দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান?

দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান চান। দ্রুত বীর্যপাত দাম্পত্যজীবনে কলহ,হতাশা,অস্থিরতা,হতাশা,কিংবা পারষ্পরিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এর অনেক কারনের মধ্যে অন্যতম একটি হলো পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত বা Premature Ejaculation.কিন্তু সামাজিক ব্যবস্থা ও লোক লজ্জার ভয়ে এই ব্যাপারগুলি কখনো সামনে আসে না।

 

দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান

দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান এখন পুরুষদের একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে ইংরেজিতে বলা হয় প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। অনেক পুরুষই মিলনের সময় নিজের বা সঙ্গীর চাহিদার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত করে। দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান যদি এটি খুব কমই ঘটে তবে সতর্ক হওয়ার কোন কারণ নেই। কিন্তু যদি নিয়মিত বীর্যপাত আপনার এবং আপনার সঙ্গীর চেয়ে দ্রুত হয় দ্রুত বীর্যপাত, অর্থাৎ মিলনের আগে বা পরে আপনি অসাড় হয়ে যান- তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যাটি হচ্ছে তাকে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বলা হয়। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসা সহায়তা চাইতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি তিনজনের একজন পুরুষ দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যায় ভুগছেন। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা চিকিত্সা করা যেতে পারে। কিন্তু অনেক পুরুষ তাদের ডাক্তারের সাথে কথা বলতে বা চিকিৎসা নিতে নারাজ। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন যে শারীরিক কারণগুলিও দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু পুরুষের মধ্যে, পুরুষত্বহীনতা দ্রুত বীর্যপাতের সাথে জড়িত। সেখানে আজ অনেক চিকিৎসা আছে যেমন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং, এবং যৌন শিক্ষা। এগুলো আপনার এবং আপনার সঙ্গীর যৌনজীবনকে বীর্যপাতকে বিলম্বিত করে মধুর করে তুলবে।

 

দ্রুত বীর্যপাত বা Premature Ejaculation এর লক্ষণ সমুহঃ DMS-5 অনুসারে,একজন ব্যক্তি যদি নিম্নোক্ত সমস্যা সমূহ অনুভব করেন,তবে তার দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা রয়েছেঃ

ক) শারীরিক সম্পর্কের ১মিনিটের কম সময়ের মধ্যে বীর্যপাত।

খ) যদি এই সমস্যা ৬মাস বা তার অধিক সময় ধরে চলতে থাকে।

গ) ৭৫-১০০% ক্ষেত্রে যদি সময়ের আগেই বীর্যপাত হয়ে যায়।

ঘ) পার্টনারের মধ্য যৌন অসন্তোষ, হতাশা সৃষ্টি হওয়া।

ঙ) কোন মানসিক বা শারীরিক রোগের উপস্থিতি, যা থেকে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

চ) কোন মাদকদ্রব্য বা ওষুধ সেবন,যার কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে।

দ্রুত বীর্যপাতের কারণঃ

দ্রুত বীর্যপাতের কারণগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

১)জৈবিক কারন

২) মানসিক কারন

১) জৈবিক কারণ সমূহঃ

ক) ডায়াবেটিস।

খ) থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

গ) বিভিন্ন হরমোন জনিত সমস্যা।

ঙ)হৃদরোগ।

চ) মূত্রনালির সংক্রমন ও প্রদাহ।

ছ) বিভিন্ন রোগ, যেমনঃ সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি।

জ) বিভিন্ন ওষুধ।

ঝ) সার্জারি বা আঘাত জনিত কারণে স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে।

২) মানসিক কারণ

ক) দুঃশ্চিন্তা/মানসিক চাপ/ডিপ্রেশন।

খ) শারীরিক দূর্বলতা।

গ) সঠিক যৌন শিক্ষার অভাব।

ঘ) প্রি ম্যারাইটাল বা বিবাহ পূর্ব কাউন্সিলিং এর অভাব।

ঙ) সেক্স সম্পর্কে ভুল ধারনা।

চ) কম বয়সে সহবাস।

ছ) অতিরিক্ত প্রত্যাশা।

জ)আগের ব্যর্থতা বার বার মনে করা।

ঝ)সেক্সুয়াল এবিউজ।

ঞ)সম্পর্ক অবনতি /দাম্পত্য কলোহ।

ট)চাকরি -ব্যবসা জনিত কারণে দূরে থাকেন এবং অনেকদিন পরপর শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ পান।

