্বরুপ: জনসভা, মঞ্চনাটক এবং শ্রোতামন্ডলীর সামনে আবৃত্তি সবই জনযোগাযোগ।

 

সহজে বক্তৃতা শুরু করার উপায়

সহজে বক্তৃতা শুরু করার উপায় অনেক আছে। কারো সাথে কারো সহজে বক্তৃতা শুরু করার উপায় মিলে না কখনো। কিন্ত একটা জীনিস মিলে সবার সেটা হল শ্রোতা মন্ডলীকে আকর্ষণ করা। সহজে বক্তৃতা শুরু করার উপায় জানতে চাইলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং সহজে বক্তৃতা শুরু করার উপায় রপ্ত করুন।

 

বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম

বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম জানতে চাইলেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম অনেকেরই প্রয়োজন হয়ে থাকে । বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম একেক জয়গায় একেক রকম। যেমন শ্রেণীকক্ষে একজন ছাত্র যদি একটি বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করে তখন তাকে অবশ্যই জানতে হবে। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম বা শিক্ষক যখন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তাই পরিস্থিতি ভেদে বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম ভিন্ন। আপনি কোন পরিস্থিতিতে আছেন সেটিই বলেই দিবে বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম কেমন হবে।  একজন রাজনীতিবিদের প্রচারাভিজান মূলক বক্তব্য দেন। তখনও প্রয়োজন হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম অর্থাৎ, রাজনৈতিক জনসভা, সেমিনার, সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবই জনযোগাযোগ। তাই বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম আপনাকে পরিস্থিতি বুঝে সারমর্ম করতে পারেন।

 

সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল

সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলে আপনিও রপ্ত করতে পারেন সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল। আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল রপ্ত করলে অনেকের সাথে কথা দিয়ে অনেক করা যেতে পারে। সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল রপ্ত করতে পারলেই আপনি এক রকম সার্থক। তাই সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল রপ্ত করুন।

 

ভাষণ দেওয়ার নিয়ম

ভাষণ দেওয়ার নিয়ম কিংবা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম জানা থাকলে একটি সার্থক ভাষণ দেয়া সম্ভব। ভাষণ দেয়ার পর যদি শ্রোতাদের আকৃষ্ট করা না যায় তাহলে, তাহলে তার শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম জানা নাই এবং তার ভাষণ গুরুত্বহীন। আমাদের জীবনে কমবেশি প্রায় সবাইকেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম জানতে হয় এবং ভাষণ বা বক্তৃতা দিতে হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিংবা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম জানা থাকলে অফিসে বা কোন মঞ্চে আমাদের অনেক সময় ভাষণ দিতে হয় সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কৌশল।

অনেক সময় আমাদের উপস্থিত বক্তৃতা বা ভাষণ কিংবা শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে হয়। অনেক সময়ই শুভেচ্ছা বক্তব্য ভালো হয় না। আশানুরূপ শুভেচ্ছা বক্তব্য হয় না। তার কারণ, ভাষণ দেওয়া বা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সময় আমরা প্রাথমিক নিয়ম কানুনগুলো মেনে চলি না।

 

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়মে জনযোগাযোগের বৈশিষ্ট্যঃ

কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আমরা জনযোগাযোগকে ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম থেকে অন্যান্য যোগাযোগ থেকে আলাদা করতে পারি। বৈশিষ্ট্যগুলাও হল- পাবলিক কমিউনিকেশনে ১ জন স্পিকার থাকে। এর ভূমিকা তুলনামূলকভাবে বা আপাতদৃষ্টিতে প্রধান। বক্তা একটি বিষয়ে একটি বড় বক্তৃতা আছে. জনসংযোগ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হয়। গণযোগাযোগের আবির্ভাব গণযোগাযোগের মতো বিলম্বিত নয়। আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের মতো তাৎক্ষণিক নয়।একটি পাবলিক বক্তৃতা প্রস্তুত পদক্ষেপ

 

পাবলিক কমিউনিকেশনে সফল হওয়ার জন্য বক্তাকে প্রস্তুত করা হল পাবলিক বক্তৃতা তৈরির নিয়ম। মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুতির প্রক্রিয়া শুরু করতে আপনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। ধাপগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-

1) বিষয় এবং উদ্দেশ্য নির্বাচন করুন

2) শ্রোতা বিশ্লেষণ (শ্রোতাদের বিশ্লেষণ)

3) বিষয় গবেষণা

4) থিসিস প্রণয়ন করুন এবং প্রধান প্রস্তাবগুলি সনাক্ত করুন।

5) প্রধান প্রস্তাব সমর্থন

6) বক্তৃতা উপকরণ সংগঠিত

8) ভাষা সচেতনতা / বক্তৃতা শব্দ

6) উপসংহার এবং ভূমিকা তৈরি করুন

অনেক সময় দেখা যায় কেউ ভাষণ দিলে শুনতে ইচ্ছা করে না, বিরক্ত লাগে। আবার কারো কারো ভাষণ শুধু শুনতেই ইচ্ছা করে। খুব ভালো লাগে। সুতরাং, সব কিছুরই একটা নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে চললে কাজটা আরো সুন্দর হয়ে উঠে। তাই ভাষণ দেওয়ার ও কিছু নিয়ম আছে। চলুন জেনে নেই ভাষণ দেওয়ার নিয়ম।

 

১. পূর্ব প্রস্তুতি
যে কোন ভাষণ দেওয়ার আগে অবশ্যই এর কিছু প্রস্তুুতি নিতে হবে। ভাষণটি কি বিষয়ের উপর হবে তার একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। প্রয়োজনে ভাষণ টি লিখে নিতে হবে। তারপর এর উপর অনুশীলন করতে হবে।

কয়েকবার অভ্যাস করলে ভাব সুন্দর হবে এবং কথাও হবে সাবলীল। প্রস্তুতি ছাড়া শুরু করলে অনেক সময় অভিব্যক্তি এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এছাড়া আগে বাক্য চর্চা করলে মুখের নিস্তেজ ভাব চলে যাবে। কথা বলার সময় কোন অস্বস্তি হবে না।

সালাম, আসসালামু আলাইকুম (অন্যান্য ধর্মের মতে) সাথে প্রথম কাজটি করতে হবে। আমাকে সংক্ষেপে পরিচয় দিতে হবে। তারপর উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলতে হয়, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে অভিনন্দন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। শুরু থেকেই আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই এই অনুষ্ঠানে আমাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য। তারপর আপনাকে প্রোগ্রামের বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে একটি বক্তৃতা দিতে হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। বক্তৃতার শেষে আমি আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি এবং সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম।

 

সম্বোধন করা বিষয় প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। যাইহোক, বিষয় নির্বাচন করার সময়, বিষয়টি মৌলিক কিনা তা মাথায় রাখতে হবে একটি বিষয়কে সংজ্ঞায়িত করতে হবে যাতে বক্তা এবং শ্রোতার মধ্যে একটি মিল থাকে তা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম এবং বিষয়টি উভয়ের জন্য মজাদার এবং চিত্তাকর্ষক হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতি অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করা হলে যোগাযোগ ফলপ্রসূ হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম।
সাধারণত দুই ধরনের বক্তৃতা হয়, যেমন

ক: তথ্যপূর্ণ
খ. প্ররোচক

 

ক) তথ্যপূর্ণ

তথ্যপূর্ণ বক্তৃতার উদ্দেশ্য জনসাধারণকে অবহিত করা। যার মাধ্যমে মানুষ জ্ঞান অর্জন করবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। তথ্যমূলক বক্তৃতার বিশেষ উদ্দেশ্য হল একটি বিষয়ের একটি বিশেষ দিক তুলে ধরা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম।
উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটারের ডিসকোর্সে, কম্পিউটার সরঞ্জামের বর্ণনা এবং এর গুণাবলী তুলে ধরা হয়।

 

খ) প্ররোচিত

এই ধরনের বক্তব্যের উদ্দেশ্য হল শ্রোতার দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বক্তাকে প্রদত্ত বক্তব্য গ্রহণ করা। অর্থাৎ এই ধরনের বক্তৃতার মাধ্যমে বক্তার ধারণা শ্রোতার মনে গেঁথে যায়।
উদাহরণস্বরূপ, হরতাল সম্পর্কে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, বক্তা তার দৃষ্টিভঙ্গি আকারে শ্রোতাদের কাছে হরতালটির ইতিবাচক দিকগুলি উপস্থাপন করেন।

 

2. শ্রোতা বিশ্লেষণ
কোন বিষয়গুলি সম্বোধন করা হবে তা নির্ধারণ করে; এর একটি কপি তৈরি করতে হবে। বক্তৃতা দেওয়ার সময় এটি নিজের কাছে রাখা যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু ভুলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। বক্তৃতার সময় কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়লে এই প্রতিলিপিটি আমাদের মনে করিয়ে দেবে। ইংরেজি পড়ার নিয়ম।

