এবার যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র দুষছে ইরানকে

ওমান উপকূলের কাছাকাছি তেলের ট্যাংকারে হামলা করে দুই নাবিককে হত্যার ঘটনায় এবার যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রও ইরানকে দায়ী করলো। কড়া প্রতিক্রিয়ার দেশ দুটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হয়েছে। খবর বিবিসি।

ইসরায়েলি মালিকানা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের জাহাজটি। গত বৃহস্পতিবার হামলার পরপরই ইরানকে দায়ী করে ইসরায়েল।

ড্রোন দিয়ে চালানো হামলায় একজন ব্রিটিশ ও একজন রোমানিয়ার নাগরিক নিহত হয়।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট দাবি করেন, এ ঘটনার পেছনে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রু ইরানের হাত থাকার ‘প্রমাণ’ আছে।

তিনি বলেন, কীভাবে বার্তা দিতে হয় সেই পথ আমাদের জানা আছে। তবে তেহরান বলছে, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।

রবিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রব বলেন, লন্ডন বিশ্বাস করে ইরান ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ এমভি মার্সার স্ট্রিটকে লক্ষ্য করে এক বা একাধিক ড্রোন হামলা করেছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ইরানকে অবশ্যই এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে।

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, তারাও মনে করে এটি ইরানের কাজ। এর উপযুক্ত প্রতিদান দেওয়া হবে।

অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইহুদিবাদী সরকার নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করেছে।

এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ট্যাংকারটি পরিচালনা করে ইসরায়েলি শিপিং ম্যাগনেট আইল ওফার মালিকানাধীন লন্ডন-ভিত্তিক জোডিয়াক মেরিটাইম। কোম্পানিটি বলছে, তারা ঘটনার বিস্তারিত জানতে কাজ করছে।

লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাপানি মালিকানাধীন ট্যাংকারটিতে হামলার ঘটনা এখনো পরিষ্কার নয়।

এক বিবৃতিতে শুক্রবার জোডিয়াক মেরিটাইম জানায়, ‘দুঃখজনকভাবে’ দুজনের মৃত্যু ছাড়া কোনো আহতের ঘটনা নেই।

গত মার্চ থেকে ইসরায়েল ও ইরানি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত একাধিক জাহাজে হামলা হয়েছে। এ সব ঘটনার দায় নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। অস্বীকার করেছেও উভয় পক্ষ । কিন্তু দুজন নিহতের কারণে এবারের হামলাটি একদমই আলাদা।

Leave a Comment