ব্রিটিশ মন্ত্রী বোরকা নিয়ে মন্তব্য করে তোপের মুখে

যুক্তরাজ্যের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী নাডিন ডরিস বোরকাকে “মধ্যযুগীয়” পোশাক হিসেবে অভিহিত করেছেন।  মুসলিম নারীদের প্রতি তার মনোভাবের জন্য তার বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে।

বরিস জনসন মন্ত্রিসভা রদবদল করার পর চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ৬৪ বছর বয়সী নাডিন। 

বরিস জনসনের মতো তারও বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার ইতিহাস রয়েছে। ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য থাকাকালে বরিস জনসন এক কলামে লিখেছিলেন,  বোরকা “অপ্রীতিকর”। যেসব নারীরা বোরকা পরেন তাদের “ব্যাংক ডাকাত”  এবং “ডাকবাক্সের”  মতো দেখায়। অন্যদিকে নাডিন মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধের আহ্বান জানান।

মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল স্কাই নিউজকে তিনি জানান,  এই মধ্যযুগীয় পোশাক, যা নারীর সৌন্দর্য ও শরীরের ক্ষত ঢেকে রাখে তা নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। তিনি জানান ওই পোশাক আসলে নারীদের ওপর হওয়া গার্হস্থ্য নির্যাতন ঢেকে রাখতে ব্যবহৃত হয়।

তিনি আরও জানান, নারীরা যা পরতে চায় তাই পরার অনুমতি দেওয়া উচিত। তাদের নিজেদের পছন্দে বিয়েটাও মনে হয় করতে দেওয়া হয় না। এমনকি নারীদের নিজেদের জননাঙ্গ রাখাও অনুমতি দেওয়া হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  যুক্তরাজ্যে ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (এফজিএম) বা নারীদের খৎনার অনুমতি নেই উল্লেখ করেন তিনি। 

পাশাপাশি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টেও এই নিয়ে মুখ খুলেছেন নাডিন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, আপনি এমন সমাজ আশা করতে পারেন না যেখানে একদিকে সমকামীরা বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বাস করছে, আবার অন্যদিকে নারীদের জোর করে আড়ালে রাখা হচ্ছে।

অবশ্য নাডিনের এসব মন্তব্যে মোটেও খুশি হননি নেটিজেনরা। এমন লাগামছাড়া মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন নেটিজেনরা।

ব্রিটেনে ৩০ লাখের মতো মুসলিম বসবাস করেন। কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য না থাকলেও তাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক মুসলিম নারী মুখ ঢাকা বোরকা পরেন বলে জানা গেছে।

Leave a Comment