বক্তৃতার 4টি ধাপ:

শুভেচ্ছা: অতিথি ও শ্রোতাদের যথাযথভাবে সম্বোধন করে বক্তব্য শুরু করা। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় বা সম্মানিত প্রধান অতিথি বা মহামান্য রাষ্ট্রপতি, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোক ইত্যাদি সম্বোধন করা যেতে পারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম।
ভূমিকা: শ্রোতাদের বক্তব্যের মূল বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া। এটা খুব বড় না শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম. অনেক ক্ষেত্রে এই অংশে আয়োজকদেরও ধন্যবাদ দেওয়া যায়।

১. মূল বক্তব্য:

মূল বক্তব্য এখানে দেওয়া হবে। বিবৃতি পয়েন্ট আকারে হওয়া উচিত. কারণ, অতিরিক্ত বার্তা শ্রোতাদের বিরক্ত করে। কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরে সহজেই দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। মুদ্রার ত্রুটি থাকলে তা যথাসম্ভব পরিহার করা উচিত।
সমাপ্তি মন্তব্য: উপসংহার মন্তব্য। এই উপসংহারে আশাবাদ, পরামর্শ বা অনুরোধ থাকতে পারে।

3. কি দেওয়া হচ্ছে তার উপর নজর রাখুন
বক্তৃতা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে কোন কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। বক্তৃতা হবে এক অনুষ্ঠানের জন্য। একটি বিদায়ী ভাষণ, একটি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ এবং একটি রাজনৈতিক ভাষণ সবই আলাদা হবে। প্রত্যেকের আলাদা অভিব্যক্তি, কথা বলার ধরন থাকবে। উপস্থাপনের ধরন ভিন্ন হবে।

৪. শ্রোতার প্রতি মনোযোগ দেওয়া
যেকোনো বক্তৃতা দেওয়ার সময় দর্শকদের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। বক্তৃতা দেওয়ার সময় শ্রোতারাই মুখ্য। একটি বক্তৃতা তখনই স্বার্থপর হয়ে উঠবে যদি তার শ্রোতারা এতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়।

তাই বক্তৃতা দেওয়ার সময় শ্রোতার বয়স ও শ্রোতার আগ্রহ বিবেচনায় রাখতে হবে। শ্রোতার বক্তৃতার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত যাতে এটি মনোযোগ এবং আনন্দের সাথে শোনা যায়। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম বক্তৃতা দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হল শ্রোতাদের আনন্দ দেওয়া বা কিছু দরকারী তথ্য দেওয়া। তাই এই দিকগুলো খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় বক্তৃতা করা যাবে না।

৫. বাচন ভঙ্গি সাবলীল করা
কথা বলার সময়, একজনকে পরিষ্কার এবং সাবলীলভাবে কথা বলার অভ্যাস করা উচিত। বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই জিনিসটি আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা দরকার। বক্তৃতা দেওয়ার সময়, মসৃণ কথা বলার ধরন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম, শব্দ উচ্চারণ এবং বাক্য উপস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য যত্ন নেওয়া উচিত। আত্মবিশ্বাসের সাথে উপস্থাপন করতে হবে।

বক্তা যদি কথা বলতে বিশ্রী বোধ করেন তবে শ্রোতা শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তাই বাগ্মিতা অবশ্যই আকর্ষণীয় হতে হবে। আমাদের কথা বলার ধরন দেখে আমরা প্রায়শই বুঝতে পারি এটি কী ধরনের বক্তৃতা হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। তার কর্ম প্রতিক্রিয়া কি. অনেক কিছু আমরা একটু জোরে বলি আবার অনেক কথাই বলি নরম স্বরে। কিছু কথা দ্রুত বলা হয় আবার কিছু কথা ধীরে ধীরে বলা হয়। বক্তার বক্তব্য শুনে শ্রোতা বুঝবেন একটি শব্দ কতটা গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।

অনুপ্রাণিতকরণ ক্রম (The Motivated Sequence)

তথ্যগুলি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে বক্তব্যটি শ্রোতার মধ্যে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে। এটি তথ্যপূর্ণ এবং প্ররোচিত উভয়ের জন্য উপযুক্ত। এই ক্ষেত্রে পাঁচটি ধাপ রয়েছে-

