কক্সবাজারে উদ্ধার হল অপহৃত চতুর্থ শিক্ষার্থীও

কক্সবাজারের রামু থেকে অপহৃত চার শিক্ষার্থীর মধ্যে রাতে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের পর আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অপর শিক্ষার্থীকেও উদ্ধার করেছে র‍্যাব। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম মিজানুল ইসলাম।আজ শনিবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে র‍্যাব।এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে টেকনাফের শালবন এলাকা থেকে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম।

তারা হলেন- জাহিদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুর রহমান নয়ন।এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে একই পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ কায়সার নামে এক নিখোঁজ ছাত্রকে উদ্ধার করে র‍্যাব।অপহৃত অপর জনের সন্ধানে রাতভর পাহাড়ে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।গত ৭ ডিসেম্বর অপহৃত হন চার শিক্ষার্থী উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জাহেদুল ইসলাম, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ কায়সার ও মিজানুল ইসলাম।

তাদের সবার বাড়ি রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন পেঁচারদ্বীপ এলাকায়।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রামুর পেঁচারদ্বীপের বাসিন্দা ও সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও ইব্রাহিমের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
সেই সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর সকালে রামুর পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা বলে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

একপর্যায়ে ওই দিন সকাল ১০টার দিকে স্কুলছাত্রদের নিয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে স্কুলছাত্রদের খোঁজ মিলছিল না।এরই মধ্যে বুধবার রাতে নিখোঁজ থাকা স্কুলছাত্রদের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের মুক্তিপণ বাবদ ২০ লাখ টাকা দাবি জানায়। মুক্তিপণ না দিলে স্কুলছাত্রদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে এপিবিএন।

Leave a Comment