তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে ছয় প্রস্তাব

জনসমাগম হয়, এমন সব স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। বিক্রয়স্থলেও তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন চলছে। খুচরা তামাক পণ্যের বিক্রি নিষিদ্ধ না হওয়ায় মানুষের মধ্যে তামাকজাত পণ্য সেবন কমছে না। এদিকে তামাকজাত পণ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা ছোট আকারে দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল শনিবার সকালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর জন্য এক ভার্চ্যুয়াল ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন আলোচকেরা। ‘কোভিড-১৯ ও শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এ সভা যৌথভাবে আয়োজন করে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও অ্যান্টি–টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)।

ওয়েবিনারে শতভাগ ধূমপান বন্ধ নিশ্চিতে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এগুলো হলো উন্মুক্ত স্থানে (পাবলিক প্লেস) ধূমপান নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ করা, ই-সিগারেট বাজারজাত বন্ধ করা, তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আকার বাড়ানো, সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) নামে সিগারেট কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা এবং বিক্রির স্থানে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন বন্ধ করা।

ওয়েবিনারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘তামাক আইনের সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে আমি একমত। এগুলো তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে জরুরি।

জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, তামাক পণ্যের খুচরা বিক্রি বন্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব। এটি করতে হবে।

অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ, তামাক থেকে শুধু ট্যাক্স পাওয়ার বিষয়টি না ভেবে লাখ লাখ মানুষ তামাকের কারণে ক্যানসারে মারা যাবে, এটিও চিন্তা করতে হবে।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, আইন সংশোধনের যে ছয়টি প্রস্তাব করা হয়েছে, এগুলো সমন্বয় করেই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

টিভি টুডের এডিটর–ইন–চিফ মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করতে হলে আইনটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধন করতে হবে।

আত্মার সহ–আহ্বায়ক নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনবিষয়ক প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার। প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের, নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী, ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মাদ ফয়সাল আহসান উল্লাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Leave a Comment