ঠ)মাদকাসক্ত /নেশাগ্রস্ত।

 

দ্রুত বীর্যপাত সমাধান ও চিকিৎসা

সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা এবং তদনুসারে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে 90-95% ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাত হওয়া পুরুষরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

যৌনমিলন বা সহবাসের সময় যদি কোনো ছেলের 10 মিনিটের মধ্যে বীর্যপাত হয়, তাহলে এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। একে দ্রুত বীর্যপাত বলা যাবে না। এমনকি 7-8 মিনিট স্বাভাবিক বলা হয়। জেনে নিন দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান। আপনি এটি সম্পর্কে তখনই ভাববেন যখন আপনার বীর্য 1-2 মিনিটেরও কম সময়ে বেরিয়ে আসবে। তবেই আপনি বলতে পারবেন যে আপনার সমস্যা হচ্ছে দ্রুত বীর্য বের হচ্ছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। শারীরিক মিলনের সময় বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করার আগে আরেকটি সাধারণ ধারণার কথা বলি।

 

দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা

দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা অনেকেই আছেন যারা মনে করেন যে বেশিরভাগ সমস্যা হস্তমৈথুন বা হস্তমৈথুনের কারণে হয়। এটি একটি ভুল ধারণা দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা।
হস্তমৈথুন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি বিষয় । এতে আপনার কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা। কিন্তু বেশি করলে অনেক সমস্যা হতে পারে। এটা বলার কারণটা খুবই সহজ কারণ অনেকেই মনে করেন তার দ্রুত বীর্যপাতের আসল কারণ হল সে প্রচুর হস্তমৈথুন করে। এখানে একটি তত্ত্ব আছে। আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি. ধরুন আপনি হস্তমৈথুন করতে বাথরুমে গেলেন। আপনি যদি 20 মিনিট ধরে রাখেন তবে আপনি অবশ্যই আপনার বাড়ি থেকে একটি কল পাবেন, অন্যথায় দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা আপনার অবচেতন মন আপনাকে তাড়া করবে।

এই কারণেই ছেলেরা অবচেতনভাবে কীভাবে দ্রুত বীর্য ক্ষরণ করতে হয় তা আয়ত্ত করে। পরে, সেক্স করার সময়, সে তার অজান্তেই তার লিঙ্গের সেই বিশেষ জায়গাটি বা তার সেই বিশেষ স্টাইলের জায়গাটি ধরে ফেলতে পারে, যাতে সে দ্রুত বেরিয়ে যায়। এখন, যারা সত্যিই দ্রুত বীর্যপাত করেন তারা কী করেন? কারণ অবশ্যই, আপনার গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রী আপনার পুরুষাঙ্গটি তার মুখে নিয়েছিল, এবং আপনি কিছু করার আগেই আপনার বীর্য বেরিয়ে আসে, বা আপনার পুরুষাঙ্গটি ধরে, সাথে সাথে বীর্য বেরিয়ে আসে, বা আপনার বান্ধবী বা সঙ্গী আপনার সাথে উত্তেজক কিছু করে, তারপর বীর্য বের হয়। সর্বস্বান্ত. এগুলো যৌন সমস্যা। অন্য কথায়, ধরুন আপনি দীর্ঘ সময় ধরে যৌন মিলন বা যৌন মিলন করেন না। এটাই স্বাভাবিক, চিন্তার কিছু নেই। এটা তোমার অক্ষমতা নয়।

সেক্সের সময় বাড়ানোর নিয়ম

1. হাত উপর জোর. প্রায়শই দেখা যায় যে ছেলেরা যৌনমিলন বা যৌন মিলনের সময় পুরুষাঙ্গের সমস্ত বা প্রায় সমস্ত ভর রাখে, এর ফলে দ্রুত বীর্য বের হতে পারে তাই আপনাকে হাতের বল বাড়াতে হবে।

2. আপনাকে দীর্ঘ সময় এক অবস্থানে না থেকে অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে দ্রুত বীর্যপাত।

3. একটি ভিন্ন পদ্ধতি হল একবার বের হওয়া। একবার আপনি আপনার সঙ্গীর কাছে আপনার বীর্য দেখান বা অন্য কোথাও সেক্স বা যৌন মিলনের আগে তা বের করে নিন। সে হর্নিকে দেখে। এবার লিঙ্গটি পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এখন 2 মিনিট বিরতির পর ধীরে ধীরে আবার চুম্বন শুরু করুন দ্রুত বীর্যপাত। এটি 15 মিনিটের মধ্যে আবার যোনিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হওয়া উচিত।

4. আপনি যদি মনে করেন যে সে এখন বেরিয়ে আসছে, তাকে সোজা না করে তাকে আদর করুন। স্বাভাবিক হলে আবার শুরু করুন।

5. বাড়িতে একটি অভ্যাস অনুশীলন. নিজের দ্বারা লিঙ্গকে উদ্দীপিত করুন এবং বীর্যপাতের ঠিক আগে এটি গ্রহণ করুন, তারপর বীর্যপাত ছাড়াই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। সপ্তাহে একবারের বেশি না করাই ভালো কারণ এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

. সবশেষে ভালো খাবার খান এবং বেশি করে ডিম ও দুধ খান।

আমি আশা করি এই সব বিষয়ে সতর্ক থাকলে আপনার যৌন জীবন সুন্দর হবে!

 

দ্রুত বীর্যপাত হোমিওপ্যাথিক সমাধান

দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সমাধানের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক, উন্নত এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার। যা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে। যৌন মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন পুরুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। শরীর সম্পর্কে চূড়ান্ত তৃপ্তি পাওয়ার আগেই শুক্রাণু বের হলে তাদের হতাশ হতে হয়। কিছু লোক এটি প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন ধরণের জেল এবং স্প্রে ব্যবহার করে। কিন্তু এগুলো নিয়মিত ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ইউনাইটেড কিংডম ভিত্তিক লন্ডন ভিত্তিক কোম্পানি দ্রুত বীর্যপাত এই সমস্যার কিছু সহজ সমাধান নিয়ে এসেছে। ইনস্টিটিউটের গবেষণা দেখায় যে ব্রিটিশ পুরুষরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক কৌশল ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক যোগাযোগ করে।

দ্রুত বীর্যপাত অবস্থান বদল

দ্রুত বীর্যপাত অবস্থান বদল ‘মিশনারী পজিশন’ মেনে সেক্স করলে বীর্যপাত দ্রুত হয়। যৌন মিলনের সময়, একজন মহিলা তার পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকেন, যাকে মিশনারি পজিশন বলা হয় দ্রুত বীর্যপাত অবস্থান বদল। এই পদ্ধতিতে পুরুষটি তার সঙ্গীর উপর শুয়ে সেক্স করে। দ্রুত বীর্যপাত রোধ করা সম্ভব নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে ‘গরু মেয়ের অবস্থান’। এই পদ্ধতিতে, পুরুষরা তাদের পিঠের উপর শুয়ে থাকে দ্রুত বীর্যপাত অবস্থান বদল। মহিলাটি তার উপর বসে যৌন মিলন করে। দ্রুত বীর্যপাত রোধ করার অন্য দুটি পদ্ধতি হল ‘ফেস অফ’ এবং ‘স্পুন’। মুখ বন্ধ অবস্থায়, পুরুষ চেয়ার বা বিছানায় সোজা হয়ে বসে থাকে দ্রুত বীর্যপাত। মহিলারা পুরুষদের কোলে মুখোমুখি বসে সেক্স করে। চামচ অবস্থানে, মহিলা তার পাশে শুয়ে আছে। পুরুষরা শুয়ে সহবাস করে।

 

স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণ

স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণ যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করানোকে স্ট্রোক বলে। কয়েকবার আঘাত করার পর যখন মনে হয় বীর্য বের হবে তখন আর প্রবেশ করা যাবে না। আমাকে স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণ বিরতি নিতে হবে।

