টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের সব সংগঠন এক হচ্ছে

চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের কলাকুশলীদের মধ্যে সব সময়ই অলিখিত একটা দূরত্ব ছিল। এই দূরত্ব তাঁরা শতভাগ ঘোচাতে চান। বৃহৎ স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে চান তাঁরা। আজ সোমবার এফডিসির পরিচালক সমিতির পাঠাগারে চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পী ও কলাকুশলীদের মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান দুই সংগঠনের নেতারা। প্রথমবারের মতো তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনের (এফটিপিও) চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কাজের ক্ষেত্রে কোনো দূরত্ব রাখতে চাই না আমরা। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা।

অভিনয়শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক—সবাই কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়, সেই পরিকল্পনা করার জন্য একত্র হয়েছিলাম। আমাদের একসঙ্গে পথচলার সূচনা হলো। দুই পক্ষের সদিচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে, তাঁরা একসঙ্গে কাজ করতে চান।’

কেন মনে হলো একসঙ্গে কাজ করা দরকার? এমন প্রশ্নে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের শিল্পী-কলাকুশলীদের কাজ করতে গিয়ে কিছু অভিন্ন সমস্যা লক্ষ করা যায়। সেগুলো সমাধান করার জন্য দুই মাধ্যমের সংগঠন এক হয়ে কাজ করার বিকল্প নেই। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে, আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে।’

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘চলচ্চিত্র, নাটক ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্র প্রযোজক, ডিরেক্টর গিল্ড, অ্যাক্টরস ইক্যুইটি থেকে শুরু করে সবাই একত্র হয়েছিলাম। আমরা সবাই মিলে বৃহৎ একটি পরিবার। তাদের ফেডারেশন রয়েছে, আমরাও ফেডারেশন করছি। একটা ঐক্য করে আমরা একে অন্যকে সহযোগিতা করে কাজ করব। সবাই মিলে চলচ্চিত্র, টেলিভিশনশিল্পের উন্নয়ন, কাজের পরিবেশের মানোন্নয়ন, সব দুর্যোগে কীভাবে একে অন্যের সঙ্গে কাজ করা যায়, সেসব পরিকল্পনা করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির আমন্ত্রণে টেলিভিশন মাধ্যমের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এই যৌথ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। আলোচনায় বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে ক্লিন ফিড-সংক্রান্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
মতবিনিময় সভার বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Comment