বিয়ের জন্য কেমন মেয়ে/ছেলে পছন্দ করবেন?

ছেলে,
তুমি যার সাথে বাদ বাকী জীবন কাটাবে; সে কেমন এটি’ই হচ্ছে সব চাইতে বড় বিষয়। এটি যেমন ছেলের জন্য প্রযোজ্য। মেয়ের জন্যও ঠিক তাই।


যেই মেয়ে কিংবা মেয়ের পরিবার ঢাকা শহরে বাড়ি দেখে বিয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে; তাকে বিয়ে করার তোমার কোন দরকার নেই। যে মেয়ে কিংবা মেয়ের পরিবার তুমি কোন পদে চাকরি করো; সেটা দেখে বিয়ে দিতে চাইছে; তাকেও তোমার বিয়ে করার দরকার নাই। যে বা যারা তোমার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো দেখে বিয়ে দিতে চাইছে; তাকেও বিয়ে করার দরকার নেই।


ভালো চাকরি, ভালো অর্থনৈতিক অবস্থা তো নাও থাকতে পারে। ধরো বিয়ের পরে যদি চাকরিটা চলে যায়? কিংবা কোন দুর্ঘটনায় তোমার একটা পা অকেজো হয়ে যায়? তখন কি হবে?


তখন তো ভালোবাসা বলো আর বৈবাহিক সম্পর্ক বলো; সব উড়ে পালাবে! এই যে সমাজে ডিভোর্স এতো বাড়ছে; এটাও কিন্তু একটা কারন।


তোমার বরং উচিত হবে এমন কাউকে পছন্দ করা- যাকে তুমি স্রেফ মানুষ হিসেবে পছন্দ করেছ এবং যে তোমাকে স্রেফ তুমি কেমন সেটা দেখে পছন্দ করেছে। তোমার বাড়ি, চাকরি এইসব দেখে নয়।


আমি আমার কথা বলি। আমি তাকেই ভালবেসেছিলাম- যে আমাকে ভালবেসছে স্রেফ মানুষ হিসেবে। আমার পারিবারিক অবস্থা; অর্থনৈতিক অবস্থা; আমার সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি কোন কিছুকে নয়। সে আমার এমন কোন কিছু নেই; যার সমালোচনা করতো না এবং আমার প্রায় সকল কাজে’ই উল্টো প্রশ্ন করতো।


কিন্তু আমি জানতাম- তার এই সমালোচনা ছিল গঠন মূলক। তার ওই প্রশ্ন গুলো তার নিজের স্বার্থে নয়; বরং আমার ভালোর জন্য ছিল।
যেই মানুষটা ক্রমাগত আমার সমালোচনা করে গিয়েছে। আমি তাকেই ভালবেসছি। কারন তার ওই সমালোচনায় ভালোবাসা ছিল।
ব্যক্তি মানুষটাই হচ্ছে মূল বিষয়। গাড়ি-বাড়ি-অর্থ দেখে যে সম্পর্ক হয়; সেটি মেকি সম্পর্ক। সে সম্পর্কে ভালোবাসা নেই। নেই কোন প্রাণের ছোঁয়া।


তোমার কঠিন সময়ে যে তোমার হাত ধরে তোমাকে উঠতে সাহায্য করবে; সেই তো তোমার সঙ্গী। যে স্রেফ তোমার ভালো সময় টুকুর সুবিধা নিতে চাইবে; সে তোমার কঠিন সময়ে তোমার পাশে থাকবে কিনা; সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।


আর মনে রেখো- জীবনে কঠিন সময় আসবেই। ভালো সময় যেমন আসে। কঠিন সময়ও আসবে। কারন জীবনটা ভালো-মন্দেরই মিশেল।

Leave a Comment