জাতিসংঘ, আফগানদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহে বৈঠক করবে

আফগানিস্তানে দুর্দশার মুখে থাকা কয়েক লাখ মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণসহায়তার সংস্থান করতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

১৩ সেপ্টেম্বর জেনেভায় এই বৈঠক হবে বলে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানে ডুজারিক জানিয়েছেন।

স্টেফানে ডুজারিক বলেন, আফগানিস্তানে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা কার্যক্রম যেন অব্যাহত রাখা যায়, সে জন্য দ্রুত তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হবে এই সম্মেলনে। জাতিসংঘের মুখপাত্র জানান, আফগানিস্তান এখন মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। আফগানিস্তানের ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষের প্রায় অর্ধেকেরই এখন মানবিক সহায়তা দরকার।

পরে এক টুইটে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হোক এবং আফগান জনগণকে সহায়তা করুক, সেটাই আমাদের দরকার।’ আফগানরা যাতে তাদের প্রয়োজনীয় সেবাগুলো পায়, তা নিশ্চিতে সে দেশে পুরোদমে ও বাধাহীনভাবে মানবিক ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। তারা এখন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। রাজধানী দখলের আগে তালেবান যখন আফগানিস্তানের একের পর এক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিল, সেই সময় যুদ্ধ থেকে পালাতে ঘরবাড়ি ছেড়েছে বহু মানুষ। আবার তালেবানের প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার ভয়ে অনেক মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত।

এর মধ্যে খরায় উৎপাদন কম হওয়ায় আফগানিস্তানে খাদ্যঘাটতি দেখা দিয়েছে। দুই দিন আগেই আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী রমিজ অলকবারভ আফগানিস্তানে মানবিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে আফগানিস্তান খাদ্যসংকটে পড়তে পারে। দেশটিতে প্রতি তিনজনে একজনকে ক্ষুধার্ত থাকতে হতে পারে।

রমিজ অলকবারভ আরও বলেন, আফগানিস্তানে অর্ধেকের বেশি শিশু খাদ্যসংকটে রয়েছে। পরের বেলার খাবার সংগ্রহের জন্য তাদের কষ্ট করতে হচ্ছে।

আল–জাজিরার এক খবরে বলা হয়, সম্প্রতি আফগানিস্তানে খাবারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। আর পেট্রলের দাম বেড়েছে ৭৫ শতাংশ। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী রমিজ অলকবারভ বলেন, বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি সেবাগুলো অকার্যকর রয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন পাচ্ছেন না।

Leave a Comment