তৈমুর আলম খন্দকার এবং এ টি এম কামালকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করা তৈমুর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাঁর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালকেও বহিষ্কার করেছে দলটি। দুজনেরই বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাঁদের বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। রহুল কবির রিজভীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল বিএনপির। সেই সিদ্ধান্ত না মেনে তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের মেয়র প্রার্থী হলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ টি এম কামাল তৈমুরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন।

তৈমুরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।

আর এ টি এম কামালকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, বহিষ্কারের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। দল যে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটিই সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে বড় দুটি রাজনৈতিক দলে (বিএনপি-আওয়ামী লীগ) কমিটি ভাঙা ও বহিষ্কারের মড়ক লেগে গেছে। এই বড় দুই দলের ত্যাগী ও নিবেদিত নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শবিনা খতম পড়াইতে হবে। এটা করোনার মতো, রাজনৈতিক মহামারি লেগে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য দুই দলেরই জালালি খতম পড়াইতে হইব।’

এ টি এম কামাল বলেছেন, তিনি কোনো চিঠি পাননি। তবে এ রকম একটি বিষয় শুনেছেন।

গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে ৬৬ হাজার ৫৩৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

Leave a Comment