খনিজ পদার্থ কি? খনিজ পদার্থ উদাহরণ

খনিজ পদার্থ কি? খনিজ পদার্থ উদাহরণ

আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো খনিজ বা Minerals. এগুলো মূলত অজৈব উপাদান যা দেহে খুব কম পরিমাণে প্রয়োজন হয়।প্রয়োজনীতার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে এগুলোকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়-
1.Macrominerals
2.Microminerals
আজ আমরা জানব Macrominerals নিয়ে।
দেহের জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রামের চেয়ে বেশি পরিমাণে যে মিনারেলগুলো লাগে সেগুলোই হলো ম্যাক্রোমিনারেলস।যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরাইড, সালফার এবং ফসফরাস।
=>সোডিয়াম:
সোডিয়াম আমাদের রক্তের আয়তন নিয়ন্ত্রণ করে।
Extra cellular fluid এর অসমোটিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
Action potential এর ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা রয়েছে।
আমাদের দেহে প্রতিদিন ১.৫ গ্রাম সোডিয়াম দরকার হয়।

=>পটাশিয়াম:
Intracellular fluid এর আয়তন এবং অসমোটিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে পটাশিয়াম।
এছাড়াও Resting membrane potential, action potential ও acid base balance এ এর ভূমিকা আছে।
এর অভাবে নানারকম হৃদরোগ হয়ে থাকে।

=>ক্যালসিয়াম:
দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য,মাছ,মাংস,সবুজ শাকসবজি থেকে আমরা ক্যালসিয়াম পেয়ে থাকি।
আমাদের দাঁত ও হাড়ের জন্য এটি খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
এর অভাবে Ricket,osteomalacia, osteoporosis সহ নানারকম হয়ে থাকে।

=>ম্যাগনেসিয়াম:
ক্যালসিয়ামের মত ম্যাগনেসিয়ামও দাঁত ও হাড়ের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম কোফ্যাক্টর ও কোএনজাইম হিসেবে কাজ করে থাকে।
তবে অতিরিক্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করার ফলে CNC depression, hypotension এর মত রোগ হতে পারে।

=>ফসফরাস:
বায়োলজিকাল মেমব্রেন ও ফসফোলিপিডের একটি অন্যতম উপাদান হলো ফসফরাস।
শক্তি সঞ্চয়েও সহায়ক ভূমিকা পালন করে এটি।
এর অভাবে ricket এবং osteomalacia হতে পারে।

তাই সুস্থ থাকতে আমাদের প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণে খনিজ গ্রহণ করা উচিত।

©দীপা সিকদার জ্যোতি

Leave a Comment