বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে দুজনকে হত্যা: আদালতের রায়ে মার্কিন কিশোর নির্দোষ

পুলিশের নির্যাতন ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন চলাকালে গত বছর সেমি-অটোমেটিক রাইফেল চালিয়ে দুই প্রতিবাদকারীকে হত্যা ও একজনকে আহত করে কাইল রিটেনহাউস। এ ঘটনার এক বছর পর তাকে খালাস দিয়েছে মার্কিন আদালত।

২০২০ সালের ২৫ আগস্ট এক বিক্ষোভ চলাকালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ওই বছরই আত্মপক্ষ সমর্থন করে ১৭ বছর বয়সী রিটেনহাউস বলেছিল, বিক্ষোভ চলাকালে কয়েকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সে। একপর্যায়ে তাকে আক্রমণ করতে এলে নিজের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে রিটেনহাউস। আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়।

এ ঘটনার পর হত্যাসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয় রিটেনহাউসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতো।

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, রিটেনহাউসের কাছে থাকা অ্যাসল্ট রাইফেলটি ছিল অবৈধ। অস্ত্র বের না করলে হতাহতের ঘটনা ঘটতো না বলেও দাবি তার।

আদালতের রায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দ্বিধাবিভক্ত করে দিয়েছে, দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ রায়ের পর অসন্তোষের আশঙ্কায় উইসকনসিন শহরে ন্যাশনাল গার্ড সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। 

সাতজন নারী ও পাঁচ পুরুষ বিচারকের জুরি বোর্ড এই দিতে তিনদিন সময় নেয়।

এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জনগণকে ‘শান্তিপূর্ণভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মামলার ফলাফল অনেক আমেরিকানকে ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন বোধ করবে। এতে তিনিও অন্তর্ভুক্ত। তবে বিচারকদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বলেছেন।

রিটেনহাউসের গুলিতে নিহত হন জোসেফ রোজেনবম ও অ্যানথনি হুবার এবং আহত হন গার্জ গ্রসক্রুৎজ। তারা সবাই শ্বেতাঙ্গ।

Leave a Comment