নওগাঁর বদলগাছীতে গভীররাতে শয়নঘরের জানালা দিয়ে ঘুমন্ত গৃহবধূর গোপনাঙ্গে স্বজোরে বাঁশের সুচালো লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগে চাচা শশুরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মিঠাপুর ইউপির হাজিপুর গ্রামে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, উপজেলার মিঠাপুর ইউপির হাজিপুর গ্রামের মোহাক্কেক হোসেন এর ছেলে আবু মাসুমের সাথে প্রায় ১যুগ আগে বিয়ে হয় কবিতা পারভিনের। বিয়ের পর থেকেই একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলাম এর ছেলে প্রতিবেশি সম্পর্কে চাচা শশুর সফিউল ইসলাম বুলবুল গৃহবধূ কবিতাকে প্রায় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এর এক পর্যায় গত ১৯শে জুলাই রাতে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর সাথে শয়ন করে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় প্রায় রাত ২টার সময় কৌশলে জানালার পাল্লা খুলে লম্পট চাচাশশুর বুলবুল ঘুমন্ত গৃহবধূর গোপনাঙ্গে একটি বাঁশের লাঠি (কাড়ুল)দিয়ে স্বজোরে আঘাত করে।
এতে গৃহবধূর চিৎকার করে উঠলে তার স্বামী তাৎক্ষনিক ভাবে বাড়ির দরজা খুলে বাহিরে যেতেই বুলবুল দ্রুত পালিয়ে যায়। গৃহবধুর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় গৃহবধূকে দেখতে পায়। ঐ রাতেই গৃহবধূর স্বামী আবু মাসুম দ্রুত স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে তার স্ত্রীর চিকিৎসা করান।
এঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী আবু মাসুম ৪দিন পর গত ২৩শে জুলাই বদলগাছী থানায় সফিউল ইসলাম বুলবুল এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচায় করে অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহন করেন।
এবিষয়ে ভোক্তভোগী গৃহবধূ কবিতা পারভিন বলেন,প্রতিবেশী বুলবুল আমার সম্পর্কে চাচাশ্বশুর হয়। চাচাশশুর হলে সে প্রায় আমাকে কুপ্রস্তাব দিতো।বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে লম্পট বুলবুলকে এধরনের কু-প্রস্তাব দিতে নিষেধ করে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ঘটনার দিন গভীর রাতে স্বামীর সাথে ঘুমন্ত অবস্থায় জানালা দিয়ে আমার গোপন স্পর্শকাতর যায়গায় আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় টর্চ লাইটের আলোতে আমার স্বামী চাচাশশুর বুলবুলকে চিনতে পারে।
এঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সফিউল ইসলাম বুলবুল পলাতক রয়েছে। তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন প্রকার কথা বলতে রাজি হয়নি।
বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।