ক: মনোযোগ

এমনভাবে কথা বলুন যাতে শ্রোতা বক্তব্যের প্রতি গভীর মনোযোগ দেয়। বক্তৃতা এমন তথ্য প্রদান করা উচিত যাতে শ্রোতা শুনতে আগ্রহী হয়।

খ. প্রয়োজনীয়তা

শ্রোতাকে প্রমাণ করতে হবে যে বিষয়বস্তু সম্বোধনের প্রয়োজন বা প্রয়োজন আছে।

গ. সন্তুষ্টি

শ্রোতার সমস্যা বা চাহিদা এমনভাবে শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে যাতে শ্রোতা সন্তুষ্ট হয়।

ঘ. ভিজ্যুয়ালাইজেশন

ভিজ্যুয়ালাইজেশন মানে মনের চোখ দিয়ে কিছু দেখা। মনস্তাত্ত্বিক আখ্যান এমনভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যাতে শ্রোতার স্থান সময় থেকে দূরে সরে যেতে পারে। শ্রোতার মধ্যে বিশ্বাস এবং অনুভূতি তৈরি করুন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে।

ঙ. সক্রিয়করণ

বক্তাকে এমন কিছু উল্লেখ করতে হবে যাতে শ্রোতা বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্তুষ্ট হন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। এ জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিতে হবে এবং শ্রোতাকে জার্নাল ও বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কথা বলার নিয়ম

 

৬. দেখে দেখে না বলা
বক্তৃতার একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিলিপি রাখা যেতে পারে, তবে এটি হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। শ্রোতার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে হবে। শ্রোতার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বললে শ্রোতাও মননশীল হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। বক্তৃতা আরও পরিষ্কার হবে।

দেখে বক্তৃতা দিলে বক্তা শ্রোতার দিকে তাকাতে পারবেন না শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। বক্তা শ্রোতার দৃষ্টি হারিয়ে ফেললে শ্রোতা আরও আগেই বক্তার থেকে মনোযোগ হারাবেন। তাই এই সমস্যা পরিহার করা উচিত।

ভাষা সচেতনতা / বক্তৃতা শব্দ

বক্তৃতার মূল বিষয়গুলির ভাষা এবং যে উপাদান দিয়ে বক্তৃতা উপস্থাপন করা হবে তা এমন হওয়া উচিত যাতে শ্রোতারা তা অবিলম্বে বুঝতে পারে। শ্রোতা মাত্র একবার বক্তার কথা শুনবেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। তাই সবকিছু খুব সহজভাবে, সহজ ভাষায় বলা উচিত, যাতে শ্রোতা সহজে শুনতে ও বুঝতে পারে। তাই বক্তাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে-

উঃ স্বচ্ছতা

স্বচ্ছ কথা বলার ক্ষেত্রে প্রাথমিক অর্জন। অ্যান্টিক আইটেমগুলির জন্য কীভাবে দেখা বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে হয় সে সম্পর্কে এখানে কিছু পরামর্শ রয়েছে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম৷

মিতব্যয়ী

শব্দের অপচয় এড়াতে পুনরাবৃত্ত ও অর্থহীন শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
যেমন, সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ ও সম্পূর্ণ প্রতিবেদন ইত্যাদির পুনরাবৃত্তি বাদ দিতে হবে।

বৈচিত্র্য

কী ধরনের শব্দ শ্রোতার মনে প্রাণশক্তি নিয়ে আসবে, সেই ধরনের শব্দের সঙ্গে বৈচিত্র্য আনতে হবে।

অনুপ্রবেশ: একই অক্ষর বা উচ্চারণ দিয়ে শুরু হওয়া শব্দ ব্যবহার করা।

অতিরঞ্জন: অতিরঞ্জন, বক্তৃতায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

রূপক: রূপক শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিশেষণ: বিশেষ অলঙ্কার দিয়ে নাম বিশেষায়িত করা যায়।

ভিজ্যুয়াল সাদৃশ্য: শ্রোতারা তাদের সামনে যা দেখেন সে সম্পর্কে উপমা দেওয়া।

 

