কচুরিপানার নিচে শিশুর লাশ

মুন্সিগঞ্জ সদরে মো. যুবায়ের হোসেন নামের সাত বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্য মাকহাটি গ্রামের একটি পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহত যুবায়েরের চাচাতো ভাই ইমন মাঝিকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুপুরে যুবায়েরের বাবা মাইনউদ্দিন মাঝি বাদী হয়ে তাঁর ভাতিজা ইমনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

নিহতের বাবা মাইনউদ্দিন বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে যুবায়ের ইসলাম প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ৯টার দিকে বাড়ি না ফিরলে আমরা ওর শিক্ষকের কাছে খোঁজ নিতে যাই। যুবায়ের পড়তে আসেনি বলে জানান তার শিক্ষক। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। রাতে বাড়ির পাশের পুকুরের কচুরির নিচে যুবায়েরকে দেখি।’

স্থানীয়রা জানান, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় যুবায়েরকে ইমন ডেকে নিয়ে যান রাত ১০টা দিকে। পরে বাড়ির পাশের পুকুরের কচুরিপানার নিচে গলায় পাটের রশি প্যাঁচানো অবস্থায় মৃত যুবায়েরকে পাওয়া যায়। এরপর ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ নিহতের চাচাতো ভাই ইমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ ইমন মাঝির বরাত দিয়ে জানায়, ইমন যুবায়েরদের ঘরে টিভি দেখতেন। যুবায়েরের মা–ও ইমনকে আদর করতেন। তবে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারত না যুবায়ের। তার আদরের ভাগ কাউকে দিতে চাইত না। যুবায়ের ইমনকে তাদের ঘরে যেতে নিষেধ করত। এটা নিয়ে ইমনের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি নেয়। তাই তিনি যুবায়েরকে হত্যা করে কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে রাখেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজীব খান বলেন, ‘সোমবার রাত ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। রাত সাড়ে ১২টায় দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই। পরবর্তী সময়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় নিহত যুবায়েরের চাচাতো ভাই ইমন মাঝিকে সন্দেহ হলে আমরা তাঁকে থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তী সময়ে তিনি হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ইমন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Leave a Comment