বর্তমান সময় আর আমাদের করণীয়?

কেউ কি জানেন করোনা যাবে কবে? কেউ কি জানেন আমার ঋণ শোধ হবে কবে? কেউ কি জানেন আমার চাকরি হবে কবে? কেউ কি জানেন আমার বিয়ে হবে কবে? কেউ কি জানেন আমার বাড়ি হবে কবে? কেউ কি জানেন আমার —- —– —– হবে কবে?

এতটা অনিশ্চিত নিয়ে কি বাচা যায়? হ্যা, এই তো আমরা বেচে আছি। করো ২ বছর ধরে আছে, মরেছি? না মরেনি।আল্লাহ যতক্ষণ বাচাবে মারার ক্ষমতা আর কারও নাই হয়ত এটুকু বিস্বাসে বেচে আছি। শত নিরাশার মধ্যেও এটুকু আশা একদিন পৃথিবীটা আবার স্বাভাবিক হবে। একদিন সবাই আগের মতো নিশ্বাস নিতে পারবো। এতটুকু বিস্বাস আছে আমার সৃষ্টিকর্তার উপর।

বেচে থাকার ইচ্ছা নাই তবুও বেচে আছি তবুও বেচে থাকতে হয়, বেচে থাকাটাই নিয়ম।একবুক জ্বালা নিয়ে নির্ঘুমে কাটছে রাত দিন, তবুও আছি বেছে। এই তো মাথায় হাত দিয়ে ভাবছি ঋণ ৫০ হাজার, নাই চাকুরী, নাই ইনকাম। তার উপর আছে এই মাসের বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, ওয়াইফাই বিল, চাল, তেল, সেদিন হিসাব করলাম সব মিলে লাগবে ১০ হাজার টাকা আগামি ১০ তারিখের ভিতর। যেখানে নাই কামাই, নাই জমা আছে আবার ঋণ সেখানে আরও ১০ হাজার পাব কই? এই চিন্তার কুল পাই না। আবার যখন ভাবি এই মহুর্তে যদি কোন রোগ-বালাই হয় চিকিৎসা করব কি দিয়ে? বেচে থাকাটা কি এতই সহজ? মানুষ কি বাচে এতই কঠিন ভাবে?

আজ সময় যাচ্ছে এখন রাত বাজে ১ টা, লিখতে বসলাম এত কিছুর পরেও বর্তমান করোনা সময়ে আমাদের করণীয় কী?

যেখানে আমার আছে ঋণ, নাই কোন চাকরী, নাই বাবা, নাই মামা। একটা মাওরিয়া ছাওয়া কি পারবে ৫০ হাজার ঋণ শোধ করে আবার আগের মতো চলতে? পারবে কি ঘুরে দাড়াতে? পারবে কি সেই চোখ রাঙা মানুষগুলোর মুখে থুতু দিতে? নাকি সবার সামনেই এই মারা যাবে?

পৃথিকীতে আমরা খুব কষ্টের মহুর্ত কাটাচ্ছি। যেখানে একটু ভাল থাকার জন্য এত চেষ্টা করি কিন্ত ভাল থাকতে পারি না?

আমাদের করণীয়?

করবো কি তাহলে? এভাবেই বসেই থাকবো।না কখনোই না। আমাদের বসে থাকলে চলবে না।আমাদের কাজ করতে হবে। ছোট হোক আর বড় হোক কাজ আমাদের করতেই হবে। বসে না থেকে কিছু একটা করতেই হবে।অন্তত সময় কাটানোর জন্য হলেও আমাদের কিছু একটা করতে হবে। শুধু ফেসবুক চালানোর নামই জীবন নয়। এখন আর ফেসবুকিং নয়। এখন তো সময় কাজ করার। এখন তো সময় কিছু লেখার। এখন তো সময় কিছু শিখার। এখন তো সময় কিছু পড়ার।

আজকাল কামলারাও ফেসবুক চালায়।আমাদের পরবর্তী প্রজন্মে জীবনের অর্ধেক সময় কাটাবে ফেসবুকে যদি আমরা আমাদের সময় থাকতে এই অ্যাডিক্টেড থেকে বের না হই। আমরাই যদি ফেসবুক অ্যাডিক্টেড থেকে বের না হতে পারি, তাহলে আমাদের সন্তানেরা কিভাবে বের হবে ভাবছেন কখনো? ভেবেছেন কখনো আপনি আগে কত কাজ করতেন? এখন? দুপুর ২ টায় ফোন নিয়ে বসলেন কিছক্ষণ পর দেখলেন বিকাল আর কিছক্ষণ পর দেখলেন সন্ধা এভাবেই কি জীবন কাটবে?

আমার মনে হয় আমাদের ঘুম থেকে উঠে একবার মেসেন্জার চেক করা দরকার আর ঘুমার আগে আর একবার চেক করা দরকার দিনে সর্বোচ্চ দুই ঘন্টার বেশী সময় না দেওয়াই ভাল।

বাকি টাইম কাজ শিখুন। গল্প লিখুন। গল্প পাবলিশ করুন সহজে এই আমাদের রংপুর ডেইলীতে। আপনাদের সৃজনশীল সৃষ্টির জন্যই আমাদের এই পর্টালে গল্প এবং কবিতা পাবলিশ করতে পারবেন সহজেই।

যেভাবে আপনার লেখা পাবলিশ করবেন?

আমার এই লেখার একদম নিচে পাবেন (Sent Us News ) এখানে ক্লিক করুণ। তারপর নিয়া যাবে একটি ফরমে। যেখানে পাবেন আপনার লেখার টাইটেল কি? তারপর আপনার লেখা। তারপর এই লেখার সমণ্বয় করে একটা ছবি দিয়ে আপনার নাম ইমেইল নাম্বার ঠিকমতো দিয়ে সাবমিট/সেন্ট করলেন। আমাদের পক্ষ থেকে লেখাটি পড়ে যদি এডিট করা লাগতে পারে ইডিট করে পাবলিশ করে আমরা আপনাকে আপনার ইমেইলে লিংক পাটাবো।

Leave a Comment