বক্তৃতা,ভাষন,ভাষণ,বক্তৃতা দেওয়ার মৌলিক কৌশল,বক্তৃতা দেওয়ার নিয়ম,ভাষন দেওয়ার নিয়ম,কিভাবে বক্তব্য দিতে হয়,কিভাবে বক্তৃতা দিতে হয়,the basic technique of giving a speech,how to good speaker,how to be a speaker,বক্তব্যের কৌশল,উপস্থাপনার কৌশল,শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম,শুভেচ্ছা বক্তব্য বাংলা,নমুনা ভাষণ,বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম,বক্তৃতা শুরু করার নিয়ম,বক্তৃতা দেওয়ার কৌশল,কিভাবে অনুষ্ঠানে ভাষণ দিবেন,public speaking,মুখের জড়তা কাটানোর উপায়,সূচনা বক্তব্য,boktita

 

৭. মাঝে মাঝে বিরতি দেওয়া
মাঝে মাঝে আমরা সবাই কথা বলা থেকে বিরতি নিই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। পরের বাক্যটা আরেকটু সুন্দর করে বলা যায়। বক্তৃতার সময় এবং মাঝে মাঝে কয়েক সেকেন্ড নীরবতা থাকতে হবে।

নীরবতা পালন করে শ্রোতার মনোযোগ লক্ষ্য করা উচিত। যদি কিছু শ্রোতা অমনোযোগী হয় তবে সে এই নীরবতার সময় বক্তার দিকে তাকাবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। এই নীরবতা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণের আরেকটি উপায়। তাছাড়া একটানা বক্তব্যের মাঝে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বক্তা একটু বিশ্রাম পায় এবং বক্তা পরবর্তী কথাগুলো আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে।

 

উপসংহার এবং ভূমিকা প্রস্তুতি (Construct the Conclusion and the Introduction) বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম

দীর্ঘ বক্তৃতার ক্ষেত্রে অসঙ্গতি থাকে, সময়ের সাথে সাথে নানা কথা বলা হয়। তাই উপসংহারে পুরো বক্তৃতার কেন্দ্রীয় সুর তুলে ধরতে হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। খুব স্পষ্টভাবে বক্তৃতা শেষ করা প্রয়োজন।

“শুরু হল কাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ,” প্লেটো বক্তৃতার শুরু সম্পর্কে বলেছিলেন। মূলত বক্তৃতার শুরুটা হয় প্রথম দিনের ক্লাসের মতো। এর মাধ্যমে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সহজ। ভূমিকা এমন হওয়া উচিত যাতে শ্রোতা বক্তা ও বক্তৃতাকে স্বাগত জানায় এবং ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।

বক্তৃতা শুরু করার নিয়ম প্রথমে শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যেতে পারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। তারপর বক্তব্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিন। সেই সঙ্গে আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া প্রয়োজন।

দুটি প্রধান উদ্যোগ হল-

* দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। এটি বক্তৃতার বিষয়বস্তুর উপর জোর দিয়ে, মজার গল্প বলার মাধ্যমে, অপরিচিত তথ্য বা পরিসংখ্যান হাইলাইট করে করা যেতে পারে।

→ ভূমিকা শ্রোতাদের আগ্রহী করবে এবং তাদের পুরো বক্তৃতার একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেবে।

লেখক : সাবেক শিক্ষার্থী

 

৮. কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা দরকার
বক্তৃতা দেওয়ার সময় কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন:

দর্শকদের সাথে কথা বলার সময় আর অযথা কথা বলা চলবে না।
অপ্রয়োজনীয় সময় নষ্ট করা যাবে না। শ্রোতা ধৈর্য হারাবে।
কোন বিষয়ে নেতিবাচক কিছু বলা যাবে না।
বাক্যে সবসময় ইতিবাচকতা থাকতে হবে। কিছুতেই মিথ্যা বলা যাবে না।
কেউ তার গোপনীয়তা, পরিবার, বাড়ি বা চিঠিপত্রের সাথে স্বেচ্ছাচারী হস্তক্ষেপের শিকার হবে না বা তার সম্মান এবং খ্যাতির উপর আঘাত করা যাবে না শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম।
খুব ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ইতিবাচক মন নিয়ে বক্তৃতা দিতে হবে। তাহলে বক্তৃতা সুন্দর হয়ে উঠবে।

 

শ্রোতা বিশ্লেষণ (Analysis the Audience)

