মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে সরব লেখকেরা

মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে সরব লেখকেরামুখ্যমন্ত্রী মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে সরব লেখকেরা

সাহিত্যে ‘নিরলস অবদানের জন্য’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মাননা দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক লেখক। কেউ কেউ তাঁদের পুরস্কারও ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সোমবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় সাহিত্যে বাংলা আকাদেমি পুরস্কারের কথা। আর এবার এই পুরস্কার প্রথম পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর লেখা কবিতার বই, কবিতা সংকলন ‘কবিতা বিতান’-এর জন্য।

রাজ্য সরকার আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে এই প্রথম প্রবর্তিত বাংলা আকাদেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় মমতাকে। অনুষ্ঠানে মমতা উপস্থিত থাকলেও মমতার পক্ষে এই পুরস্কার নেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি ব্রাত্য বসু। আর সেই পুরস্কার তুলে দেন রাজ্যের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বিশিষ্ট শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। মমতার লেখা বইয়ের সংখ্যা ১১৩। লিখেছেন কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, গদ্যসহ সাহিত্যের নানা শাখায়। এঁকেছেন প্রচুর ছবি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা আকাদেমির সভাপতি ব্রাত্য বসু তাঁর ভাষণে বলেন, এ বছরই এই প্রথম প্রবর্তন করা হলো সাহিত্যে বিশেষ বাংলা আকাদেমির সাহিত্য পুরস্কার। তিন বছর অন্তর দেওয়া হবে এই সাহিত্য পুরস্কার। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কবি জয় গোস্বামী, কবি সুবোধ সরকার, সাহিত্যিক আবুল বাশার, কবি শ্রীজাতসহ কলকাতার বিশিষ্টজনেরা।

মমতার এই সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার ঘটনাকে মেনে নিতে পারেননি কলকাতার একাধিক সাহিত্যিক। প্রতিবাদে বাংলা আকাদেমি থেকে পাওয়া অন্নদাশঙ্কর সাহিত্য পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন কলকাতার লেখক-গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে তিনি পেয়েছিলেন এ পদক। তিনি বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনেই কবিতাই অসম্মান করা হয়েছে। ছোটবেলা থেকে কবিগুরুকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছি। তাঁর কবিতা আমার কাছে দুর্মূল্য, সেই কবির জন্মদিনে এই পুরস্কার মেনে নেওয়া যায় না।

এটা কার্যত কবিতাকেই অপমান করা। তারই প্রতিবাদে আমি আমার পদক ফিরিয়ে দিয়েছি।’ এই লেখকের ঝুলিতে ৩০টি বই রয়েছে। তিনি বলেছেন, এই পুরস্কার প্রদানে পুরস্কারের গরিমা রক্ষিত হয়নি। সাহিত্য তো সাধনার বিষয়।

অন্যদিকে বাংলা আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদ থেকে আজ ইস্তফা দিলেন লেখক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন কবিতাকে যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে, তাতে তিনি বিরক্ত। সেই কারণেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন

By নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরের অল্প সময়ে গড়ে ওঠা পপুলার অনলাইন পর্টাল রংপুর ডেইলী যেখানে আমরা আমাদের জীবনের সাথে বাস্তবঘনিষ্ট আপডেট সংবাদ সর্বদা পাবলিশ করি। সর্বদা আপডেট পেতে আমাদের পর্টালটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *