দাদিকে গুলি করে স্কুলে রওনা করেন টেক্সাসের বন্দুকধারী

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলা করার আগে নিজের দাদিকে গুলি করেন বন্দুকধারী। এরপর গাড়ি চালিয়ে স্কুলের উদ্দেশে রওনা করেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বন্দুকধারীর দাদিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

গতকাল মঙ্গলবার সাউথ টেক্সাসের উভালদে শহরের যে স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে, সেটির নাম রব এলিমেন্টারি স্কুল। এ ঘটনায় ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র মারশা এসপিনোসা বলেন, হামলার পর বন্দুকধারী স্কুলের ভেতর অবস্থান নেন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা ভেতরে ঢুকলে তাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এ গোলাগুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রোল বাহিনীর এক সদস্য আহত হন।

টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেছেন, বন্দুকধারীর নাম সালভাদর রামোস। তাঁর বয়স ১৮ বছর। তিনি উভালদের বাসিন্দা।

স্কুলে হামলার পেছনে বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য কী ছিল, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এ মামলার ব্যাপারে জানাশোনা আছে—এমন ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াশিংটন পোস্টকে তদন্তের প্রাথমিক ফলাফলের বিষয়ে অবহিত করেছেন।

এক ব্যক্তি বলেছেন, বন্দুকধারীর বয়স ১৬ মে ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১৮তম জন্মবার্ষিকীর পরপরই অস্ত্রগুলো কেনেন ওই বন্দুকধারী। তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও বলেছেন, অতীতে কোনো অপরাধকর্মের রেকর্ড তাঁর (বন্দুকধারী) নেই।

আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গুলি, ১৯ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২১
হামলায় হতাহতদের নেওয়া হয়েছে এসএসজিটি উইলি ডি লিওন সিভিক সেন্টারে। বাইরে অপেক্ষায় স্বজনেরা। রব এলিমেন্টারি স্কুল, টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে এর আগেও হামলা হয়েছে। তবে গত ১০ বছরে যেসব হামলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সাসের এ হামলা। এ হামলার ১০ দিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোর একটি সুপারমার্কেটে গুলি চালানো হয়। এতে ১০ জন নিহত হন। ওই সময় যিনি গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁর বয়সও ছিল ১৮। পুলিশ ধারণা করছে, সেটি ছিল বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ।

এর আগে ২০১২ সালে কানেটিকাটে একটি স্কুলে হামলা চালানো হয়। ওই হামলা ২০ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হন। নিহত ওই শিশুদের বয়স ছিল ১০ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিহত হন।

Leave a Comment