ওজনে ১৭ মন, মূল্য ৭ লাখ; দিনাজপুরে ক্রেতা না পাওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় খামারী

দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর শিবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী। পেশায় তিনি একজন ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি। আড়াই বছর আগে সখ করে এক বছরের একটি ফ্রিজিয়ান জাতের বাছুর কিনে আনেন। এরপর থেকে পালন করতে থাকেন নিজ বাসায়। পবিত্র ঈদ-উল আযহায় বিক্রির উদ্দেশ্যে গরুটির নাম রেখেছেন “ত্যাগ”। বর্তমানে ত্যাগের ওজন প্রায় ১৭ মন। ঈদে বিক্রির জন্য দাম রেখেছেন ৭ লাখ টাকা।

ফ্রিজিয়ান জাতের ত্যাগের উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, লম্বায় সাড়ে ১১ ফুট। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর গরু হলো ত্যাগ।

আকবর আলীর স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, ফ্রিজিয়ান গরুটি জেলার কাহারোল উপজেলার হাট থেকে আড়াই বছর আগে আমার স্বামী কিনে আনেন। এরপর থেকে আমরা নিজেদের মত লালন-পালন করতে থাকি। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখলেই চিৎকার করে। তখন তাকে খাবার দেয়া হলে শান্ত হয়। আমি নিজ হাতে প্রতিদিন ত্যাগকে গোসল করাই। প্রতিদিন ভুট্টা ভাঙ্গা, কাচা ঘাসসহ বিভিন্ন খাবার দেয়া হয়।

আকবর আলী জানান, সখ করে আড়াই বছর আগে গরুটি কিনে আনি। কিছু আগে গরুটির ওজন করে জানতে পারি যে, তার ওজন ১৭ মনের মত হয়েছে। গরুটির দাম হিসেবে ৭ লাখ রাখছি। করোনা ভাইরাসের কারণে গ্রাহক পাওয়া যাচ্ছে না। গরুটি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারলে কিছু লাভবান হতে পারবো। এবছর কিছুটা লাভ হলে আগামীতে ত্যাগের মত আরও গরু পালন করবো। তবে এখন পর্যন্ত সে রকম কোন গ্রাহকের সাড়া পাই নি।

গরুর নাম “ত্যাগ” রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পবিত্র ঈদ-উল আযহা অর্থাৎ কুরবানী ঈদ হলো ত্যাগ করা। তাই কুরবানী ঈদের জন্য তার নাম ত্যাগ রাখা হয়েছে।

দিনাজপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. আশকা আকবর তৃষ্ণা জানান, পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে দিনাজপুর জেলায় ৫৮ হাজার ৫৫ গরু খামারী ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৩টি গরু মোটাতাজাকরণ করেছে। বর্তমানে জেলার চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৮টি। অতিরিক্ত সাড়ে ৫৪ হাজার গরু জেলার বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, আমরা আকবর আলীর ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ত্যাগকে দেখেছি। তবে এত বড় গরু সাধারণ ঢাকার গ্রাহকরা কিনে থাকেন। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ঢাকার গ্রাহকরা ঠিক মত আসছে না।

Leave a Comment