 

হস্তমৈথুন

হস্তমৈথুন অনেকদিন পর সহবাস করতে গেলে দ্রুত বীর্যপাত হবে। হস্তমৈথুন কারণ অণ্ডকোষ বীর্যে পূর্ণ। ফলে কয়েক আঘাতের পর বীর্য বের হয়। এটা অনেকটা কানায় কানায় ভরা পানির গ্লাসের মতো হস্তমৈথুন। একটু নড়াচড়া করলে দ্রুত উপচে পড়ে। তাই সহবাসের কিছুক্ষণ আগে হস্তমৈথুন করে বীর্য বের করা যায়।

 

কনডম ব্যবহার

কনডম ব্যবহার লিঙ্গ যোনিতে প্রবেশ করে স্ট্রোক দিলে ঘর্ষণ হয়। এতে যোনির ভিতরটা গরম হয়ে যায়। ঘর্ষণ ও তাপে দ্রুত বীর্য বের হয়। কনডম ব্যবহার করলে তা দীর্ঘায়িত হতে পারে কনডম ব্যবহার। কনডমের লুব্রিকেন্ট ঘর্ষণ কমায়। এটি কম তাপও উৎপন্ন করে। কিন্তু মনে রাখবেন দ্রুত বীর্যপাত কনডম ব্যবহার, পাতলা কনডম ব্যবহার করলে আপনার কোনো উপকার হবে না। একটি সামান্য মোটা ধরনের কনডম কার্যকর হতে পারে।

 

স্কুইজ পদ্ধতি

স্কুইজ পদ্ধতি হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর। যৌনাঙ্গের নিচের দিকের চামড়া বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে দিতে হবে। তারপর বুড়ো আঙুলের মাথা দিয়ে সেই জায়গাটাকে বাম থেকে ডানে বা ডান থেকে বামে মোচড় দিতে হবে স্কুইজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি যৌনাঙ্গের বৃদ্ধির সময় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

 

কার্যকর চিন্তা

যৌন মিলনের সময় অনেকেই পর্নোগ্রাফির কথা ভাবেন। কেউ কেউ আবার রাস্তায়, বাসে-ট্রেনে দেখা নারীর লাশ কল্পনা করতে শুরু করে। এই ধরনের চিন্তা দ্রুত বীর্যপাতের দিকে নিয়ে যায়। তাই যৌন মিলনের সময় অন্য কোনো নারীর কথা চিন্তা করা বন্ধ করা উচিত। স্ট্রোক দেওয়ার সময় জটিল গাণিতিক সূত্র, সাহিত্যের বিষয়, ল্যান্ডস্কেপ কল্পনা করা যেতে পারে।জাভামেদ দাবি করেছেন যে জরিপে অংশ নেওয়া ব্রিটিশ পুরুষরা যৌন মিলনের সময় যৌনতার বাইরে কিছু কল্পনা করে উপকৃত হয়েছেন।

অকাল বীর্যপাত বর্তমান সময়ের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত বীর্যের চিকিৎসা এবং কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। কিন্তু দ্রুত বীর্যপাত রোধ করতে বেশিরভাগ মানুষই যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করছেন যা বেশি ক্ষতিকর। প্রথমে আমাদের জানতে হবে দ্রুত বীর্যপাত কী এবং কেন হয়।

দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা

দ্রুত বীর্য থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে দ্রুত বীর্যপাত হবে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিকার এবং কার্যকর খাদ্য গ্রহণ সবচেয়ে ভালো কাজ করে। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সার সাথে, 95% রোগী পুনরুদ্ধার করে।

 

দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সহবাসের সময় ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। আপনি যখন চরম মুহুর্তে যান, তার আগে আপনার শ্বাস একটু ধরে রাখুন। এটি আপনার ইজাকুলেশন রিফ্লেক্সকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এভাবে কয়েকবার করুন, সময়টা আগের থেকে একটু বেশি হবে দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা। 42 ঘন্টায় একাধিকবার পুনর্মিলন। এটি পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করবে। পর্যাপ্ত বীর্যপাত না হওয়ার কারণে বীর্যপাত হতে অনেক সময় লাগবে। যাদের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা রয়েছে, তারা প্রথমবার ফাঁকে মিলিত হলে বেশি সময় পাবেন না। তবে নিয়মিত করলে সময় বাড়বে। সুন্দর যৌনজীবনের কিছু টিপস! মিস মে ট্যাবলেট – মিস মে ট্যাবলেট মাসিকের কত দিন পর গর্ভবতী হয়? Lubricant Gel in Bangla দ্রুত বীর্যপাত প্রায়শই জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নাবলী এই পণ্য ব্যবহার করার সময় ভারী যন্ত্রপাতি ড্রাইভ বা পরিচালনা নিরাপদ? বিয়ের পর প্রথমবার মিলনের নিয়ম। ফোরপ্লে কি এবং কিভাবে করতে হয়?

 

দ্রুত বীর্য পাতের ঘরোয়া চিকিৎসা

দ্রুত বীর্য পাতের ঘরোয়া চিকিৎসা তলপেটের পেশীকে শক্তিশালী করে সহবাসের সময় বাড়বে। যেমন কেগেল, ইরা পিঙ্গলা নাড়ির ব্যায়াম। কেগেল ব্যায়াম এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর। কিভাবে কেগেল ব্যায়াম করবেন: প্রথমে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন এবং একই জায়গায় বা বিছানায় শুয়ে পড়ুন। তারপর বিছানার সাথে কোমর লাগিয়ে রেখে আস্তে আস্তে দুই পা একসাথে তুলুন। দ্রুত বীর্য পাতের ঘরোয়া চিকিৎসা পা তোলার সময় দুই হাত বিছানায় রাখুন। এখন 10 সেকেন্ড ধরে রাখার পরে, উভয় পা ধীরে ধীরে নামিয়ে দিন। তারপর আবার একইভাবে পা উঠান এবং নামান। এভাবে প্রতিদিন 20 মিনিট ব্যায়াম করলেও ঘরোয়া উপায়ে অকাল বীর্যপাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

শীর্ঘ্রপতনের স্থায়ী চিকিৎসা ও ওষধ

শীর্ঘ্রপতনের স্থায়ী চিকিৎসা ও ওষধ হল দ্রুত বীর্যপাতের স্থায়ী চিকিৎসা হল প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করা এবং নির্ধারিত খাবার খাওয়া। বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে তা দূর করা যায় শীর্ঘ্রপতনের স্থায়ী চিকিৎসা ও ওষধ। কিন্তু অন্য কোনো রোগের কারণে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন দ্রুত বীর্যপাত শীর্ঘ্রপতনের স্থায়ী চিকিৎসা ও ওষধ।

 

দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসায় খাবার

দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসায় খাবার ধরনের রোগের চিকিৎসায় খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক খাবার আছে যেগুলো অকাল বীর্যপাত রোধ করতে পারে। নিচের খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ভালো ফল পাওয়া যায় দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসায় খাবার। প্রতিদিন সকালে ও রাতে খেজুর খান। খেজুর মানবদেহে শারীরিক ও যৌন শক্তি বাড়ায় দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসায় খাবার।

যৌন বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ এবং একটি ডিম খান তবে তার যৌন সমস্যার জন্য কখনই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত নয়। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার খান। যেমন দ্রুত বীর্যপাত: সূর্যমুখী বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্টো বাদাম এবং মিষ্টি কুমড়ার বীজ। প্রতিদিন রসুন খান। সবচেয়ে ভালো হবে যদি কাঁচা রসুন ভাজা করে প্রতিদিন খাওয়া হয়। আপনি যদি এটি করতে না পারেন তবে তরকারিতে এবং বিভিন্ন খাবারের সাথে রসুন খাওয়ার চেষ্টা করুন। যৌন ও হৃদরোগে রসুন খুবই কার্যকরী। এ ছাড়া তরমুজ, পেয়ারা, আঙুর, কমলা, লেবু, মাল্টা, ডালিম প্রচুর পরিমাণে যৌন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গরুর মাংস লাল মাংস এবং এক্ষেত্রে খুবই উপকারী।

সতর্কতাঃ গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার, ওঝা এবং নিজে নিজে ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। এতে প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।