খাদ্যে ভেজাল!!

পৃথিবীর কোনো মানুষই না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে না। প্রত্যেককেই বেচেঁ থাকার জন্য অবশ্যই খাবার খেতে হয় এবং খবরটি অবশ্যই নিরাপদ হতে হয়।কোনো খাবারে দূষিত পদার্থ বা অপদ্রব্য মেশালে খাদ্যের মান যেমন নষ্ট হয়ে যায় তেমনি ওই খাবার শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।আর তা খেয়ে মানুষজনের মৃত্যু পেটে অসুখ ইত্যাদি দেখা দেয়।

বর্তমান কালে খাদ্যে ভেজাল নামক একটি অনেক বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে।দিনে দিনে দেশের জনসংখ্যা ক্রমশ যেনো বাড়ছে,সেই সাথে বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা।আর দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীগণ তার ফায়দা লুটে নিচ্ছে।তারা খাদ্যদ্রব্যকে বেশিদিন টাটকা রাখার জন্য,খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ তথা ভেজাল মিশিয়ে ভালো খাবার টাকেও নষ্ট করে দিচ্ছে।সামান্য কিছু অর্থ আদায়ের জন্য লোভে পরে তারা এ ধরনের অন্যায় এবং অনৈতিক কার্য করে থাকে।আর তাদের লোভের ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষদের।তারা সেগুলো খেয়ে পেটের নানারকম সমস্যায় ভুগে, কারো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয়,আবার কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করে।নিরাপদ খাদ্য আইন- ২০১৩ আলােকে “বিভিন্ন উপায়ে খাদ্যে পরিবর্তন সাধন করে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, আইনের অধীন নিষিদ্ধ, খাদ্য দ্রব্যের ক্ষতি হয়েছে, গুণাগুন বা পুষ্টিমান কমে গেছে, খাদ্য ক্রেতার আর্থিক বা স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়েছে” এমন খাদ্যই ভেজাল খাদ্য। খাদ্যে ভেজাল দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।এছাড়া জনগণ যদি সচেতন হয়ে ভেজাল খাদ্য প্রত্যাহার করে, তবে বিক্রেতা খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার কথা ভাবতেও পারবে না। একটি সুখী, সমৃদ্ধিশালী জাতি হিসেবে দাঁড়াতে হলে মানুষকে কর্মঠ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে, আর সেটি নিশ্চিত করতে পারে খাঁটি খাবার। তাই বিক্রেতাদের এই আত্মঘাতী পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।

Leave a Comment