বক্তৃতা দেওয়ার সময় একজন বক্তাকে অবশ্যই শ্রোতার মনস্তাত্ত্বিক দিকটি বিবেচনা করতে হবে। শ্রোতারা কী সম্পর্কে সচেতন, তারা কী বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী, তাদের কী ধরনের যোগ্যতা রয়েছে, তাদের মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বাস কী, বক্তৃতায় তাদের অবস্থান কী সে সম্পর্কে বক্তার ধারণা থাকতে হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। একটি আদর্শ বক্তৃতা তৈরি করতে হলে বক্তাকে শ্রোতাদের নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে সামনে রেখে বক্তব্য উপস্থাপন করতে হবে-

উঃ বয়স

বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বক্তৃতা উপস্থাপনের সময় বক্তাকে খেয়াল রাখতে হবে বয়স অনুযায়ী বক্তৃতা দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি না। যদি একটি বিবৃতি সব বয়সের মানুষের কাছে উপস্থাপিত হওয়ার যোগ্য হয়, তাহলে উপস্থাপনাটি বয়স এবং অবস্থান অনুসারে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ, তারা সাধারণ মানুষের কাছে ভিন্নভাবে, বুদ্ধিজীবীদের কাছে ভিন্নভাবে, শিক্ষার্থীদের কাছে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়।

খ. লিঙ্গ

প্রায়শই দেখা যায় একই বিষয়ে নারী ও পুরুষের ভিন্ন মত রয়েছে। বক্তাকে এটা মাথায় রাখতে হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। বক্তব্য যাতে একতরফা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

গ. দেশ, আয় এবং সামাজিক অবস্থা

শ্রোতাদের বিশ্লেষণের সময় তাদের আয়, পেশা এবং সামাজিক অবস্থান তাদের বক্তৃতাকে প্রভাবিত করবে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।

ঘ. ধর্ম ও ধার্মিকতা

ধর্মের প্রতি শ্রোতার বিশ্বাস আলো বা অন্ধকার হিসাবে দেখতে হবে। বক্তাকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তি নির্বাচিত বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত কিনা।

ঙ. পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে

এখানে পর্যবেক্ষণগুলি ভৌত ​​অবকাঠামো বোঝায়। অর্থাৎ দর্শকদের জন্য প্রয়োজনীয় বসার ব্যবস্থা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

ঞ. অন্যান্য সমস্যা

অন্যান্য বিষয় যেমন শ্রোতার ইচ্ছাশক্তি, ইতিবাচক মনোভাব এবং জ্ঞানের গভীরতা বিবেচনা করা উচিত। কথা বলার নিয়ম

 

 

৯. আত্মবিশ্বাস তৈরি করা
যেকোনো কিছু করার জন্য আমাদের আত্মবিশ্বাস দরকার। কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস না থাকলে সেই কাজ কখনোই ভালো হয় না। তাই কথা বলার জন্য সময় ও আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। আত্মবিশ্বাস কথা বলার নিয়মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

প্রধান প্রস্তাব সমর্থন

প্রস্তাবগুলি সনাক্ত করার পরে, প্রস্তাবগুলিকে শক্তিশালী করতে বা সমর্থন করতে এই স্তরে আসুন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ভালো চাকরি পাওয়া যায় এই প্রস্তাবটি প্রমাণ করার জন্য বক্তাকে কিছু যুক্তি বা পরিসংখ্যান দেখাতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, গত পাঁচ বছরে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চাকরির একটি সমীক্ষা দেখায় যে যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছে তাদের 80% চাকরি পেয়েছে, 20% যারা কলেজ থেকে পাস করেছে। বাকি ২০% চাকরি পেয়েছে যারা অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেছে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। জরিপ হতে পারে কোনো প্রতিষ্ঠানের গবেষণা।

তথ্যপূর্ণ বক্তৃতার ক্ষেত্রে, একটি ধারণা প্রসারিত হয়। সম্প্রসারণ বর্ণনা, চিত্র, সংজ্ঞা, উদাহরণ রয়েছে।

আবার, অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যের ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট উদাহরণ, যুক্তি, অনুপ্রেরণামূলক (কিছু করলে আপনার আত্মসম্মান বাড়বে) মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টিকে সরানোর জন্য শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি উচ্চ শিক্ষিত না হন তবে আপনার সামাজিক মর্যাদা থাকবে না ইত্যাদি।

অবশেষে
এই ছিল আজকের বক্তৃতা দেওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা। বলা যায় ভালো বক্তৃতা দিতে হলে বিষয়ের ওপর ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। আরও বেশি করে অনুশীলন করতে হবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম। উপরের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে পারলে ভালো বক্তৃতা উপস্থাপন করা খুব সহজ হবে।

Leave a Comment